ত্বকের যত্নে গোলাপজলের তুলনা নেই। ত্বক পরিষ্কারের পাশাপাশি এটি ব্রণের সমস্যা দূর করে। এটি ত্বকে থাকা ধুলাবালি এবং অন্যান্য ময়লা পরিষ্কার করতে কাজ করে । এছাড়া নিয়মিত গোলাপজল ব্যবহার করলে ত্বক টানটান থাকে। 

যেভাবে গোলাপ জল ব্যবহার করলে উপকার মিলবে

কমলালেবুর খোসা এবং গোলাপ জল: কমলালেবুর খোসা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করুন। এই পাউডার গোলাপজলের সঙ্গে মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন ৷ এবার এটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন । তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন । কমলার খোসার গুঁড়ো ত্বক উজ্জ্বল করতে ব্যবহার করা হয় । এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়, যা ব্রণের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। 

চন্দন গুঁড়ো এবং গোলাপ জল: চন্দন পাউডারের সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে লাগালেম মুখ যেমন উজ্জ্বল হয়,তেমনি  ব্রণের সমস্যাও দূর হয় । চন্দন পাউডারে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করে ৷

মুলতানি মাটি এবং গোলাপ জল: অনেক বছর ধরে ত্বককে উজ্জ্বল করতে মুলতানি মাটি ব্যবহার করা হয় । গোলাপ জলের সঙ্গে এই মাটি মিশিয়ে লাগালে শুধু ত্বকের উন্নতি হয় না, ত্বক সংক্রান্ত অনেক সমস্যাও দূর হয় ।

আদা এবং গোলাপ জল: আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ব্রণের সমস্যার জন্য খুবই কার্যকরী । ব্রণের সমস্যা দূর করতে এবং ভবিষ্যতে তা প্রতিরোধ করতে এই মিশ্রণটি ব্যবহার করা খুবই উপকারী ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ