ব্রণের সমস্যা কমাতে যেভাবে ব্যবহার করবেন গোলাপজল
Published: 27th, February 2025 GMT
ত্বকের যত্নে গোলাপজলের তুলনা নেই। ত্বক পরিষ্কারের পাশাপাশি এটি ব্রণের সমস্যা দূর করে। এটি ত্বকে থাকা ধুলাবালি এবং অন্যান্য ময়লা পরিষ্কার করতে কাজ করে । এছাড়া নিয়মিত গোলাপজল ব্যবহার করলে ত্বক টানটান থাকে।
যেভাবে গোলাপ জল ব্যবহার করলে উপকার মিলবে
কমলালেবুর খোসা এবং গোলাপ জল: কমলালেবুর খোসা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করুন। এই পাউডার গোলাপজলের সঙ্গে মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন ৷ এবার এটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন । তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন । কমলার খোসার গুঁড়ো ত্বক উজ্জ্বল করতে ব্যবহার করা হয় । এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়, যা ব্রণের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
চন্দন গুঁড়ো এবং গোলাপ জল: চন্দন পাউডারের সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে লাগালেম মুখ যেমন উজ্জ্বল হয়,তেমনি ব্রণের সমস্যাও দূর হয় । চন্দন পাউডারে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করে ৷
মুলতানি মাটি এবং গোলাপ জল: অনেক বছর ধরে ত্বককে উজ্জ্বল করতে মুলতানি মাটি ব্যবহার করা হয় । গোলাপ জলের সঙ্গে এই মাটি মিশিয়ে লাগালে শুধু ত্বকের উন্নতি হয় না, ত্বক সংক্রান্ত অনেক সমস্যাও দূর হয় ।
আদা এবং গোলাপ জল: আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ব্রণের সমস্যার জন্য খুবই কার্যকরী । ব্রণের সমস্যা দূর করতে এবং ভবিষ্যতে তা প্রতিরোধ করতে এই মিশ্রণটি ব্যবহার করা খুবই উপকারী ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।