রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচা এলাকায় কুপিয়ে মো. ইকবাল হোসেন (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে।

নিহত ইকবাল হোসেনের পরিবার বলছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরেই এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

আহত অবস্থায় ইকবালকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সাড়ে ১১টায় তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। একই ঘটনায় আহত জাহিদ হাসান রাজুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পথচারীরা ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো.

ফারুক বলেন, নিহত ইকবালের মৃতদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

নিহত ব্যক্তির স্ত্রী কুলসুম বলেছেন, পূর্বশত্রুতার কারণেই রাতে বিবির বাগিচা এলাকায় ইকবালকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করা হয়। এ অবস্থা দেখে মো. জাহিদ হাসান রাজু (৩০) নামে ভাঙারি দোকানের কর্মচারী এগিয়ে গেলে তাঁকেও গুলি করে আহত করে। পরে সংবাদ পেয়ে সেখান থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় ইকবালকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

নিহত ইকবালের স্বজনেরা জানান, পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার নারায়ণপাশা গ্রামের মৃত আবদুল বারেকের ছেলে ইকবাল। তিনি যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচা এলাকায় থাকতেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবস থ ইকব ল

এছাড়াও পড়ুন:

সারা দেশে সাত দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৮৮

ঢাকাসহ সারা দেশে বিগত সাত দিনে অভিযান চালিয়ে ২৮৮ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় তাঁদের আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, ককটেলসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনের ইউনিট এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রধারী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্তসহ ২৮৮ জনকে আটক করা হয়।

আইএসপিআর জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৪টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ১৫৬টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ২টি ককটেল, ৩টি ম্যাগাজিন, মাদকদ্রব্য, বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মালামাল ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাঁদের সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ