চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ব্যর্থতায় অধিনায়কত্ব ছাড়লেন বাটলার
Published: 28th, February 2025 GMT
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তানের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে ইংল্যান্ড। তাতে সমালোচনার মুখে অধিকায়ত্ব ছাড়লেন জস বাটলার।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই স্পোর্টস এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। করাচিতে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
গ্রুপ বি থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু হয় ইংল্যান্ডের। পরের ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় ধাক্ষা খায় দলটি। বাদ পড়ে যায় গ্রুপ পর্ব থেকে।
আরো পড়ুন:
চার ভেন্যুতে ৩৪ ম্যাচের পিএসএল হবে ৩৮ দিনে
সালমা জেতালেন মোহামেডানকে, গুলশানের প্রথম হার
ভারতীয় দৈনিক এক ইনডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আফগানদের বিপক্ষে হারের পর ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেন বাটলার।
ইংল্যান্ডকে ৪৩টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাটলার। ১৮ ম্যাচে জয় পেয়েছেন আর হেরেছেন ২৫টিতে। আর ৫১টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়ে জয় পেয়েছেন ২৬টিত, হেরেছেন ২২ টিতে।
ঢাকা/রিয়াদ/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সন্দ্বীপ চ্যানেলে মাঝপথে জ্বালানি শেষ স্পিডবোটের, ২৭ যাত্রী নিয়ে ভেসে ছিল আড়াই ঘণ্টা
সন্দ্বীপ চ্যানেলে দুর্ঘটনায় পড়া একটি স্পিডবোট আড়াই ঘণ্টা সাগরে ভেসে থাকার পর কূলে পৌঁছেছে। বোটটিতে ৩ শিশু, ২ নারীসহ মোট ২৭ জন যাত্রী ছিলেন।
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা বোটটি বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ছোট কুমিরা উপকূলে পৌঁছায়। বোট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানটি হলো সন্দ্বীপ মেরিন সার্ভিস।
বোটের কয়েকজন যাত্রী প্রথম আলোকে জানান, কুমিরা ঘাটের কাছাকাছি আসতেই বোটটির গতি কমে যায়। এরপর প্রবল ঢেউ ও স্রোতের মুখে বারবার পানিতে আছড়ে পড়তে থাকে। চালক তখন যাত্রীদের জানান, বোটের জ্বালানি শেষ হয়ে গেছে। এর মধ্যে বোটের সামনের অংশে পানি ঢুকতে দেখা যায়। আতঙ্কিত যাত্রীরা তখন চিৎকার করতে থাকেন। পরে বোটটি ভাসতে ভাসতে কূলে পৌঁছায়।
বোটে থাকা যাত্রী ফুয়াদ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বোটের তলা ফেটে পানি ঢুকছে আর আমরা এক কিলোমিটার দূরে উত্তাল সাগরে ভাসছি। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল বেঁচে ফিরতে পারব না, এমনকি সমুদ্রে ঝাঁপ দেওয়ার কথাও ভাবছিলাম। কিন্তু ভাগ্য ভালো, শেষ পর্যন্ত কূলে পৌঁছাতে পেরেছি।’
বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সবাই নিরাপদে কূলে নামতে সক্ষম হন বলে জানান ফুয়াদ।
বিকেলেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্পিডবোট ডুবে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রাণহানির আশঙ্কায় অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বিষয়টির কারণ জানতে বিভিন্ন মন্তব্য করেন।
জানতে চাইলে বোট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান সন্দ্বীপ মেরিন সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বোটের জ্বালানি শেষ হয়নি। তীব্র স্রোতের কারণে বোটটি কুমিরা ঘাট থেকে উত্তরে সরে গিয়ে তীরের কংক্রিট ব্লকে ধাক্কা খায়। এতে বোটের নিচের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু যাত্রীরা সবাই নিরাপদে কূলে পৌঁছাতে সক্ষম হন।’
বৈরী আবহাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বোট চালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের সার্ভিস বন্ধ ছিল। তবে বিদেশগামী কয়েকজন যাত্রীর অনুরোধে এই একটি ট্রিপ চালু করতে হয়েছে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে এই সময়ে বোট চলাচলের অনুমতি ছিল না। তিনি বলেন, মাঝ সাগরে জ্বালানি শেষ হওয়ার যে কথা বলা হচ্ছে, তার দায় চালক ও মালিকের। ইতিমধ্যে স্বত্বাধিকারীদের কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। চালকের লাইসেন্স স্থগিত করে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।