শাহবাগ অবরোধ করে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের বিক্ষোভ
Published: 17th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
রাজধানীর শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতরা।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের ব্যানারে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা। এর ফলে শাহবাগ মোড় ঘিরে থাকা সবগুলো সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, আহতদের দুটি ক্যাটাগরিতে বিবেচনায় যারা স্থায়ীভাবে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন তাদের মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা, এককালীন ভাতা এবং পরিবারে দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে সরকারি বা আধা-সরকারি পর্যায়ে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
আর যারা সেরে উঠেছেন এবং কর্মক্ষম আছেন তাদের ১৫ হাজার টাকা মাসিক এবং এককালীন ভাতার ব্যবস্থা এবং সরকারি বা আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
এসময় গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়নেরও দাবি জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
তারা বলছেন, আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো হুমকি, হয়রানি বা হত্যাচেষ্টা হলে সর্বোচ্চ শান্তির বিধান করতে হবে।
এছাড়া, আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের মানসিক কাউন্সেলিং, হয়রানি প্রতিরোধ এবং সমস্যা সমাধানের জন্য টোল-ফ্রি হটলাইন চালুর দাবিও জানানো হয়েছে।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: গণঅভ য ত থ ন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে সেবা চালু
জুলাই আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে কর্মচারীদের সংঘর্ষের জেরে বন্ধ হওয়ার ১৭ দিন পর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি ও বহির্বিভাগের সেবা চালু করে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার সঙ্গে প্রয়োজনে রোগী ভর্তি রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে ৪ জুন জরুরি বিভাগ ও ১২ জুন সীমিত পরিসরে আউটডোরের সেবা চালু করে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, শনিবার সকাল থেকে হাসপাতাল পুরোদমে সেবা চালু হয়েছে। রোগীদের সেবা দিতে চাই এবং চিকিৎসক-নার্সদেরও নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করতে চাই।
কর্মরত একজন চিকিৎসক বলেন, আমরা সকাল থেকে রোগীদের সেবা দেওয়া শুরু করেছি জরুরি ও বহির্বিভাগে পূর্ণাঙ্গ সেবা পাচ্ছেন রোগীরা। প্রয়োজনে ভর্তি ও অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে।
এর আগে গত ২৮ মে আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে হাসপাতালের কর্মী, সাধারণ রোগী এবং তাদের স্বজনদের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে হাসপাতালটিতে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালটিতে শুধু জুলাই আহতরা অবস্থান করেন। অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগে খাবার সরবরাহ করেছে।
সরকার গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের ছাড়পত্র দিলেও ঈদের ছুটি শেষে তারা আবারও দুয়েকজন করে এই হাসপাতালে ফিরতে শুরু করেছেন। জুলাই আহতরা জানিয়েছেন- তারা এ হাসপাতাল থেকেই চিকিৎসা নিতে চান।