পুকুরে গোসল করতে নেমেছিল বালক, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু
Published: 23rd, February 2025 GMT
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পুকুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক বালকের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম ইকবাল হোসেন ওরফে ফারহান (১২)। আজ রোববার সকাল পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আমির আলী সিমেন বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ইকবাল হোসেন ওই এলাকার আবুল মোবারকের ছেলে। সে স্থানীয় আবু মাঝিরহাট এ সাঈদিয়া দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। তার লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে বাড়ির পুকুরে গোসল করতে নেমেছিল ফারহান। ওই পুকুরের ওপর দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের একটি তার টানানো ছিল। সে গোসল করার এক পর্যায়ে পুকুরে বিদ্যুতের তারটি ছিঁড়ে পড়ে। এ সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ফারহানের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দোষারোপ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানতে চাইলে নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কোম্পানীগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো.
এক প্রশ্নের জবাবে উপমহাব্যবস্থাপক বলেন, যেই ব্যক্তি পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের অনুমতি না নিয়ে গাছ কেটেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে সমিতি থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর প্রাণহানির বিষয়ে নিহত বালকের পরিবার চাইলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফয়েজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যুতের তার পুকুরের পানিতে পড়ার কারণে ওই বালক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। নিহত বালকের পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
সারা দেশে সাত দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৮৮
ঢাকাসহ সারা দেশে বিগত সাত দিনে অভিযান চালিয়ে ২৮৮ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় তাঁদের আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, ককটেলসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনের ইউনিট এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রধারী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্তসহ ২৮৮ জনকে আটক করা হয়।
আইএসপিআর জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৪টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ১৫৬টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ২টি ককটেল, ৩টি ম্যাগাজিন, মাদকদ্রব্য, বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মালামাল ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাঁদের সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।