শিশুর হাতে কেন মাতৃভাষায় লেখা বই তুলে দেবেন
Published: 27th, February 2025 GMT
মায়ের ভাষা শুনতে শুনতেই বড় হয় শিশু। প্রথম বুলিও সাধারণত সেই ভাষাতেই ফোটে। বেড়ে ওঠার দিনগুলোতেই মায়ের ভাষা তার বড় আপন মনে হয়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হওয়ারও আগে জীবনের প্রথম পাঠ এই ভাষাতেই হয়। এ তো প্রতিটি শিশুর বেড়ে ওঠার সাদাসিধে গল্প। তবে পৃথিবীর সব শিশু কিন্তু মাতৃভাষায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পায় না। অথচ ইউনিসেফ বলছে, শৈশবে শেখার জন্য মাতৃভাষায় লেখা বই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মাতৃভাষা, অর্থাৎ নিজের শোনা প্রথম ভাষাটাই শিশুর জন্য সহজ। মনোবিজ্ঞানের মতে, এই ভাষার সঙ্গেই সে নিজের যোগ খুঁজে পায়। এই ভাষার মাধ্যমে পাওয়া তথ্য সহজে বুঝতে পারে শিশু। অনেকটাই উপলব্ধি করতে পারে লেখকের ভাষ্য। স্বাভাবিকভাবেই বই থেকে সে অনেক সহজে জ্ঞান আহরণ করতে পারে। পরিচিত ভাষায় লেখা বইগুলো তার জন্য পড়া সহজ বলে তার বইপড়ার আগ্রহও বাড়ে। এমনটাই জানালেন রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেডের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী শারমিণ হক।
শিশুর বিকাশে
পরিচিত, সহজ ভাষায় শিশু যে বই পড়ে, সেটি তার বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখে। লেখক যে আবেগের বিস্তার ঘটান বইয়ের পাতায়, সেই আবেগের সঙ্গেও শিশু নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারে। বইয়ে বর্ণনা করা কোনো চরিত্রকে কল্পনাও করতে পারে অনায়াসে। বই পড়ে কত সহজে জ্ঞানের আলোকিত প্রান্তরে প্রবেশ করা যায়, এ বিষয়টিও সে নিজের মতো করে বুঝে নিতে পারে। ফলে বইপড়ার প্রতি আগ্রহও বাড়ে। বিভিন্ন বিষয়ের ওপর মাতৃভাষায় লেখা বই শিশুকে দেওয়া হলে সে নানান বিষয়ে যেমন জানতে পারে, তেমনি এসব বইয়ের মাধ্যমে সৃজনশীলতার চর্চাও হয়। মাতৃভাষায় লেখা বইয়ে নিজের দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ছোঁয়া পাবে শিশু। শিশুর মধ্যে দেশাত্মবোধ জন্মাবে। আবার অন্য ভাষার কিছু বইও যদি সে মাতৃভাষায় পড়ার সুযোগ পায়, তাহলে ভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গেও সহজে পরিচিত হবে।
আরও পড়ুনবই রাখার জন্য ২৮ লাখ টাকায় ফ্ল্যাট কিনে ফেললাম০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫মাতৃভাষায় শেখার সুযোগ একটি শিশুর ভবিষ্যৎ একাডেমিক জীবনেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
রাজবাড়ীতে সাংগঠনিক সভা
সাংগঠনিক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশের সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত শুক্রবার সমকাল জেলা প্রতিনিধির কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশের সভাপতি কমল কান্তি সরকার। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রবিউল রবি।
সভায় আগামী কয়েক মাসের কর্মপরিকল্পনা হিসেবে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশের নতুন সংযোজন বইপড়া প্রতিযোগিতা নিয়েও নতুন সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী আরও কয়েকটি স্কুলে কর্মসূচি অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সুহৃদরা মতপ্রকাশ করেন। সবার মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত অনুষ্ঠানের আগে আয়োজিত হবে কয়েকটি প্রতিযোগিতা।
আলোচনায় অংশ নেন– সুহৃদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, আহসান হাবিব, সৌমিত্র শীল চন্দন, পাঠচক্র সম্পাদক আব্দুর রব সুমন ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হৈমন্তি বিজয়। উপস্থিত ছিলেন বন ও পরিবেশ সম্পাদক নিলুফা আক্তার ইভা, কার্যনির্বাহী সদস্য তানজিনা তাজিন, স্মৃতি প্রামাণিক, ফারহান শাহরিয়ার প্রধান, আমিনুল ইসলাম মিলন, মাইশা আঞ্জুম, রিফাত হোসেন, মেহেরাব হোসেন সায়মুন, সোহাগ প্রমুখ।
সভা শেষে সভাপতি কমল কান্তি সরকার জানান, “বইপড়া কর্মসূচির পাশাপাশি আমাদের নিয়মিত আয়োজন ‘সুহৃদ পাঠচক্র’ অব্যাহত থাকবে।” সবাইকে পরবর্তী পাঠচক্রে অংশগ্রহণের আহ্বানের মধ্য দিয়ে সভা সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। v
সাধারণ সম্পাদক সুহৃদ সমাবেশ, রাজবাড়ী