গর্ভধারণের আগে কারও অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা থাকলে, গর্ভকালে নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হতে পারে, যা মা ও শিশুর স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে।

গর্ভধারণে দেরি হওয়া

অতিরিক্ত ওজনের কারণে নারীদের ওভুলেশনের প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হতে পারে। এতে গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমে যায়। এটি মূলত হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে ঘটে, যার ফলে ডিম্বাণুর পরিপক্বতা ও পরবর্তী গর্ভধারণের প্রক্রিয়া প্রভাবিত হয়।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস

স্থূলতা গর্ভকালে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।  এতে শিশুর জন্মকালে অতিরিক্ত ওজন, জন্মগত ত্রুটি বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্ম দিতে হতে পারে।

আরও পড়ুনকৈশোরে সঠিক পুষ্টি কেন জরুরি২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

উচ্চ রক্তচাপ ও প্রি-একলাম্পশিয়া

স্থূলতা উচ্চ রক্তচাপ বা প্রি-একলাম্পশিয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। এটি মা ও শিশুর জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, প্রসবকালে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

গর্ভপাতের ঝুঁকি

অতিরিক্ত ওজনের কারণে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে। এটি বিশেষ করে প্রথম তিন মাসে বেশি দেখা যেতে পারে।

শিশুর বিকাশগত সমস্যা

অতিরিক্ত ওজনের কারণে শিশুর বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সঠিকভাবে না–ও পাওয়া যেতে পারে। এটি শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।

আরও পড়ুনসিজারিয়ান শিশুরা কি বেশি বুদ্ধিমান হয়?০৪ ডিসেম্বর ২০২৪প্রতিকার ও ব্যবস্থাপনা যা হতে পারে

খাদ্যাভ্যাস

গর্ভধারণের পরিকল্পনা থাকলে আগেই সচেতন হোন। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। বেশি করে শাকসবজি, ফল, পূর্ণ শস্য, স্বাস্থ্যকর প্রোটিন ও চর্বিসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কমাতে হবে।

শারীরিক ব্যায়াম

শারীরিক ব্যায়াম গর্ভধারণের আগে ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। হাঁটা, সাঁতার কাটা, যোগব্যায়াম ইত্যাদি ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং গর্ভধারণে শরীরকে প্রস্তুত করে।

ডায়েট ও শারীরিক কার্যকলাপ গর্ভধারণের আগে পরিকল্পিত ডায়েট ও শারীরিক কার্যকলাপ শুরু করা উচিত। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন মায়ের শরীরকে গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত করে।

আরও পড়ুনজন্মের পর শিশুর প্রথম কান্না কেন জরুরি২০ জুলাই ২০২৩

মনোসামাজিক সহায়তা

অতিরিক্ত ওজন কমানো মানসিক চাপ ও শারীরিক দিক থেকেও চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। এ জন্য মনোবিদ বা কাউন্সেলরের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।

চিকিৎসকের পরামর্শ

গর্ভধারণের আগে বা গর্ভধারণের পরিকল্পনার সময় একজন গাইনোকোলজিস্ট বা প্রজনন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তাঁরা মায়ের শারীরিক অবস্থা মূল্যায়ন করেন এবং গর্ভধারণের জন্য নিরাপদ পদ্ধতি সম্পর্কে পরামর্শ দিতে পারেন।

ডা.

শারমিন আব্বাসি, বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ ও গাইনোকোলজিস্ট, আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল

আরও পড়ুন৬১ বছর বয়সে এই নারী কীভাবে কন্যার পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

এভাবে ‘চিকেনপাতুরি’ রান্না করেছেন?

ভাত অথবা রুটির সঙ্গে খেতে পারেন চিকেনপাতুরি। গরম ভাত বা পোলাওয়ের সঙ্গে খেতেও বেশ ভালো লাগে এই পদ। সহজেই এই পদ তৈরি করা যায়। এর জন্য অল্প কয়েকটি উপকরণ লাগে যেমন—বোনলেস চিকেন, রসুন বাটা, কাঁচা মরিচ বাটা, লেবুর রস, চিকেন মশলা, গরম মশলার গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, পেঁয়াজ কুচি, তেল ও লবণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক চিকেনপাতুরির রেসিপি।

প্রথম ধাপ: চিকেনের টুকরোগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে সব বাটা মশলা, লবণ, লেবুর রস দিয়ে কয়েক ঘণ্টা ম্যারিনেট করুন। তারপর ফ্রিজের নরমাল চেম্বারে আধাঘণ্টার জন্য রেখে দিন।

আরো পড়ুন:

ওভেন ছাড়াই তন্দুরি চিকেন বানিয়ে নিন

রক্তস্বল্পতা কমায় হাঁসের মাংস

দ্বিতীয় ধাপ: কড়াইতে তেল গরম করে নিন। তেল গরম হয়ে গেলে পেঁয়াজ কুচি লাল করে ভেজে নিন।এবার এই পেঁয়াজ বেরেস্তা মিশিয়ে দিন ম্যারিনেট করে রাখা মাংসে। তারপর মাংস কিছুক্ষণ কষিয়ে নিতে হবে।

তৃতীয় ধাপ: মাংস  কষানো হয়ে গেলে কলা পাতার মধ্যে চিকেন ঢেলে দিতে হবে। ভালো করে মুড়িয়ে কলাপাতা সুতা দিয়ে বেঁধে দিন। আলাদা একটা কড়াইতে ভালো করে তেল ব্রাশ করে নিন। মুড়িয়ে রাখা চিকেন তেল মাখানো কড়াইতে বসিয়ে দিন। চুলার আঁচ কমিয়ে রাখুন, এভাবে ২০ ঢাকা দিয়ে রান্নাটা করুন।

শেষ ধাপ: আরও ১০ মিনিট পর কড়াইয়ের ঢাকনা খুলে দিন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেলো চিকেনপাতুরি।

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ