বিশেষ কক্ষ বরাদ্দ, ভবনগুলোতে লিফটের ব্যবস্থাসহ ১৫ দফা দাবিতে ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় ছাত্র উপদেষ্টার অফিসে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা। তাদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এসএম সুইট উপস্থিত ছিলেন। 

তাদের দাবিগুলর মধ্যে রয়েছে- দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইল লিপি, অডিও বুক, শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য শ্রবণ যন্ত্র, ভিডিও ক্লাস ও পরীক্ষায় অতিরিক্ত সময় প্রদানসহ বিশেষ পদ্ধতিতে খাতা মূল্যায়নের ব্যবস্থা করতে হবে; সব ভবনে লিফটের ব্যবস্থা করা; ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ও বাহিরে চলাচলের জন্য প্রতিবন্ধী বান্ধব বিশেষ পরিবহনের ব্যবস্থা করা; ভর্তির সঙ্গে সঙ্গে হলে সিট নিশ্চিত করা এবং বিশেষ কক্ষ বরাদ্দ রাখা; প্রতিবন্ধীবান্ধব বিশেষ টয়লেট নিশ্চিত ও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা।

অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ফান্ড গঠন করা, বিশেষ বৃত্তি প্রদান এবং টিউশন ফি মওকুফের ব্যবস্থা করা; প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়তা কেন্দ্র গঠন করা; বিশেষ আইটি কর্মশালা ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা; ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা; শরীর চর্চা, বিনোদন, খেলাধুলার বিশেষ ব্যবস্থা করা; নিয়মিত স্বাস্থ্য পরিক্ষা ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সুবিধার ব্যবস্থা করা।

এছাড়া মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তার জন্য নিয়মিত কাউন্সেলিং সেশন ও সার্পোট টিম তৈরি করা; সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ইন্টার্নশিপ ও চাকরির ব্যবস্থা করা; যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রতি সংবেদনশীলতা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার দাবি জানানো হয়। 

এ বিষয়ে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম বলেন, “প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরাও এ সমাজের অবিচ্ছেদ্য একটা অংশ। একটা প্রতিবন্ধীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে আমরা আশা করবো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথেষ্ট আন্তরিক হবেন। আমাদের মতো প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের যদি যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত না করা হয়, তাহলে আমরা অগ্রসর হতে পারব না। এজন্য আমাদের এ যৌক্তিক দাবিগুলো যেন বাস্তবায়ন করা হয়।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ব যবস থ দ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ

বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।

এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।

জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ

বৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’

‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ