দোহারে বৈষম্যবিরোধীদের সদ্য ঘোষিত কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা একাংশের
Published: 23rd, February 2025 GMT
ঢাকার দোহার উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদ্য ঘোষিত কমিটি অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে সংবাদ সম্মেলন করেছে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। আজ রোববার দুপুরে দোহার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তাঁরা ওই কমিটি বাতিলের দাবি জানান।
এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মো.
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দোহারে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে ‘সক্রিয়’ শিক্ষার্থী আবুল কালাম। এ সময় সদ্য ঘোষিত কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব পায়েল নুর, পদবঞ্চিত শিক্ষার্থী নুরুল ইসলাম রিজভী, সিনহা, মুসা, অমি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দোহারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বৈষম্যমূলক একটি কমিটি করা হয়েছে, যেখানে হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া যাঁরা রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন, তাঁদের রাখা হয়নি। ঢাকাসহ বড় শহরগুলোর বাইরে সবচেয়ে বেশি সর্বাত্মক আন্দোলন হয় দোহারে। তাঁরা ১৮-১৯ জুলাই ও ৪ আগস্ট দোহারে যে আন্দোলন গড়ে তোলেন, সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
সংবাদ সম্মেলনে পদবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আন্দোলনের সময় দোহারে কোনো সমন্বয়ক ছিল না। কিন্তু কতিপয় ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বৈষম্যবিরোধী ব্যানারে পকেট কমিটি করেছেন। এর সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম সম্পর্ক নেই। কমিটির বেশির ভাগ সদস্য আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন না। তাঁরা কমিটি বাতিলে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চান।
এ বিষয়ে সদ্য ঘোষিত কমিটির আহ্বায়ক রনি দেওয়ান প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁর বাড়ি দোহারের কুসুমহাটি এলাকার মাহতাবপুরে। তিনি তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী। কোটাবিরোধী আন্দোলনের সবাইকে নিয়েই কমিটি করা হয়েছে। তবে যাঁরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন, তাঁরাও আন্দোলনে ছিলেন। পায়েল নুর কমিটিতে যুগ্ম সদস্যসচিব হিসেবে আছেন। অন্যরা কিছু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত থাকায় কমিটিতে নেওয়া হয়নি।’
দোহারের জয়পাড়া কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী পায়েল নুর আরও বলেন, ‘কমিটিতে আমাদের সঙ্গে যাঁরা আন্দোলনে ছিলেন, তাঁদের রাখা হয়নি। তাই আমি এ কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছি।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সদস যসচ ব কম ট র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই।
ব্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।
আরো পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ উদ্যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল।
বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।
ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’।
বিস্তারিত আসছে …
ঢাকা/ইয়াসিন