সুচিত্রা সেনের অজানা কথা নিয়ে ‘সূর্যতপা সুচিত্রা’
Published: 27th, February 2025 GMT
“সুচিত্রা সেনের সিনেমা দেখে কাঁদেননি বা কষ্টে চোখ লাল হয়নি— বাঙালি মধ্যবিত্ত পরিবারে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। সিনেমাতে তার উপস্থিতি, সিনেমা শেষে হওয়ার পরও অনেকক্ষণ এক অচেতন রেশ রেখে যায় দেহ ও মনে। ভাবুন— বাবা-মা, ভাই-বোন বা পরিবারের আরো অনেকে বসে একসঙ্গে সিনেমা দেখছেন, সুচিত্রা সেন কি এক অদ্ভুত জাদুবলে আলাদা করে দেয় সবাইকে, সময় থেকে নিয়ে যায় নিজ নিজ বৃত্তে ও স্মৃতিতে। পারস্পরিক সম্পর্ককে অটুট রেখেই কী অবলীলায় ঘুরে বেড়ান সবার মনোজগতে।” ভূমিকার এক অংশে লেখকদ্বয় এভাবেই চিত্রিত করেছেন বাংলা চলচ্চিত্রের মহানায়িকা সুচিত্রা সেনকে।
বাঙালির মধ্যবত্তি জীবন ও জীবন সংগ্রামে সুচিত্রা সেন অপরিহার্য। ঘর-সংসার, কর্মস্থল, ব্যক্তি জীবন— সবখানে সংঘাত এড়িয়ে, আপস না করে, কীভাবে নির্মোহ ও সরল জীবনযাপন করা যায়; তা সুচিত্রা সেন নতুন করে শিখিয়েছেন।
‘সূর্যতপা সুচিত্রা’— বইটি সুচিত্রা সেনকে নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থই বলা চলে। দুই বাংলার খ্যাতিমান মানুষদের সহজ-সরল ভাবনায় উঠে এসেছেন এই কিংবদন্তি নায়িকার নানাদিক ও অজানা কথা। আলোচনা-পর্যালোচনা, তর্ক-বিতর্ক, স্মৃতি-অনুস্মৃতি— সবই আছে এ বইয়ে। পড়তে পড়তে মনে হবে সুচিত্রা সেনের সঙ্গে কথা বলছেন পাঠক একান্ত আলাপচারিতায়।
আরো পড়ুন:
বরেণ্য অভিনেতা মুরালি গ্রেপ্তার
ভাইরাল ভিডিওর নেপথ্যের গল্প শোনালেন নাঈম
কলকাতা ও বাংলাদেশের খ্যাতিমান লেখক-কবি-সাংবাদিক, সুচিত্রা সেনের শৈশব-কৈশরের বন্ধু, কর্মজীবনের বন্ধুদের নানা গল্প আছে এ বইয়ে। সুচিত্রা সেনের কিছু দুর্লভ আলোকচিত্রও এতে স্থান পেয়েছে। তৎকালীন সময় দেয়ালে সাঁটানো তার ছবির মূল পোস্টারও রয়েছে। কিভাবে তখন এসব পোস্টার হতো, সে নিয়ে একটি তথ্যগল্প রয়েছে এ বইয়ে।
বইটি সম্পাদনা করেছেন দুই মেধাবী সাংবাদিক উম্মুল ওয়ারা সুইটি ও প্রতীক ইজাজ। তারা দুজনেই খুব ভালো গদ্য লিখেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি সংস্কৃতি, গণমুখী আন্দোলন ও মুক্তবুদ্ধিচর্চার নানাদিকে তাদের বিচরণ রয়েছে। এই বইয়ে সুচিত্রা সেনকে নিয়ে তারা নিজেরাও লিখেছেন।
এবারের একুশে বইমেলা উপলক্ষে ‘সূর্যতপা সুচিত্রা’ প্রকাশ করেছে শুদ্ধপ্রকাশ। প্রচ্ছদ করেছেন চারু পিন্টু। পাওয়া যাচ্ছে বাংলা একাডেমির বইমেলার ৫১১ নম্বর স্টলে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।
মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।
মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ