বিশেষ কক্ষসহ ১৫দাবি ইবির প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের
Published: 22nd, February 2025 GMT
বিশেষ কক্ষ বরাদ্দ, ভবনগুলোতে লিফটের ব্যবস্থাসহ ১৫ দফা দাবিতে ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় ছাত্র উপদেষ্টার অফিসে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা। তাদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এসএম সুইট উপস্থিত ছিলেন।
তাদের দাবিগুলর মধ্যে রয়েছে- দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইল লিপি, অডিও বুক, শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য শ্রবণ যন্ত্র, ভিডিও ক্লাস ও পরীক্ষায় অতিরিক্ত সময় প্রদানসহ বিশেষ পদ্ধতিতে খাতা মূল্যায়নের ব্যবস্থা করতে হবে; সব ভবনে লিফটের ব্যবস্থা করা; ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ও বাহিরে চলাচলের জন্য প্রতিবন্ধী বান্ধব বিশেষ পরিবহনের ব্যবস্থা করা; ভর্তির সঙ্গে সঙ্গে হলে সিট নিশ্চিত করা এবং বিশেষ কক্ষ বরাদ্দ রাখা; প্রতিবন্ধীবান্ধব বিশেষ টয়লেট নিশ্চিত ও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা।
অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ফান্ড গঠন করা, বিশেষ বৃত্তি প্রদান এবং টিউশন ফি মওকুফের ব্যবস্থা করা; প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়তা কেন্দ্র গঠন করা; বিশেষ আইটি কর্মশালা ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা; ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা; শরীর চর্চা, বিনোদন, খেলাধুলার বিশেষ ব্যবস্থা করা; নিয়মিত স্বাস্থ্য পরিক্ষা ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সুবিধার ব্যবস্থা করা।
এছাড়া মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তার জন্য নিয়মিত কাউন্সেলিং সেশন ও সার্পোট টিম তৈরি করা; সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ইন্টার্নশিপ ও চাকরির ব্যবস্থা করা; যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রতি সংবেদনশীলতা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার দাবি জানানো হয়।
এ বিষয়ে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম বলেন, “প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরাও এ সমাজের অবিচ্ছেদ্য একটা অংশ। একটা প্রতিবন্ধীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে আমরা আশা করবো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথেষ্ট আন্তরিক হবেন। আমাদের মতো প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের যদি যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত না করা হয়, তাহলে আমরা অগ্রসর হতে পারব না। এজন্য আমাদের এ যৌক্তিক দাবিগুলো যেন বাস্তবায়ন করা হয়।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ব যবস থ দ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
বিয়ে নিয়ে যা বললেন পূজা চেরি
শারদীয় দুর্গাপূজা—হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। ঢাকের তালে, উলুধ্বনির সুরে, আলোকসজ্জার ঝলকে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল প্রতিটি পূজামণ্ডপ। এই আনন্দে শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও যুক্ত হন।
গতকাল বিজয়া দশমীর পবিত্র তিথিতে দেবীকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার সমাপ্তি ঘটে। পূজামণ্ডপগুলোতে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছিলেন ভক্তরা। একে অপরের মুখে সিঁদুর মেখে উল্লাসে মাতেন সনাতনীরা। দুর্গোৎসবের আনন্দ ছুঁয়ে গেছে অভিনেত্রী পূজা চেরিকেও। গতকাল সিঁদুর খেলায় অংশ নেন তিনি।
আরো পড়ুন:
‘সবাই ধরে নেয় আমি ঋষি কাপুরের অবৈধ মেয়ে’
সংসার ভাঙার কারণে স্বামীকে ১১ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে অভিনেত্রীর?
পূজামণ্ডপে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পূজা চেরি। এ সময় জানতে চাওয়া হয়, বিজয়া দশমীর দিনে দেবী দুর্গার কাছে কী চাইলেন? জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমার যে গর্ভধারিণী মা মারা গেছেন সে যেন ভালো থাকেন। যেখানেই থাকেন যেন ভালো থাকেন এটাই চেয়েছি এবং দুর্গা মাকে বলেছি ‘তুমি যেন ভালো থেকো’। কারণ আমরা সবাই চেয়ে বেড়াই কিন্তু মাকে একটু জিজ্ঞেস করি না যে, ‘মা তুমি কেমন আছো?”
ব্যক্তিগত জীবনে পূজা চেরি এখনো একা। ফলে তার বিয়ে নিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের আগ্রহের শেষ নেই। বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এই অভিনেত্রী বলেন, “এখানে একজন সিঁদুর আমার গালে লাগিয়ে দিচ্ছিল, তখন তারা বলল, ‘প্রার্থনা করি আগামীবার যেন দাদাসহ মণ্ডপে আসতে পারো’।” এ কথা বলে একটু হাসি মুখে পূজা বলেন, “দেখ যাক কী হয়! চিন্তার বিষয় চিন্তা করে দেখি।”
পূজা চেরি শোবিজ অঙ্গনে যাত্রা শুরু করেছিলেন শিশুশিল্পী হিসেবে। ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অল্প সময়ের মধ্যেই অভিনয় গুণে দর্শকদের মনে জায়গা করে নেন তিনি।
ঢাকা/শান্ত