Samakal:
2025-09-18@03:02:24 GMT

বিনা ভোটে জয়ের পথে প্রার্থীরা

Published: 20th, February 2025 GMT

বিনা ভোটে জয়ের পথে প্রার্থীরা

কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিনা ভোটে জয়ের পথে বিএনপি-জামায়াতপন্থি প্রার্থীরা। গতকাল বুধবার মনোনয়ন ফরম জমা ও মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিনে ১৫টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিজয়ী হতে যাচ্ছেন তারা।

বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও আইনজীবী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী মফিজুল ইসলাম।

আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জয়ের পথে রয়েছেন– সভাপতি পদে মো.

শহিদুল্লাহ, সহ-সভাপতি নূরুল ইসলাম, এরশাদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মিজানুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মানিক, কোষাধ্যক্ষ মুজিবুল ইসলাম, লাইব্রেরিবিষয়ক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন পাখি, এনরোলমেন্ট সম্পাদক মো. শফিউল্লাহ, রিক্রিয়েশন সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, আইটি সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এবং সদস্য পদে ওবায়েদ উল্লাহ সরকার, শরিফুল ইসলাম, কামরুল হাসান সুমন, মু. সলিমুল্লাহ খান ও মো. মাসুদ।

এর আগে সোমবার কুমিল্লা আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হয়। তপশিল অনুসারে মনোনয়নপত্র বিক্রির শেষ দিন ছিল গত মঙ্গলবার, প্রত্যাহার ২৩ ফেব্রুয়ারি, চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ২৪ ফেব্রুয়ারি। আগামী ৬ মার্চ এ নির্বাচন হবে। এবার মোট ভোটার ১ হাজার ২১০ জন। কিন্তু একজন করে প্রার্থী থাকায় প্রার্থীরা জয়ের ঘোষণার অপেক্ষায় আছেন। 

আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান লিটন সমকালকে জানান, গত বছরের ৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় মিছিলে হামলার অভিযোগে আইনজীবী সমিতির সভাপতি (মোস্তাফিজুর রহমান লিটন) ও সাধারণ সম্পাদকসহ এক সঙ্গে আওয়ামী লীগপন্থি ৩২ আইনজীবীকে আসামি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কৌশলে আমাদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে এবারের তপশিল ঘোষণা করা হয়। গঠনতন্ত্র অমান্য করে মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমাদানের তিন দিন সময় দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে মাত্র এক দিন। নির্বাচনের সময়ও এগিয়ে আনা হয়েছে এক সপ্তাহ। আমরা আদালত চত্বরে যাওয়ার পরিবেশ পাইনি। আমাদের নিরাপত্তা নিয়েও সংশয় ছিল। তাই আমাদের কেউ ফরম আনতে যাননি।’

এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট কাজী মফিজুল ইসলাম। সমকালকে তিনি বলেন, এ মামলার সঙ্গে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। যারা টাকা জমা দিয়েছেন ও বৈধ ভোটার তারাই মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। তারা (আওয়ামী লীগ) এলে মনোনয়ন ফরম নিতে পারতেন। নির্বাচন নিয়ে কোনো কৌশল করা হয়নি। এ নির্বাচনের কিছু প্রক্রিয়া শেষে প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল ইসল ম র রহম ন আইনজ ব

এছাড়াও পড়ুন:

যে ১০ কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বেশি ঝগড়া হয়

একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েই বিয়ে করেন দুজন ব্যক্তি; কিন্তু একসঙ্গে থাকতে শুরু করার পর সবচেয়ে আপন এই মানুষের সঙ্গেও নানা কারণে তৈরি হয় মতবিরোধ। এক কথা, দুই কথায় বাধে ঝগড়া। বয়োজ্যেষ্ঠদের মতে, স্বামী–স্ত্রীর ঝগড়া আসলে এক জায়গায় রাখা দুটি বাসনের ঠোকাঠুকির মতো। এগুলো জীবনেরই অংশ; কিন্তু এই ঠোকাঠুকি বাড়তে দিলেই বিপত্তি। তাই দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া কমিয়ে আনতে চাইলে প্রথমে মতবিরোধের কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে। বিশ্বজুড়ে কী কারণে দাম্পত্যে ঝগড়া হয় বেশি, চলুন আগে সেটিই জেনে নেওয়া যাক।

১. বোঝাপড়ার অভাব

নাবিলা ও রাফি (ছদ্মনাম) দুজনেই চাকরিজীবী। কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে ক্লান্ত নাবিলা আশা করেন, স্বামী তাঁর কাছে জানতে চাইবেন সারা দিন কেমন কাটল। কিন্তু তা না করে চুপচাপ নিজের মনে ফোন স্ক্রল করেন রাফি।

স্বামীর এমন আচরণে কষ্ট পান নাবিলা। অন্যদিকে রাফি ভাবেন, সারা দিন কাজের পর স্ত্রীর হয়তো কথা বলতে ইচ্ছা করছে না, ও একটু নিজের মতো থাকুক। দুজনের চাওয়া ভিন্ন। এভাবে নিজের প্রত্যাশার কথা না জানিয়ে দিনের পর দিন কাটাতে থাকলে মনের ভেতর ক্ষোভ জমা হতে থাকে।

আবার বাসার বাড়তি বিল নিয়ে রাফি যখন চিন্তিত, সেটিকে পাত্তা না দিয়ে হেসে উড়িয়ে দিলেন নাবিলা। এভাবে অপর পক্ষকে কষ্ট দিতে না চেয়েও কষ্ট দিচ্ছেন তাঁরা। দাম্পত্য কলহ নিয়ে ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে গবেষণা করা মার্কিন মনোবিজ্ঞানী জন গটম্যান জানান, ৬৯ শতাংশ বৈবাহিক দ্বন্দ্বের কারণ পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাব।

আরও পড়ুনধনীদের ৮টি অভ্যাস, যা মধ্যবিত্তদের চোখে ধরা পড়ে না১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫২. অর্থনৈতিক হিসাব

একজন বাইরে খেতে ভালোবাসেন, অন্যজন সঞ্চয়ে বিশ্বাসী। আর এতেই বাধে বিপত্তি। এ ছাড়া দুজনেই আয় করলে কে কোন খাতে ব্যয় করবেন, তা নিয়েও ঝগড়া করেন দম্পতিরা। দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য বিচ্ছেদ নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম।

অভিজ্ঞতার আলোকে এই আইনজীবী বলেন, ‘কেউ নিজের শখ পূরণ করতে গিয়ে অন্যের দিকটা ভাবছেন না, কেউ আবার নিজের ইচ্ছা–অনিচ্ছায় ক্রমাগত ছাড় দিয়েই যাচ্ছেন। সংসারে বারবার একপক্ষীয় অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে যিনি ছাড় দিচ্ছেন, তাঁর মনে অসন্তুষ্টি তৈরি হয়, যা একসময় বড় ঝগড়ায় রূপ নেয়।’

এ ছাড়া ছোটখাটো অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে গিয়েও ঝগড়া করেন দম্পতিরা। আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা বলছে, টাকাপয়সা নিয়ে ঝগড়া করা দম্পতিদের ৩০ শতাংশই সম্পর্কে খুশি থাকেন না।

৩. সময় না দেওয়াসঙ্গীকে সময় না দিলে দ্বন্দ্ব বাড়ে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
  • ক্ষতিপূরণের বিরুদ্ধে আপিল করতে ২৫ শতাংশ অর্থ জমা দেওয়ার বিধান প্রশ্নে রুল
  • আইনজীবী সোমার মৃত্যুতে আইনজীবী সমিতির শোক সভা ও দোয়া
  • এনায়েত করিম ও গোলাম মোস্তফা পাঁচ দিন রিমান্ডে
  • যে ১০ কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বেশি ঝগড়া হয়
  • ভাঙ্গা থেকে দুটি ইউনিয়ন বাদ দেওয়া প্রশ্নে রুল
  • বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন রাখতে নির্দেশ কেন নয়: হাইকোর্ট
  • পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিল অংশে নির্মাণকাজে স্থিতাবস্থা আপাতত বহাল, চলবে না কার্যক্রম
  • চারটি আসন বহালের দাবিতে বাগেরহাটে নির্বাচন কার্যালয় ঘেরাও, উচ্চ আদালতে দুটি রিট
  • বরিশালে তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড