৭ বছর ধরে শিকলবন্দি জীবন কাটছে মাসুদের
Published: 24th, February 2025 GMT
লোহার শিকলে বন্দি হয়ে দুঃসহ জীবন কাটছে মাসুদ রানার (৩৫)। মানসিক ভারসাম্যহীন এই যুবকের দিন আর রাত কাটে একটি ঝুপড়ি ঘরের নড়বড়ে কাঠের বিছানায়। কেউ তার অসহায়ত্ব বোঝে না। অথচ একসময় মাসুদও ভালো স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে জীবনযাপন করেছেন। ২০০৪ সালে তিনি এসএসসি পাস করেন।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার তারাবাড়িয়া গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলামের ছেলে মাসুদ রানা। জন্মগতভাবে তিনি স্বাভাবিক ছিলেন। উপজেলার সোনতলা তফছীর মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করার পর উল্লাপাড়া আরএস ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হন তিনি। হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন মাসুদ। পরিবার থেকে যথেষ্ট চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু কাজ হয়নি। আস্তে আস্তে মানসিক ভারসাম্য হারাতে থাকেন। এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়, যে বাড়ির বাইরে গেলেই যেকোন কাউকে পেলে তাকে ধরে পেটাতেন। ধাওয়া দিতেন। পরে গ্রামের লোকজনের অভিযোগ অনুযোগের প্রেক্ষিতে নিরুপায় হয়ে পরিবারের লোকজন তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে ঘরে আটকে রাখছেন। আর এ অবস্থা চলছে প্রায় ৭ বছর ধরে।
মাসুদ রানা’র মাও মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। তার আছে শুধু এখন দুই ভাই দুই বোন। ভাইরা তার প্রতিপালন ও দেখাশোনা করে থাকেন। মাসুদের বড় ভাই সোহেল রানা জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে ২০০৯ সালের দিকে মাসুদ অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসা করানোর পরও ধীরে ধীরে তার মানসিক ভারসাম্য হারাতে থাকে। অবশেষে এমন পাগলামি শুরু করেন যে তাকে আর শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা ছাড়া তাদের আর দ্বিতীয় কোনো পথ ছিল না। এটা অত্যন্ত অমানবিক কাজ নিঃসন্দেহে। কিন্তু তারা গরীব মানুষ। তাদের যা সহায় সম্পদ ছিল সবই বিক্রি করে মাসুদের চিকিৎসা করিয়েছেন। কাজ হয়নি কিছুই। মাঝে মাঝে মাসুদ তার স্মৃতি ফিরে পান। তখন স্বাভাবিক মানুষের মতো জীবনের ফেলে আসা অনেক ঘটনার কথা ঠিকঠাক মতো বলতে পারেন। কিন্তু এই স্বাভাবিকতা বেশিক্ষণ স্থায়ী থাকে না। বর্তমানে মাসুদকে অমানবিক ও দুঃসহ জীবন কাটাতে হচ্ছে। পরিবারের আর কিছুই করার নেই। তারা এজন্য নিজেরাও খুবই কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করছেন। মাসুদকে ওই ঘরের মধ্যেই প্রসাব পায়খানা করানোর ব্যবস্থা করা হয়। মাসুদ রানার দুই ভাই কেউই এখন সচ্ছল নন। তাই এ অবস্থায় অন্তত মাসুদ রানার একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান সোহেল। সেই সঙ্গে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তারও অনুরোধ জানান তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ বিমানে ইন্টার্নশিপ, দৈনিক হাজিরায় সম্মানী ৬০০ টাকা
বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারের উৎপাদন শাখায় কিচেন ও বেকারি ইউনিটে ইন্টার্নশিপে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নির্ধারিত সম্মানী প্রদান করা হবে। শুধু ছয় মাসের জন্য করা যাবে ইন্টার্নশিপ।
কিচেন হেলপার পদে ইন্টার্ন—
বয়স: সর্বোচ্চ-৩২ বছর।
যোগ্যতা: ১. কমপক্ষে এসএসসি পাস।
২.City & Guilds, UK/NHTTI অথবা সরকার অনুমোদিত সংস্থা হতে কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদি ফুড অ্যান্ড বেভারেজে কুকিং কোর্স সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
৩. যেকোনো ফাইভ স্টার হোটেল, বিএফসিসি বা সমমানের ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানে ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ওপর ন্যূনতম ছয় সপ্তাহের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট সম্পন্ন থাকতে হবে।
বেকার হেলপার পদে ইন্টার্ন—
বয়স: সর্বোচ্চ-৩২ বছর।
যোগ্যতা: ১. কমপক্ষে এসএসসি পাস।
২.City & Guilds, UK/NHTTI অথবা সরকার অনুমোদিত সংস্থা থেকে কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদি বেকারি অ্যান্ড পেস্ট্রিতে সার্টিফিকেট কোর্স থাকতে হবে।
৩. যেকোনো ফাইভ স্টার হোটেল, বিএফসিসি বা সমমানের ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানে বেকারি অ্যান্ড পেস্ট্রির ওপর ন্যূনতম ছয় সপ্তাহের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট সম্পন্ন থাকতে হবে।
যোগ্যতা—১. প্রত্যেক প্রার্থীকে কমপক্ষে এসএসসি পাস অথবা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর হতে হবে।
২. চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ইন্টার্নকে বিএফসিসিতে ভর্তির সময় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিপোর্ট বাধ্যতামূলকভাবে সঙ্গে আনতে হবে।
৩. প্রত্যেক নির্বাচিত ইন্টার্নকে ভর্তির আগে বিমান মেডিকেল থেকে শারীরিক ফিটনেস সংগ্রহ করতে হবে।
সুযোগ-সুবিধা—
১. শুধু ছয় মাসের জন্য ইন্টার্ন হিসেবে ভর্তি করা হবে।
২. প্রত্যেক নির্বাচিত ইন্টার্নকে দৈনিক হাজিরা সাপেক্ষে ছয় শ টাকা হারে সম্মানী দেওয়া হবে। নির্ধারিত সম্মানী ব্যতীত অন্য কোনো ভাতা দেওয়া হবে না।
৩. রোস্টার মোতাবেক দৈনিক আট ঘণ্টা ডিউটি সম্পন্ন করতে হবে।
আবেদনের ক্ষেত্রে বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর হতে হবে