রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আবদুল জব্বারকে (৭৮) গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার মামলায় আজ রোববার দুপুরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া ফকির আবদুল জব্বার রাজবাড়ী জেলা শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়াডাঙ্গা ১ নম্বর এলাকার বাসিন্দা। আজ দুপুরে রাজবাড়ী জেলা শহরের শিল্পকলা একাডেমির সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট বেলা সোয়া একটার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সাধারণ জনগণ আন্দোলন সফল করার লক্ষ্যে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে অবস্থান নেন। এ সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের ওপর হামলা করে। এ হামলায় কয়েকজন আহত হন।

এ ঘটনায় গত ২ অক্টোবর সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের ব্র্যাক পাড়া গ্রামের ইদ্রিস ফকিরের ছেলে শাহিন ফকির বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় ৮৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলার আসামি হিসেবো ফকির আবদুল জব্বারকে আজ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রাজবাড়ী জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

মফিজুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ফকির আবদুল জব্বারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তারের পর আওয়ামী লীগ নেতা ফকির আবদুল জব্বারকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

তিন বাহিনীর প্রধান ও দুই গোয়েন্দাপ্রধান নিয়োগের ক্ষমতা সরাসরি রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়ার প্রস্তাব ঐকমত্য কমিশনের

তিন সশস্ত্র বাহিনীর (সেনা, নৌ ও বিমান) প্রধান এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই) ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার (এনএসআই) মহাপরিচালক নিয়োগের ক্ষমতা সরাসরি রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

এ প্রস্তাবের ওপর আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শুরু হয়েছে।

এর আগে গতকাল বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব নিয়ে একটি ধারণাপত্র তাঁরা রাজনৈতিক দলগুলোকে দিয়েছেন। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া কেবল প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে ঐকমত্য কমিশন আরও কিছু নিয়োগে রাষ্ট্রপতির স্বাধীন ক্ষমতার বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছে।

তিন বাহিনীর প্রধান ও দুই গোয়েন্দাপ্রধান নিয়োগের ক্ষমতার বিষয়টির পাশাপাশি আরও ৯টি নিয়োগের ক্ষমতা সরাসরি রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। অ্যাটর্নি জেনারেল, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য, তথ্য কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান ও সদস্য, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস্ রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ও সদস্য।

গতকালের বৈঠক শেষে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, এসব প্রস্তাব রাজনৈতিক দলগুলোর বিবেচনার জন্য দেওয়া হয়েছে। যদি এসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়, তাহলে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তা কার্যকর করতে হবে। এসব বিষয় নিয়ে কমিশনের আজকের বৈঠকে আলোচনার কথা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নেতা হতে আসিনি, সেবা করতে মাঠে আছি : মুজাহিদ মল্লিক
  • ছাত্রত্বের ভুয়া পরিচয় দেন সভাপতি, কমিটি ঘোষণার দিন শর্ট কোর্সে ভর্তি হন সম্পাদক
  • তিন বাহিনীর প্রধান ও দুই গোয়েন্দাপ্রধান নিয়োগের ক্ষমতা সরাসরি রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়ার প্রস্তাব ঐকমত্য কমিশনের