প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, ২০২৪ এর জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা রোববার (২২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মিরপুর-২ এ ন্যাশনাল বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে শুরু হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা এ প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করবেন। 

দেশের আট বিভাগের চ্যাম্পিয়ন আটটি বালক দল ও  আটটি বালিকা দল জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। ২২, ২৩, ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি গ্রুপ পর্ব, সেমিফাইনাল এবং তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলা হবে। ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় জাতীয় স্টেডিয়ামে বালক-বালিকা দলের ফাইনাল খেলা হবে।

জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাওয়া দলগুলো হলো—বালিকা গ্রুপে রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলার দেবিগঞ্জ উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাজশাহী বিভাগের পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার জোড়গাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা বিভাগের ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার  দোহারো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ জেলার মকসুদপুর উপজেলার ঠোলনারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বরিশাল বিভাগের বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার টিটিডিসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিলেট বিভাগের সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার শাহজালাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

বালক গ্রুপে রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম সদরের কুড়িগ্রাম ১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়ার শিরোইল কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা বিভাগের খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার দেয়াড়া আন্তা বুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলার ভুঞাপুর উপজেলার মাটিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বরিশাল বিভাগের ভোলা সদরের ব্যাংকের হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ সদরের ইছাঘরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার ত্রিশাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

দেশের ৬৫ হাজার ৩৫৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালক-বালিকা দল প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নেয়। ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের খেলা শেষে আট বিভাগ থেকে আটটি করে বালক ও বালিকা দল জাতীয় প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হয়েছে। 

ঢাকা/এএএম/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প র উপজ ল র ল সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

৫ কোটি টাকার সেতুতে যানবাহন চলবে কবে

ঈশ্বরগঞ্জ-আঠারবাড়ী আঞ্চলিক সড়কটির দৈর্ঘ্য ১৫ কিলোমিটার। ১১৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালে এর সংস্কার কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে বেশির ভাগ অংশের কাজ সম্পন্ন হলেও অধিগ্রহণ জটিলতায় পৌর এলাকার প্রায় তিন কিলোমিটার এবং সোহাগী ইউনিয়নের কিছু অংশে কাজ আটকে আছে। ২০২২ সালে ইউনিয়নের বগাপুতা খালের ওপর সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩১ দশমিক ৮২৮ মিটার একটি সেতু নির্মাণ করা হয়।

এর পর পার হয়েছে আড়াই বছর। কিন্তু সেতুতে যানবাহন চলাচলই শুরু হয়নি। কারণ সংযোগ সড়কই যে নেই। তাহের ব্রাদার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে। অবকাঠামোর কাজ শেষ হলেও ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় সংযোগ সড়ক নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। ফলে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বগাপুতা খালের ওপর সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার সেতুটি কোনো কাজেই আসছে না। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন মানুষ।

সংযোগ সড়কের কাজ কবে সম্পন্ন হবে, সেটিও নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর। স্থানীয় বাসিন্দা মো. সোহাগ বলেন, চোখের সামনে সেতু নির্মাণ হয়ে আছে, অথচ কোনো কাজেই আসছে না। তাঁর অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা নিরসন হয়নি। মানুষের ভোগান্তি লাগবে দ্রুত জমির মালিকদের মূল্য বুঝিয়ে দিয়ে এটি সচল করতে হবে। পুরোনো সেতুর ওপর দিয়ে বড় যানবাহন পার হওয়ার সময় অন্যগুলোকে অপেক্ষা করতে হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, আঠারবাড়ী-ঈশ্বরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের একপাশে খালের ওপর রয়েছে নতুন সেতুটি। দুই পাশে সড়ক নেই। পাশের পুরোনো নড়বড়ে সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন ধরনের হালকা ও ভারী যানবাহন। এ সময় ট্রাকচালক ওয়াদুদ মিয়া বলেন, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনাসহ বিভিন্ন শহর থেকে নানান ধরনের পণ্য আঠারবাড়ী (রায়ের বাজার) সরবরাহে এটিই একমাত্র পথ। পুরো সড়ক ঠিকমতো এলেও পুরোনো সেতুর ওপর উঠতেই কাঁপাকাঁপি শুরু হয়। মনে হয়, ‘এই বুঝি ভেঙে ট্রাকসহ নিচে পড়ে গেলাম’। নতুন সেতু চালু হলে নির্বিঘ্নে চলাচল করা যেত।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সেতুর দুই পাশে ১০ থেকে ১২ জনের জমি রয়েছে। আড়াই বছর আগেই সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলেও অধিগ্রহণের টাকা ছাড়া জমি ছাড়তে চাইছেন না মালিকরা। ফলে সংযোগ সড়কের অভাবে অচল অবস্থায় পড়ে আছে সেতুটি। অটোরিকশার যাত্রী ইফরাত তানজীম তাবাসসুমকে বিরক্ত নিয়ে বিড় বিড় কিছু বলতে শোনা যায়। আলাপকালে তিনি বলেন, ‘মরার একটা সেতু শুধু শুধু বানিয়ে ফেলে রাখছে। মানুষের উপকারে আসবে তো দূরের কথা, আরও ভোগান্তি পোহাতে হয়।’
বগাপুতা গ্রামের বাসিন্দা ও জমির একাধিক মালিকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়। আবদুল গফুর, আবদুস ছাত্তার, লতিফ মিয়া, আবদুর রশিদ, মজিবুর রহমান ও আজিজুল হকের ভাষ্য, কর্তৃপক্ষ তাদের জমির সমস্যা সমাধানে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না। টাকা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তারা সংযোগ সড়ক হতে দেবেন না।

সেতুটির দুই পাশের ২৫০ থেকে ৩০০ মিটার ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় সংযোগ সড়ক হচ্ছে না বলে জানান সওজের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুস ছালাম। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে জমির মালিকদের সাত ধারা নোটিশ দেওয়া হয়েছে। প্রাক্কলন তৈরির কার্যক্রম চলছে। এটি পাসের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। প্রাক্কলন পাস হয়ে এলে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে। এ জন্য কতদিন সময় লাগবে, তা বলা যাচ্ছে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৫ কোটি টাকার সেতুতে যানবাহন চলবে কবে