বিশ্বের ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসকে শ্বাসনালির প্রদাহ ব্রঙ্কাইটিসের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ইতালির রোমের জেমেল্লি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভ্যাটিকান জানিয়েছে, ৮৮ বছর বয়সী পোপের শারীরিক অবস্থাকে ‘জটিল’ বলে মনে করা হচ্ছে, তাই তাকে কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হতে পারে।

ভ্যাটিকানের মুখপাত্র মাত্তেও ব্রুনি সোমবার সাংবাদিকদের জানান, পোপের শ্বাসনালিতে একাধিক জীবাণু সংক্রমণ (পলিমাইক্রোবিয়াল ইনফেকশন) হওয়ায় তার চিকিৎসায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। তবে তিনি মানসিকভাবে সুস্থ আছেন এবং হাসপাতাল থেকে কিছু কাজ ও পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ভ্যাটিকানের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, পোপের নির্ধারিত চিকিৎসা চলছে এবং তার শরীরে এখন জ্বর নেই। অসংখ্য মানুষ ভালোবাসা ও শুভকামনা জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন, যা পোপকে আপ্লুত করেছে। পোপ তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছেন এবং তাদের জন্য প্রার্থনা করছেন। একই সঙ্গে তিনি অনুরোধ করেছেন, যাতে তার সুস্থতার জন্যও প্রার্থনা করা হয়।

গত কয়েক দিন ধরে ব্রঙ্কাইটিসের লক্ষণ থাকায় পোপ নিজে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার লেখা বক্তব্য পাঠানোর জন্য সহকর্মীদের দায়িত্ব দেন। এরপরই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা তার অবস্থার উপর নিবিড় নজর রাখছেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছেন।

পোপ ফ্রান্সিস ১২ বছর ধরে রোমান ক্যাথলিক চার্চের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে বেশ কয়েকবার তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ২১ বছর বয়সে তার একটি ফুসফুসের অংশ কেটে ফেলতে হয়েছিল।

বিশ্বব্যাপী তার অনুসারীরা তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছেন। চিকিৎসকরা আশাবাদী, নির্দিষ্ট সময় হাসপাতালে থাকার পর তিনি আবারও দায়িত্ব পালনে ফিরে আসবেন।

তথ্যসূত্র- বিবিসি

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

জামায়াত আমিরের হার্টে ৩ ব্লক, বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের হৃদযন্ত্রে তিনটি বড় ব্লক ধরা পড়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শে তার বাইপাস সার্জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন তিনি ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, চিকিৎসক দলের প্রধান কার্ডিওলজিস্ট ডা. মমিনুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে গতকাল বিকেলে ৪টায় তাঁর এনজিওগ্রাম করা হয়। পরীক্ষায় দেখা যায়, হৃদযন্ত্রে রয়েছে তিনটি বড় ব্লক। বাইপাস সার্জারিই সর্বোত্তম চিকিৎসা হিসেবে বিবেচনা করছেন চিকিৎসকরা।
এর আগে ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ডা. শফিকুর রহমান। প্রথমবার পড়ে যাওয়ার পর উঠে দাঁড়িয়ে আবার বক্তব্য শুরু করলেও দ্বিতীয়বার পড়ে গেলে আর দাঁড়াতে পারেননি। পরে তাকে দ্রুত ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেদিন গুরুতর কিছু ধরা না পড়ায় তিনি বাসায় ফিরে যান।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে ৩০ জুলাই সকালে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপরই ধরা পড়ে হার্টের তিনটি ব্লক।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানান, চিকিৎসকরা আরো কিছু পরীক্ষা করছেন। সেগুলোর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেই বাইপাস সার্জারির সময় নির্ধারণ করা হবে।

ডা. শফিকুর রহমানের পিএস মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আরো জানান, বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল। সার্জারির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, তবে এখনো নির্দিষ্ট তারিখ চূড়ান্ত হয়নি।

ঢাকা/কেএন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জামায়াত আমিরের হার্টে ৩ ব্লক, বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত