Prothomalo:
2025-08-02@05:06:04 GMT

আসছে নতুন ধরনের উড়ন্ত গাড়ি

Published: 22nd, February 2025 GMT

প্রথমবারের মতো নতুন ধরনের উড়ন্ত গাড়ির ভিডিও প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা সংস্থা আলেফ অ্যারোনটিকস। প্রতিষ্ঠানটির একটি বৈদ্যুতিক গাড়ি ক্যালিফোর্নিয়ায় উল্লম্বভাবে উড়ে যাওয়ার মাধ্যমে একটি বড় মাইলফলক অর্জন করেছে। চলন্ত অবস্থা থেকে উড়ন্ত গাড়িতে রূপান্তরিত হতে পারে এই গাড়ি। গাড়ির একটি প্রোটোটাইপ আলেফ মডেল এ প্রদর্শন করা হয়েছে। এ গাড়িটি সড়ক ও বিমান উভয় ভ্রমণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। তিন লাখ ডলারের এই গাড়ির জন্য ইতিমধ্যে তিন হাজারের বেশি অগ্রিম চাহিদা (প্রি-অর্ডার) দেওয়া হয়েছে।

এমন গাড়ি ব্যাক টু দ্য ফিউচার নামের সাইফাই সিনেমা কিংবা বিভিন্ন বিজ্ঞান কল্পকাহিনিতে দেখা যায়। সেখানে যেমন একটি উড়ন্ত গাড়িকে আকাশে উড়তে দেখা যায়, তেমনি বাস্তবে এমন গাড়ি উড়তে দেখা যাচ্ছে। মার্কিন গাড়ি নির্মাতা আলেফ অ্যারোনটিকস রাস্তায় চলার উপযোগী এই বৈদ্যুতিক গাড়িকে উল্লম্বভাবে উড়ে যাওয়ার জন্য ডিজাইন করেছে। এই প্রোটোটাইপকে বিমান চলাচল ও মোটরগাড়ির ইতিহাসে একটি বড় মাইলফলক বলে অভিহিত করা হচ্ছে।

ক্যালিফোর্নিয়ার একটি রাস্তায় পরীক্ষামূলক ফ্লাইটটি পরিচালনা করা হয়। সেখানে দেখা যায়, একটি কালো প্রোটোটাইপের গাড়ি সাধারণ গাড়ির মতোই রাস্তায় চলতে পারে। চলার পথেই হঠাৎ অন্য একটি গাড়ির ওপর দিয়ে বাতাসে উড়ে যায় এই উড়ন্ত গাড়ি। গেল কয়েক বছরে অনেক উড়ন্ত গাড়ি দেখা যায়, যাদের বেশির ভাগই রানওয়ে ব্যবহার করে আকাশে উড়ে। নতুন গাড়িটি প্রথমবারের মতো রাস্তা থেকে সরাসরি উড়ন্ত অবস্থায় চলে যেতে পারে। আলেফের সিইও জিম দুখোভনি বলেন, উড্ডয়নের সেই মুহূর্তটিকে রাইট ব্রাদার্সের ১৯০৩ সালের কিটি হক ফ্লাইটের সঙ্গে তুলনা করা যায়।

ভিডিওতে দেখা যায়, গাড়ির প্রোটোটাইপটি আলেফের মডেল জিরোর একটি অতি হালকা সংস্করণ, যার বাণিজ্যিক মডেল এ অনুসরণ করবে। দুই আসনের গাড়িটি উড়ন্ত অবস্থায় ১১০ মাইল যেতে পারে। সর্বোচ্চ ড্রাইভিং রেঞ্জ ২০০ মাইল। অটোপাইলটিং ফ্লাইট ক্ষমতা আছে গাড়িটিতে। গাড়ির নকশায় আটটি স্বাধীনভাবে ঘূর্ণায়মান রোটরের কথা জানা যায়। রাস্তায় চলার জন্য চাকার ভেতরে চারটি ছোট ইঞ্জিন রয়েছে। যদিও এর সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘণ্টায় ২৫ মাইল। গ্রাহকেরা মাত্র ১৫০ ডলার জমা দিয়ে তাঁদের জন্য এই উড়ন্ত গাড়ি বুক করতে পারছেন। কোম্পানিটি ২০৩৫ সালের মধ্যে একটি বৃহত্তর মডেল জেড সেডান চালু করার পরিকল্পনা করছে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য র একট

এছাড়াও পড়ুন:

বক্সিং রিংয়ে চ্যাম্পিয়ন জিনাতই, বোনকে উৎসাহ দিতে গ্যালারিতে আফঈদা

কদিন ধরে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের আড্ডায় ঘুরেফিরে একটাই নাম জিনাত ফেরদৌস। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী এই বক্সার প্রথমবারের মতো পা রেখেছেন জাতীয় বক্সিং রিংয়ে। আর প্রথমবারই নিজের জাত চেনালেন।

আজ বিকেলে পল্টনের মোহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়ামে ৫২ কেজি ওজন শ্রেণির ফাইনালে নেমে প্রতিপক্ষ আফরা খন্দকারকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নের মুকুট মাথায় তুলেছেন জিনাত। প্রতিযোগিতার আগেই যাঁর আগমন ঘিরে কৌতূহল ছিল তুঙ্গে, সেই জিনাত রিংয়ে নামতেই যেন বুঝিয়ে দিলেন, অন্যদের চেয়ে কেন তিনি এগিয়ে।

তিন রাউন্ডের লড়াইয়ে শুরু থেকেই জিনাত ছিলেন আক্রমণাত্মক। পাঞ্চে ছিল গতি, রক্ষণে ছিল আত্মবিশ্বাস। অন্যদিকে আফরা খন্দকার চেষ্টা করেছেন রক্ষণ সামলে লড়াইয়ে টিকে থাকতে। খান কয়েক মোক্ষম ঘুষিতে কিছুটা নড়বড়ে হলেও শেষ পর্যন্ত দমে যাননি আফরা।

বরং জিনাতের ঘন ঘন আক্রমণের ফাঁক গলে এক-আধটু পাল্টা আঘাত করতেও পেরেছেন। তবে এই পর্যায়ের এক প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত হয়ে পড়ে তাঁর জন্য অনেকটাই চাপের। তবু আফরা লড়ে গেছেন। আর জিনাতের আত্মবিশ্বাসী উপস্থিতি এ লড়াইকে করে তুলেছিল দেখার মতো।

গ্যালারিতে বসে খেলা দেখছিলেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক ও আফরার বড় বোন আফঈদা খন্দকার। উৎসাহ দিচ্ছিলেন ছোট বোনকে। পাশে ছিলেন মা–বাবাও। তবে পরিবারের ষোলো আনা সমর্থনও জিনাতকে হারানোর জন্য যথেষ্ঠ হয়নি।

ম্যাচ শেষে আফরা বললেন, ‘তিনি একজন ভালো খেলোয়াড়। তাঁর বিপক্ষে খেলা আমার জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা। বিশেষ করে তাঁর আক্রমণাত্মক স্কিলটা দুর্দান্ত। ম্যাচ শেষে তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন, গুড ফাইট।’

বিজয়ী জিনাত পরে কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বললেন, ‘আমি সবাইকে বলতে চাই, বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা খেলতে চায়। তারা যদি সুযোগ-সুবিধা পায়, অনেক ভালো করবে। ওদের স্কিল আছে।’

সেমিফাইনালে আছিয়া না ফাইনালে আফরা—কোন লড়াইটা বেশি কঠিন ছিল? জিনাতের জবাব, ‘আমি আমার খেলাটা খেলেছি এবং জিতেছি। দুজনই আলাদা ধাঁচের প্রতিপক্ষ।’

জিনাত বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক পদক জয়ের আকাঙ্ক্ষার কথা আজও বলেছেন। আগামী এশিয়ান গেমসে সুযোগ পেলে পদক জিতবেন কি না, প্রশ্নের ছোট্ট উত্তর, ‘ইনশা আল্লাহ।’

আফরা-জিনাত ফাইনাল ম্যাচটা যেন ছিল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বক্সারের লড়াই নয়, এর বাইরেও চলছিল আরেক নাটক। ফাইনালের কয়েক ঘণ্টা আগেই বক্সিং রিংয়ে এক ব্যতিক্রমী দৃশ্য। আনসারের বক্সার জাহিদুল হক রেফারির রায় নিয়ে ক্ষোভ জানাতে রিংয়ে বসে পড়েন প্রতিবাদ হিসেবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বক্সার জনি ভদ্রর ঘুষিতে কপালে চোট পান জাহিদুল। চিকিৎসাও নেন। একপর্যায়ে রিংয়ের মাঝখানে বসেই অভিনব প্রতিবাদ জানান।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ আনসার দল বাংলাদেশ বক্সিং ফেডারেশনের সভাপতির কাছে অভিযোগ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদের প্রত্যাহারের হুমকি দেয়। একপর্যায়ে আনসারের প্রতিনিধিরা রিং ছেড়ে চলে যান। মুহূর্তেই ঘনীভূত হয়ে ওঠে অনিশ্চয়তা, আফরা-জিনাত ফাইনালটি আদৌ হবে তো? কারণ, আফরা বাংলাদেশ আনসারের প্রতিযোগী। শেষ পর্যন্ত অবশ্য আনসার ফিরে আসে এবং প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

এ বিষয়ে বক্সিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুস কুদ্দুস প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফাইটে হারলে যা হয়। হারলেই বলে অন্যায় হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত রিংয়ে ফিরে এসেছে, খেলেছে, এটা ভালো।’

ম্যাচ শুরুর ঠিক আগে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের একটি প্রতিনিধিদল গ্যালারিতে এসে জিনাতকে শুভেচ্ছা জানায়, তাঁকে উপহারও দেয় তারা। গ্যালারিতে বাড়তি উত্তেজনা আর গুরুত্ব যোগ করে ফাইনাল ম্যাচকে ঘিরে। আর দেশের সংবাদমাধ্যমের ব্যাপক উপস্থিতি তো ছিলই ম্যাচটা ঘিরে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বক্সিং রিংয়ে চ্যাম্পিয়ন জিনাতই, বোনকে উৎসাহ দিতে গ্যালারিতে আফঈদা
  • দেশে প্রথমবারের মতো ২৫টি ‘বেশি বিপদজনক’ বালাইনাশক চিহ্নিত
  • হামাসকে অস্ত্রত্যাগে ও গাজার শাসন ছাড়তে সৌদি, কাতার, মিসরের আহ্বান