নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পুকুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক বালকের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম ইকবাল হোসেন ওরফে ফারহান (১২)। আজ রোববার সকাল পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আমির আলী সিমেন বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ইকবাল হোসেন ওই এলাকার আবুল মোবারকের ছেলে। সে স্থানীয় আবু মাঝিরহাট এ সাঈদিয়া দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। তার লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে বাড়ির পুকুরে গোসল করতে নেমেছিল ফারহান। ওই পুকুরের ওপর দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের একটি তার টানানো ছিল। সে গোসল করার এক পর্যায়ে পুকুরে বিদ্যুতের তারটি ছিঁড়ে পড়ে। এ সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ফারহানের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দোষারোপ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

জানতে চাইলে নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কোম্পানীগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো.

জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনার জন্য পল্লী বিদ্যুতের কোনো অবহেলা দায়ী নয়। স্থানীয় এক ব্যক্তি গাছ কাটছিলেন। গাছটি বিদ্যুতের লাইনের ওপরে পড়ে। এ সময় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পুকুরে পড়েছে। ঘটনার পর পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামতের কাজ চলছে।

এক প্রশ্নের জবাবে উপমহাব্যবস্থাপক বলেন, যেই ব্যক্তি পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের অনুমতি না নিয়ে গাছ কেটেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে সমিতি থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর প্রাণহানির বিষয়ে নিহত বালকের পরিবার চাইলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফয়েজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যুতের তার পুকুরের পানিতে পড়ার কারণে ওই বালক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। নিহত বালকের পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩ 

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় মঞ্জু টেক্সটাইলে এন্ড ডাইং কারখানায় গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে কারখানার দুই নিরাপত্তাকর্মীসহ তিন জন দগ্ধ হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার তারাবো পৌরসভার কাজীপাড়া এলাকায় কারখানায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, সিকিউরিটি ইনচার্জ আব্দুল হান্নান, গার্ড কবির হোসেন ও সিনিয়র অফিসার সাইফুল ইসলাম।

কারখানার সুপারভাইজার মিজানুর জানান, নাইট ডিউটি শেষে সকাল ৮টার দিকে শ্রমিকরা চলে যাওয়ার ঠিক পরপরই তিতাস গ্যাস সংযোগের আরএমএস রুমে গ্যাসের অতিরিক্ত চাপে বিকট শব্দে একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীসহ তিনজন দগ্ধ হন। বিস্ফোরণ ও আগুনের তীব্রতায় আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক

মাইক্রোবাসে বিস্ফোরণ, অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ৫ ছাত্রনেতা

তিনি জানান, কারখানায় দায়িত্বে থাকা টেকনিশিয়ান ও অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মীরা দ্রুত গ্যাসের চাবি বন্ধ করে নিজেরাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দগ্ধ তিনজনকে দ্রুত রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। আগুনে কারখানার কিছু কাপড় ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ইউনিট সেখানে যায়। তবে তার আগেই কারখানার লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে। বিস্ফোরণ ও আগুনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শুনেছি তিনজন দগ্ধ হয়েছেন এবং তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/অনিক/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ