সামনে বর্ষা, চট্টগ্রাম জলাবদ্ধতায় আর হাবুডুবু না খাক
Published: 20th, February 2025 GMT
চট্টগ্রাম মহানগরকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে কয়েক বছর ধরে। সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের সহযোগিতা নিয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে। এই প্রকল্পের প্রথম সংশোধিত ডিপিপি অনুযায়ী কাজগুলো সম্পন্ন হলে বন্দর নগরের বেশি কিছু অঞ্চল জলাবদ্ধতার কবল থেকে রেহাই পাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এই স্বপ্নে দিন গুনছে এখানে বসবাসকারী প্রায় ৭০ লাখ মানুষ।
এখন বসন্তকাল। শুষ্ক মৌসুমের দিন শেষ হতে চলেছে। এবার বৃষ্টির মৌসুম এলে আগের মতো জনজীবন ডুবিয়ে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না বলে স্বপ্ন দেখছে তারা। কিন্তু পরিবেশবাদী, নগর পরিকল্পক ও অভিজ্ঞজনেরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাঁরা বলছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ শেষ হলে প্রথম কয়েক বছর হয়তো মানুষ কিছুটা স্বস্তিতে থাকবেন। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে আবার পুরোনো জটিল অবস্থায় ফিরে যাওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি। কারণ, জলাবদ্ধতার অন্যতম প্রধান কারণ বর্জ্য। চট্টগ্রামের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় চলছে চরম নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খল অবস্থা। এটাকে শৃঙ্খলায় আনতে না পারলে, সুষ্ঠু নিয়মের মধ্যে আনা না গেলে ক্রমবর্ধমান বর্জ্যের বিশাল স্তূপ নদী, খালগুলো অচিরেই ভরাট হয়ে পূর্বাবস্থায় ফিরে যাবে। ফলে প্রকল্পের বিশাল কর্মযজ্ঞ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।
স্থানীয় একটি পত্রিকার খবর অনুযায়ী চট্টগ্রামে বছরে ১৮ লাখ ৯০ হাজার ৭০০ টন বর্জ্য উৎপাদন হয়। ৯ লাখ ১৩ হাজার ৭০০ টন বর্জ্য সিটি করপোরেশন সংগ্রহ করলেও বাকি প্রায় ১০ লাখ টন বর্জ্য নালা-খালে পড়ছে। সেখান থেকে যাচ্ছে কর্ণফুলীতে। শুধু নগর নয়, কর্ণফুলী নদী সংলগ্ন গ্রাম এলাকার বর্জ্যও এসে পড়ছে খাল ও নদীতে। বর্জ্যের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। এই সব বর্জ্যের বেশির ভাগই অপচনশীল পলিথিন, প্লাস্টিক। শুধু মানুষের ব্যবহার্য বর্জ্য নয়, কর্ণফুলীর তীরে তীরে কাপ্তাই থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার জুড়ে অন্তত ৩০০টি কারখানা বা শিল্প স্থাপনা রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৮৪টি কারখানার বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলা হচ্ছে। কারখানার বিষাক্ত রাসায়নিকের মিশ্রণে সীতাকুণ্ডের কুমিরা খালের পানি মারাত্মক দূষিত হয়ে পড়েছে। এতে করে জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে। মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে রোগে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমন ক্ষতিকর কর্মকাণ্ডের দিকে নজর না দেওয়ায় কুমিরা খালে কারখানা বেড়েই চলেছে। ফলে বর্জ্যও বাড়ছে। এই বিপুল পরিমাণ বর্জ্যের কারণে খনন করা খালগুলো ভরাট হতে খুব বেশি দিন সময় লাগার কথা নয়। ইতিমধ্যে আমাদের পরিবেশ–প্রতিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করেছে এই সব বর্জ্য। দূষণের কবলে পড়ে কর্ণফুলী, আনোয়ারা, পটিয়া, বাঁশখালী, রাঙ্গুনিয়া, সীতাকুণ্ডসহ বিভিন্ন উপজেলায় খাল নদীগুলোও ভরাট হয়েছে। ক্ষীণ হয়েছে এসবের স্রোতোধারা। শুকনা মৌসুমে সেচ ও গৃহস্থালির কাজের জন্য পানির উৎস কমছে অথচ বর্ষায় শুরু হয় জলাবদ্ধতার ভোগান্তি।
কর্ণফুলীর দুই তীরের নগর ও গ্রামের মানুষের একই রকম ভোগান্তি শুরু হলো। বর্জ্যের কারণে ক্রমেই মুমূর্ষু হয়ে পড়ছে নদীটি। তার জীববৈচিত্র্য কমছে। ইতিমধ্যে ৩৫ প্রজাতির মাছ হারিয়ে গেছে এই নদীর কোল থেকে। মাছ কমে যাওয়া মানে শুধু জীববৈচিত্র্য কমে যাওয়া নয়। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে শত শত মানুষের জীবিকা। বহু বছর ধরে কর্ণফুলীর তীরেই গড়ে উঠেছে ৫০টির মতো জেলেপল্লি। কর্ণফুলীর দূষণে সবচেয়ে বেশি শঙ্কিত এই সব পেশাজীবী মানুষ।
গ্রামের খালগুলো মানুষের বর্জ্যে ভরে যাচ্ছে। আর শহরের খালগুলো ভরাট হয়ে এখন রাস্তাও দখল করেছে। শহরের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে কিংবা মোড়ে বর্জ্যের ভাগাড় পরিপূর্ণ থাকে। অনেক সড়কের অর্ধেক অংশ জুড়ে দিনরাত পড়ে থাকে আবর্জনা। ১৮৬৩ সালে নগর হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর ১৬২ বছর অতিক্রম করেছে চট্টগ্রাম মহানগর। দেড় শ বছরের বেশি সময়ে একটা নিজস্ব বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে পারিনি আমরা। এটা আমাদের জন্য লজ্জা ও দুঃখের ব্যাপার।
নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রকল্পের নাম ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন। এই প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে এত বিপুল পরিমাণ টাকা ব্যয়ের পর যদি জলাবদ্ধতার স্থায়ী কোনো সমাধান না হয়, তবে তা হবে সত্যিকারের এক দুর্ভাগ্যের ব্যাপার। এই দুর্ভাগ্য সহ্য করা যাবে না। সুতরাং আগে থেকেই আমাদের সতর্ক হওয়া খুব জরুরি। জলাবদ্ধতার নিরসন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন। নতুন রাষ্ট্রকাঠামোতে সব ক্ষেত্রে সংস্কারের আওয়াজ উঠেছে। সেই আওয়াজ যেন এ রকম মৌলিক বিষয়গুলোকেও স্পর্শ করলেই সংস্কার মানুষের চোখে মূর্ত হয়ে উঠবে।
আশার কথা, সরকার ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের এই প্রধান সংকট নিয়ে মাথা ঘামাতে শুরু করেছে। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের খাল নদী ও চলমান প্রকল্পের কাজ সরেজমিন দেখে যান। দেখার পর গত ১৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি, সড়ক, সেতু ও রেলওয়ে বিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সরকারি দপ্তর ও সংস্থা, শিক্ষক, গবেষকসহ অন্য অংশীজনদের সঙ্গে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। তাঁরা জলাবদ্ধতার কারণ চিহ্নিত করেন। কী করতে হবে, তা–ও নির্ধারণ করেন।
নির্ধারিত কাজগুলো হলো চট্টগ্রাম শহরের সব ধরনের পাহাড় কাটা বন্ধ করা, চট্টগ্রাম শহরের প্রাইমারি, সেকেন্ডারি ও টারশিয়ারি ড্রেনগুলো পরিষ্কারের ব্যবস্থা নেওয়া, পানিনিষ্কাশনের জন্য নির্মাণাধীন স্লুইসগেট–রেগুলেটরগুলোর নির্মাণকাজ দ্রুত সম্পন্ন করা, চট্টগ্রাম শহরের খালগুলো পরিষ্কার করা, খালগুলো অবৈধ দখলমুক্ত করে এগুলোর খননকাজ দ্রুত সম্পন্ন করা, যেখানে–সেখানে ময়লা ফেলা বন্ধ করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া, কর্ণফুলী নদীর প্রয়োজনীয় নাব্যতা ও গভীরতা বজায় রাখার জন্য মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং করা এবং জলাবদ্ধতার হটস্পটগুলোয় পাম্পহাউস চালু করা।
এই বৈঠকে যা আলোচিত হয়েছে, তাতে চট্টগ্রামের মানুষের মনের কথাই প্রতিধ্বনিত হয়েছে। যদি এই সব অতি জরুরি করণীয় সত্যি সত্যিই বাস্তবায়িত হয়, তবেই হবে প্রকৃত সংস্কার। এ রকম সংস্কারই সবার কাম্য। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে যেকোনো অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলে পারে। এই সব কাজকে সমর্থন দিতে মানুষ সব সময় প্রস্তুত। নতুন শতাব্দীর উপযোগী একটি উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চট্টগ্রামকে পরিণত করতে পারে পরিবেশবান্ধব একটি শহরে। যে শহর অবাধে ঘটবে সবুজের বিস্তার। পাহাড়ে, সমুদ্রে, নদীতে চট্টগ্রাম হয়ে উঠতে পারে পৃথিবীর সেরা শহরগুলোর একটি।
ওমর কায়সার প্রথম আলোর চট্টগ্রামের বার্তা সম্পাদক
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রকল প র ন বর জ য র বর জ য বর জ য র পর ব শ র জন য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
রাতারাতি তারকা হলে দীর্ঘ সময় দর্শকের মনে থাকা কঠিন: রিচি
রিচি সোলায়মান। ছোটপর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী এখন অনেকটাই আড়ালে। আজ বিশ্ব বাবা দিবস উপলক্ষে প্রকাশ হয়েছে বিশেষ গানচিত্র ‘বাবা শুনতে কী পাও’। এতে অভিনয় করেছেন রিচি সোলায়মান। এই গানচিত্র এবং সাম্প্রতিক নানা বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন মীর সামী
আপনার অভিনীত গানচিত্র ‘বাবা শুনতে কী পাও’ নিয়ে কিছু বলুন?
‘বাবা শুনতে কি পাও’ শিরোনামের এই বিশেষ গানটি তৈরি করেছেন প্রান্তিক সুর। তাতে কণ্ঠ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী গজল ঘরানার শিল্পী শিরিন চৌধুরী। গানটির কথাও লিখেছেন শিল্পী নিজে। গানচিত্রে একটি সুন্দর সামাজিক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিয়ের পর একটা মেয়ের স্বপ্ন যেন মরে না যায় এবং শুধু মানুষটাকে নয়, তার স্বপ্নকেও ভালোবাসার সংবেদনশীল এবং হৃদয়স্পর্শী বাবার অনুরোধের বার্তা থাকছে এতে। গানের কথার সূত্র ধরে গল্পনির্ভর ভিডিওটিতে বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত আর মেয়ের ভূমিকায় আমি। অনেকদিন পর হায়াত চাচার সঙ্গে কাজ করলাম।
এই কাজটির সঙ্গে যুক্ত হলেন কীভাবে?
কিছুদিন আগে নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী আমায় গানচিত্রটিতে অভিনয়ের জন্য বললেন। যখন শুনলাম এই গানে বাবার ভূমিকায় অভিনয় কবেন আবুল হায়াত চাচা; ঠিক তখনই রাজি হয়েছি। কারণ, আমি হায়াত চাচার পরিচালনায় অনেক নাটকে তাঁর মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছি। তাই ভাবলাম বাবা দিবসের এই কাজটি আমাদের আরও একটি ডকুমেন্টেশন হয়ে থাক। আমাদের এই কাজে একজন মেয়ের দৃষ্টিভঙ্গিতে বাবাকে ঘিরে তার স্মৃতি, ভালোবাসা আর না বলা কথাগুলো উঠে এসেছে। কাজটি করার সময় আমার বাবার কথা খুব মনে পড়ছিল। একজন বাবার অবদান যে কত বিশাল, সেটি অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না–এই গানচিত্রে সেটিই তুলে ধরা হয়েছে।
আপনাকে এখন টিভি নাটকে খুব কম দেখা যায়। ইচ্ছা করেই দূরে সরে আছেন?
আমি এখন পরিবার আর নিজের সময়কে প্রাধান্য দিচ্ছি। পাশাপাশি কাজের মানের প্রতিও সবসময় সংবেদনশীল ছিলাম। নাটকের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে কখনও বিশ্বাসী ছিলাম না। এখন তো অনেক সময় দেখা যায় গল্প বা চরিত্রের গভীরতা কম, কাজগুলো অনেকটাই ‘কনটেন্ট ভিউ’ নির্ভর হয়ে যাচ্ছে। আমি চাই, যখন কাজ করি, সেটি যেন দর্শকের মনে থাকে। তাই শুরু থেকে এখনও বেছে বেছেই কাজ করছি।
এখন নাটকে ‘ভিউ’ ও ‘ট্রেন্ড’ অনুসারে শিল্পী নির্বাচন হয় বলে অভিযোগ আছে...
এটি ঠিক যে এখন ‘ভিউ’ একটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশ্ন হলো– দীর্ঘ মেয়াদে এই দর্শক আসলে কাদের মনে রাখে? আমার মনে হয়, একটি শিল্পমাধ্যমে যখন কেবল সংখ্যা দিয়ে শিল্পী বা কাজের মান বিচার হয়, তখন সেখানে অন্তর্নিহিত শিল্পবোধ অনেকটা হারিয়ে যায়। আমি বিশ্বাস করি অভিনেতা বা অভিনেত্রী হিসেবে আমাদের প্রথম দায় নিজের চরিত্রের প্রতি। ‘ভিউ’ দিয়ে নয়, শিল্পের গভীরতা দিয়ে একজন শিল্পীকে বিচার করা উচিত।
বর্তমান সময়ে ওটিটি মাধ্যমের প্রসারে নাটকের গুণগত মানে কী প্রভাব পড়েছে বলে মনে করেন?
ওটিটি একটা বড় প্ল্যাটফর্ম। নতুন গল্প আর নতুন নির্মাতাদের সুযোগ এনে দিয়েছে। এখানেও একটি সিন্ডিকেট তৈরি হচ্ছে। যারা আগে টিভিতে প্রভাবশালী ছিলেন, এখন তারা ওটিটিতেও আধিপত্য রাখছেন। এটি শিল্পের জন্য মোটেই ভালো নয়। প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও অনেক শিল্পী সুযোগ পাচ্ছেন না। আমি বলব, ওটিটি হোক কিংবা টিভি–প্রতিভা ও গল্পকেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত, ‘চেনা মুখ’ বা ‘সেলিব্রেটি প্যাকেজ’কে নয়।
যে সিন্ডিকেটের কথা বললেন, তা কী ভাঙা যায় না?
অবশ্যই যায়। যারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করবেন, তারাই এখন সেই দলের হয়ে যাচ্ছে। ফলে বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে? আমি যখন নিয়মিত কাজ করেছি, সেই সময় কিন্তু সবাই যার যার যোগ্যতা দিয়ে কাজ করেছেন। এখন পরিচয়ের ভিত্তিতে হচ্ছে। ফলে ধীরে ধীরে আমাদের নাট্যাঙ্গনের শিল্পটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ওটিটির কাজে আগ্রহ অনুভব করেন?
অবশ্যই। যদি ভালো গল্প আর শক্তিশালী চরিত্র পাই, আমি ওটিটিতেও কাজ করতে চাই। অশ্লীলতা বা অহেতুক সাহসী দৃশ্যের নামে যদি গল্পের গুরুত্ব হারিয়ে যায়, তাহলে সেটি আমাকে টানে না। শিল্পমান থাকলেই আমি আগ্রহী।
বর্তমান প্রজন্মের নতুন অভিনেত্রীদের সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
নতুনদের মধ্যে অনেকেই খুব ভালো করছেন। আমি তাদের একটা কথাই বলি, নিজেকে সময় দিন, নিজেকে গড়ুন। রাতারাতি তারকা হওয়া যায়। দীর্ঘ সময় দর্শকের মনে থাকা কঠিন। টিকে থাকার জন্য শুধু সৌন্দর্য নয়, কাজের প্রতি নিষ্ঠা, অধ্যবসায় ও আত্মসমালোচনাও জরুরি।