গাজীপুরে ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ আওয়ামী লীগের আরও ২৬ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে গাজীপুরে এই অভিযানে ৩৭০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, বিশেষ এই অভিযানে যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী।

অভিযানটির শুরু থেকে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত গাজীপুর মহানগরের ৮ থানার পুলিশ নতুন করে ২৩ জনসহ মোট ২৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া জেলা পুলিশ নতুন ৩ জনসহ মোট ১১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (বিশেষ শাখা) আলমগীর হোসেন জানান, নতুন করে গাজীপুর মহানগরের সদর থানায় ৯, বাসন থানায় ৩, কোনাবাড়ী, গাছা ও পুবাইল থানায় ১ জন করে মোট ৩ জন এবং টঙ্গী পূর্ব থানায় ৭ জন গ্রেপ্তার হন। এ ছাড়া পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার চৌধুরী মো.

যাবের সাদেক বলেন, ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ জেলা পুলিশ আজ সকাল পর্যন্ত নতুন করে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই অভিযানে গ্রেপ্তার সবাই ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে গাজীপুর মহানগরের ধীরাশ্রম দক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আবুল কাশেম নামের একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এ ঘটনার পরদিন ৮ ফেব্রুয়ারি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের গাজীপুরের আহ্বায়ক মো. আবদুল্লাহ মোহিত বাদী হয়ে গাজীপুর সদর থানায় মামলা করেন। ওই দিন থেকেই গাজীপুরসহ সারা দেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালিত হচ্ছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ছ আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

আবু সাঈদের মামলায় ৪ জনসহ ১১ আসামি ট্রাইব্যুনালে হাজির

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চার আসামিকে হাজির করা হয়েছে।

এই চারজনসহ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মোট তিনটি মামলায় ১১ জনকে আজ রোববার সকালে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

আবু সাঈদের মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনা চার আসামি হলেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী (আকাশ)।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘটনায় অন্য দুটি মামলায় আরও সাতজনকে হাজির করা হয়েছে।

আরও পড়ুনপুলিশের ছররা গুলিতেই আবু সাঈদের মৃত্যু২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন যখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল, তখন গত বছরের ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন আবু সাঈদ। ২৫ বছর বয়সী আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।

আরও পড়ুনপুলিশের বেপরোয়া গুলি, বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার আবু সাঈদ: জাতিসংঘ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নিরস্ত্র আবু সাঈদের পুলিশ কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হন বহু মানুষ, যাতে আরও গতিশীল হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুনগুলিতে ঝাঁঝরা সাঈদের বুক, পুলিশ বলছে উল্টো কথা২৭ জুলাই ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আবু সাঈদের মামলায় ৪ জনসহ ১১ আসামি ট্রাইব্যুনালে হাজির