হাইকোর্টের রায়ে খালাস পেলেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল
Published: 27th, February 2025 GMT
বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন। সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় দুই দশকের বেশি সময় আগে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় সাজা হয়েছিল বিএনপির এই নেতার।
ওই সাজার রায়ের বিরুদ্ধে করা এক আবেদনের (ক্রিমিনাল রিভিশন) শুনানি শেষে বিচারপতি মোহাম্মদ আলী ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
আদালতে হাবিবুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো.
রায়ের বিষয়ে আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দণ্ডবিধিতে করা ওই মামলায় অধস্তন দুই আদালতের দেওয়া সাজার রায় বাতিল করে হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাবিবুল ইসলাম জামিনে আছেন।
মামলার নথি ও আইনজীবীসূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার এক নারীকে দেখতে ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার এক যুগ পর ২০১৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা আদালতে নালিশি অভিযোগ করেন কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন। আদালত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করতে সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১৭ মে হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ অন্যদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনে পৃথক অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এর মধ্যে দণ্ডবিধির মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রায় দেন সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। এতে হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ নেতা-কর্মীকে ৪ থেকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ১০ বছর সাজার বিরুদ্ধে আপিল করা হলে দায়রা আদালতের ২০২২ সালের ৭ এপ্রিল দেওয়া রায়ে ওই দণ্ড বহাল থাকে। এর বিরুদ্ধে ওই বছরই হাইকোর্টে রিভিশন করেন হাবিবুল ইসলাম হাবিব। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত রুল দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল যথাযথ (অ্যাবসলিউট) ঘোষণা করে আজ রায় দেওয়া হয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ ব ব ল ইসল ম হ ব ব আইনজ ব ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মানিকগঞ্জে কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা ছাত্রলীগ নেতার রিট বাতিল
বাগেরহাট প্রেস ক্লাব ও অন্যান্যদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন রিট পিটিশন দাখিল করেন। এছাড়া চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট ১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল একই বিষয়ে পৃথক রিট পিটিশন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাব এবং বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে।”
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকে বাগেরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় তারা।
তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নির্ধারণ করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ঢাকা/শহিদুল/বকুল