Samakal:
2025-06-16@19:28:18 GMT

হস্তান্তরের আগেই ভবনে ফাটল

Published: 24th, February 2025 GMT

হস্তান্তরের আগেই ভবনে ফাটল

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার উপর সিলট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। শিক্ষকদের অভিযোগ, নতুন ভবনের কাজ যেনতেনভাবে করা হয়েছে। এরই মধ্যে পিলার, মেঝেসহ বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। যেকোনো সময় তা ভেঙে পড়তে পারে। এ কারণে ঠিকাদার ভবন বুঝিয়ে দিতে চাইলেও তারা রাজি হননি।
২০২৩ সালে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) তালম ইউনিয়নে উপর সিলট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণকাজ শুরু করে। ৯০ লাখ ৭০ হাজার ৪৭৫ টাকার কাজটি পায় উল্লাপাড়ার রাতুল এন্টারপ্রাইজ। ওই বছরের মাঝামাঝি সময়ে ভবন নির্মাণকাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। 
অভিযোগ রয়েছে, শুরু থেকেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে। স্থানীয় বাসিন্দা, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, শিক্ষকরা বারবার মানসম্মত নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অনুরোধ করেন। তারা তা কানে তোলেনি। কাজ শেষ না হতেই ভবনের পিলার, ছাদ, ওয়াল, মেঝে ও ব্যালকনির বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে। ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট ঠিকাদার তড়িঘড়ি করে ভবন হস্তান্তর করতে চাইলে প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে অনীহা প্রকাশ করেন। বিষয়টি তিনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তদারকি কর্মকর্তাকেও জানিয়েছেন। 
প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, পুরো নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হয়েছে। কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি একাধিকবার এলজিইডির তদারকি কর্মকর্তাকেও জানানো হয়েছে। আবার অদৃশ্য শক্তির সহায়তায় কাজ চালিয়ে গেছেন ঠিকাদার। শিশু শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ফাটল ধরা ভবন বুঝে 
নিতে সাহস পাচ্ছি না। 
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুসাব্বির হোসেন বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। তাঁকে ভবনের ত্রুটির বিষয়ে লিখিতভাবে জানাতে বলেছি।’
উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলামের ভাষ্য, ভবন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে– এমন অভিযোগ পেয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে। কাজ চলাকালে তদারকি করা হয়েছে, যাতে ঠিকাদার নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করতে না পারেন। ভবনের যে ফাটল হয়েছে তাকে হেয়ার ক্রাক বলা হয়। নির্মাণকাজে এমন হয়ে থাকে। এতে ভবনের কোনো ক্ষতি হবে না। সামান্য ফাটল দেখা গেছে। মেরামত করলেই ঠিক হয়ে যাবে। 
রাহুল এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার অলক হাসান বলেন, ভবনে সামান্য ফাটল দেখা দিয়েছে। হস্তান্তরের আগেই মেরামত করে দেওয়া হবে। সামান্য এ ফাটলের কারণে ভবিষ্যতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটবে না বলে জানান দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার। 
তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী ফজলুল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিন দেখে 
ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবহ র ভবন র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

শপথ না নিয়েই মেয়রের ‘দায়িত্ব’ পালন ইশরাকের

মেয়র হিসেবে এখন পর্যন্ত শপথ নিতে না পারলেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে মতবিনিময় সভা করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। সোমবার দুপুরে নগর ভবনে অনুষ্ঠিত ওই সভার ব্যানারে লেখা ছিল ‘পরিচ্ছন্ন ঢাকা ও নাগরিক সেবা নিশ্চিতকল্পে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভা। প্রধান অতিথি ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। মাননীয় মেয়র, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।’

সিটি করপোরেশনের প্রায় ৭০ জন পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক এই সভায় অংশ নেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বিএনপি–সমর্থিত ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক কয়েকজন কাউন্সিলর। নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে প্রায় দুই ঘণ্টা এই সভা চলে। তবে শপথ না নিয়ে ইশরাক হোসেন কীভাবে নগর ভবনে সভা করতে পারলেন এবং কর্মকর্তা–কর্মচারীদের নির্দেশনা দিলেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শপথ ছাড়াই যেভাবে ইশরাক হোসেন ‘মেয়রের দায়িত্ব পালন’ শুরু করেছেন, তা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং আইনের সুসম্পষ্ট লঙ্ঘন। নিয়ম–নীতি ও আইনকে পাশ কাটিয়ে গায়ের জোরে কেউ মেয়রের দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনে করেন তাঁরা।

মেয়র পরিচয়ে সিটি করপোরেশনে ইশরাক হোসেনের সভা প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টা আমাদের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর। কোনো কর্মকর্তা সিটি করপোরেশনে যেতে চাইলে তাঁদের প্রতি মারমুখী আচরণ করা হচ্ছে।’

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বলা হচ্ছে ইশরাক হোসেনের পুরো বিষয়টিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ আইন ভঙ্গ করেছে। আসলে স্থানীয় সরকার বিভাগ কোনো আইন ভঙ্গ করেনি। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গেজেটের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। একই সঙ্গে সিটি করপোরেশনেরও মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে সেখানে নির্বাচন করেই নতুন একজনকে মেয়র দেওয়ার সুযোগ আছে। এ ছাড়া শপথ পাঠ করানোর সুযোগ নেই। তবে আমি প্রত্যাশা করব, বিএনপির মতো একটি বড় দল নাগরিকদের ভোগান্তির কথা বিবেচনায় নেবে। একই সঙ্গে যিনি পুরো কর্মসূচি পালন করছেন, নগর ভবনে গিয়ে বসছেন, তাঁর কাছ থেকেও আরও দায়িত্বশীল ও পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করব।’

বিএনপি নেতা ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে তাঁর সমর্থকেরা গত ১৪ মে থেকে নগর ভবনে অবস্থান নিয়ে টানা কর্মসূচি পালন করছেন। এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে। কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনেই নগর ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে নগর ভবনে সব ধরনের দাপ্তরিক কাজ বন্ধ রয়েছে। শুধু মশকনিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযানের কাজ চলছে। কর্মকর্তারা অফিস করতে পারছেন না। ইশরাকের সমর্থকদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের বেশির ভাগ কর্মচারী। এই কর্মসূচির মধ্যেই গত ২১ ও ২২ মে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার পাশে অবস্থান নিয়ে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করেন ইশরাকের সমর্থকেরা। তবে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন মূলত বিএনপির নেতা–কর্মীরা।

নগর ভবনে গত ১৪ মে থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ কর্মসূচি ঈদুল আজহার ছুটির জন্য সাময়িকভাবে শিখিল করা হয় ৪ জুন। ৫ জুন থেকে ঈদের সরকারি ছুটি শুরু হয়। ছুটি শেষে ১৫ জুন (গত রোববার) অফিস খোলার প্রথম দিন থেকেই নগর ভবনে আবার বিক্ষোভ শুরু হয়। সেদিন ইশরাক হোসেন নগর ভবনে গিয়ে ঘোষণা দেন, ‘প্রধান ফটকের তালা খোলা হবে না, এটা আন্দোলনের একটি প্রতীক। জনগণের দৈনন্দিন সেবা, আমাদের তত্ত্বাবধানে চালু থাকবে।’

ইশরাক আরও বলেছিলেন, ‘গায়ের জোরে নয়, সাংবিধানিকভাবে ও জনগণের ভোটে আমি বৈধ মেয়র; বরং ভবিষ্যতে সরকারের বিরুদ্ধে আইন ও সংবিধান লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠবে। তাই সরকারকে বলব, দ্রুত এ বিষয়ের সমাধান করুন।’

মেয়রের দায়িত্ব বুঝে পেতে ইশরাকের আন্দোলনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে এক মাস ধরে অচলাবস্থা চলছে। সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে দক্ষিণ সিটির প্রকৌশল বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা চরম অস্বস্তির মধ্যে আছি। আইন লঙ্ঘন করে কেউ যদি দাপ্তরিক কার্যক্রমে অংশ নেন, সেটি পরিষ্কারভাবে প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে। সব ধরনের উন্নয়নকাজ বন্ধ হয়ে গেছে। কিছুদিন পর এর ভয়াবহ প্রভাব পড়বে।’

ব্যানারে ‘মাননীয় মেয়র’

অন্যান্য দিনের মতো সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে নগর ভবন প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন ইশরাকের অনুসারী ও ঢাকা দক্ষিণ সিটির কর্মচারীরা। ইশরাক নগর ভবনে আসেন বেলা সোয়া ১১টার দিকে। এসেই নিচতলার মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে প্রবেশ করেন।

সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শকদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টার মতবিনিময় সভায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন। সভায় উপস্থিত থাকা একাধিক সূত্র বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন।

পরে ইশরাক হোসেনকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর নামের আগে ‘মেয়র’ লেখা হচ্ছে কেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কেবল নগর ভবন নয়, যেকোনো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানালে আয়োজকেরা ব্যানারে আমার নামের আগে মেয়র লেখেন।’ তিনি বলেন, নামের আগে মেয়র লেখার বিষয়টি তাঁর নিজের নয়, ‘জনগণের দাবি’।

ইশরাক বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করেছে, সেখানে স্পষ্টভাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে আমাকে ঘোষণা করা হয়েছে।’

সিটি করপোরেশন সূত্র বলছে, মঙ্গলবার (আজ) দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড সচিবদের নিয়ে নগর ভবনে বৈঠক করবেন ইশরাক। আগামীকাল বুধবার মশকনিধন সুপারভাইজারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

‘রাজনৈতিক কারণে’

অন্তর্বর্তী সরকার কেবলমাত্র রাজনৈতিক কারণে তাঁকে শপথ পড়িয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের চেয়ারে বসতে দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছেন ইশরাক। সোমবার নগর ভবনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই বলে আসছি যে আমার এই বিষয়টা (শপথ পাঠ) সম্পূর্ণ রাজনৈতিক একটা সিদ্ধান্ত ছিল। রাজনৈতিকভাবে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আমাকে বা বিএনপির প্রার্থীকে এখানে বসতে দেওয়া হবে না।’

ইশরাক বলেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি উচ্চ আদালতের রায় পেলেও সরকার সিটি করপোরেশনে ‘প্যারালাল’ প্রশাসন চালাচ্ছে। মেয়রের গেজেট চ্যালেঞ্জ করে করা রিটটি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ যখন খারিজ করে দিয়েছে, সেই মুহূর্তে থেকে দক্ষিণ সিটির প্রশাসক অবৈধ হয়ে গেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র পদে নির্বাচন হয় ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। সেই নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন ইশরাক হোসেন। গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মেয়র পদ থেকে শেখ ফজলে নূর তাপসকে অপসারণ করে সরকার। চলতি বছরের ২৭ মার্চ একটি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ইশরাক হোসেনকে গত সিটি নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এরপর ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে ইসি।

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় ও গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা লিভ টু আপিল গত ২৯ মে পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করেন আপিল বিভাগ। আদেশের পর ইশরাকের আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আদালত পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন যে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তারাই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। তাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে।

উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ পর্যালোচনা করে ৪ জুন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন (ইসি) তার কাজ সম্পন্ন করেছে। আপিল বিভাগ ইসির গেজেট বাতিল করেনি।

খারাপ নজির স্থাপন

আদালত যেহেতু ইশরাকের পক্ষে রায় দিয়েছিল, আর তখন সিটি করপোরেশনের মেয়াদ এক-দেড় মাস বাকি ছিল, ওই সময় কেন তাঁকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি তা নিয়ে যে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ। তবে তিনি বলেন, শপথ না নিয়ে ইশরাক হোসেন নিজেকে মেয়র ঘোষণা করা বা মেয়রের দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। এখন যা ঘটছে তা খারাপ নজির স্থাপন করা হচ্ছে। বিএনপি অনেক বড় দল। তাদের কি এসব দেখার দায়িত্ব নেই? বিএনপি ও সরকারের দিক থেকে এ বিষয়টি শক্তভাবে দেখা উচিত।

অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ বলেন, ইশরাক অত্যন্ত লজ্জাজনকভাবে মেয়রের দায়িত্ব পালন শুরু করছেন, এটি সমীচীন নয়। এভাবে সিটি করপোরেশন দখল করে দলবল নিয়ে বসে থাকায় মানুষের কাছে কী বার্তা যাচ্ছে! এভাবে চলতে পারে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ