ডাকাতের গুলিতে আহত অভিনেতা ভয়াবহ ঘটনার বর্ণনা দিলেন
Published: 25th, February 2025 GMT
ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার জিরাবোতে নিজ বাড়িতে ডাকাতের হামলায় আহত হয়েছেন অভিনয়শিল্পী আজিজুর রহমান আজাদ। গত রোববার গভীর রাতে বাড়িতে ডাকাতের উপস্থিতি টের পেয়ে এগিয়ে গেলে ধস্তাধস্তি হয়। এরপর আজাদকে উদ্দেশ্য করে গুলি করে ডাকাতেরা। এ সময় আজাদের শরীরে তিনটি গুলি লাগে। ডাকাতের আক্রমণে আজাদের মা ও স্ত্রীও আহত হয়েছেন। কী ঘটেছিল সেদিন অভিনয়শিল্পী আজাদের জিরাবো এলাকার বাড়িতে?
বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন আজাদ। একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আজাদের স্ত্রী রোকসানা হক।
২০১৬ সাল থেকে অভিনয়ে পথচলা শুরু আজাদের। এক বছরের বেশি সময় ধরে নাটক ও বিজ্ঞাপন চিত্রে তাঁর ব্যস্ততা বেড়েছে। অভিনয়ের ব্যস্ততা ও পারিবারিক কারণে স্ত্রী-সন্তান ও মাকে নিয়ে বছরখানেক ধরে ঢাকার উত্তরায় থাকেন আজাদ। তবে প্রতি সপ্তাহে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে জিরাবোর বাড়িতে যান। ছুটির দিন মা, স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে কাটিয়ে তারপর আবার ঢাকায় ফিরে আসেন।
গত বৃহস্পতিবার আজাদ উত্তরা থেকে জিরাবোর পৈতৃক বাড়িতে যান। শনিবার গভীর রাতে ডাকাতের গুলিতে আহত হন আজাদ, তাঁর স্ত্রী রোকসানা হক ও মা আজিজুন নাহার। আজাদের স্ত্রীর কপালে পাঁচটি ও মাথায় দুটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। মায়ের এক্স-রে করা হয়েছে। আজাদের এমআরআই করা হয়েছে, গুলিতে আহত জায়গায় ব্যান্ডেজ করা হয়েছে।
নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা, ডাকাতের আক্রমণে মা ও স্ত্রী আহতআজিজুর রহমান আজাদ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু
বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”
চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”
১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”
১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে।
ঢাকা/শান্ত