ডেন্টালের ভর্তি পরীক্ষা: ৫৪৫ আসনের ফলাফল কখন, জানা যাবে দুপুরে
Published: 2nd, March 2025 GMT
সরকারি বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ ও মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ কবে হবে তা জানা যাবে আজ রোববার (২ মার্চ)। আজ দুপুরে এ সংক্রান্ত সভায় ফলাফল প্রকাশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন আজ রোববার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ রোববার দুপুরে একটি সভা আছে। সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সভার পরে জানা যাবে, কখন ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।’
সরকারি বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ ও মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছিলেন ৬৮ হাজার ৬৮৪ জন। ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে মোট আসন ৫৪৫টি।
আরও পড়ুনআজ থেকে ৪০ দিনের ছুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে২ ঘণ্টা আগেমেধাক্রম নির্ধারণ কীভাবে
লিখিত ভর্তি পরীক্ষা এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয়েছে। লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় ১০০টি প্রশ্নের প্রতিটি ১ (এক) নম্বর করে মোট নম্বর ১০০ (এক শ)। বিষয়ভিত্তিক নম্বর বিভাজন-জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থবিজ্ঞান ২০, ইংরেজি ১৫, সাধারন জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তজাতিক বিষয়াবলি) ১০।
পরীক্ষার সময়কাল ১ (এক) ঘণ্টা। লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি সঠিক উত্তর প্রদানের জন্য ১ (এক) নম্বর প্রদান করা হবে। কোনো প্রশ্নের একাধিক উত্তর প্রদান করলে উত্তরটি ভুল বলে গণ্য হবে। প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য ০.
এসএসসি/‘ও’ লেভেল/সমমান ও এইচএসসি/‘এ’ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ১০০ (একশত) নম্বর হিসেবে নির্ধারণ করে মূল্যায়ণ করা হবে। এসএসসি/ও লেভেল/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ১০ গুণ=৫০ নম্বর (সর্বোচ্চ) এইচএসসি/এ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ১০ গুণ =৫০ নম্বর (সর্বোচ্চ)।
আরও পড়ুনফুলব্রাইটসহ কয়েকটি স্কলারশিপে অর্থায়ন বন্ধ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫দ্বিতীয়বার ভর্তি-ইচ্ছুকদের কত নম্বর কাটা-
পূর্ববর্তী বছরের (২০২৩ সালে) এইচএসসি/‘এ’ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৩ (তিন) নম্বর এবং পূর্ববর্তী বছরের (২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে) সরকারি মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল কলেজ/মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট এ ভর্তিরত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বমোট নম্বর থেকে ৬ (ছয়) নম্বর কর্তন করে মেধা তালিকায় অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা, আবেদনের সময় বৃদ্ধি, এমসিকিউ ১০০, মেধাতালিকা ২০০ নম্বরে২১ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ য় প র ম ড ক ল কল জ পর ক ষ র র জন য সরক র ফল ফল
এছাড়াও পড়ুন:
‘রাষ্ট্রীয় শোক’ প্রত্যাখ্যান
গণগ্রেপ্তার, নির্যাতন–নিপীড়ন–হয়রানি চলছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখসারির ছয়জন সমন্বয়ক তখনো আটক ছিলেন ডিবি কার্যালয়ে। এ রকম একটি পরিস্থিতিতে সরকারি উদ্যোগে লোকদেখানো ‘রাষ্ট্রীয় শোক’ পালন করা হচ্ছিল ৩০ জুলাই। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের এই কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করে সেদিন ‘মুখে ও চোখে লাল কাপড় বেঁধে ছবি তোলা এবং তা অনলাইনে প্রচারের কর্মসূচি’ পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এই কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া পড়ে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্বিচার গুলি ও হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সমর্থনে ২৯ জুলাই রাত (২০২৪ সাল) থেকেই ফেসবুকের প্রোফাইলে লাল রঙের ফ্রেম ব্যবহার শুরু হয়। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সংস্কৃতিকর্মী, লেখক, সাংবাদিক, চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানান।
ফেসবুকে অভূতপূর্ব সাড়ার পাশাপাশি নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এবং হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে ৩০ জুলাই দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাস ও সড়কে মিছিল করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে মুক্তি দিতে ও দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে আইনজীবী মানজুর-আল-মতিন ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকার করা রিটের শুনানিতে ৩০ জুলাই হাইকোর্ট মন্তব্য করেন ‘এসব মৃত্যু আমাদের সবার জন্যই দুঃখজনক’।
সেদিন দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘হত্যা, অবৈধ আটক ও নির্যাতনের বিচার চাই’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন বিশিষ্ট নাগরিকেরা। ‘বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ’–এর ব্যানারে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান (এখন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা)। অধ্যাপক আসিফ নজরুল (বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা), টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, মানবাধিকারকর্মী
শিরীন হক, অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, অধ্যাপক সামিনা লুৎফা ও এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা প্রমুখ এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর যে মাত্রায় বলপ্রয়োগ ও সন্ত্রাসী কায়দায় আক্রমণ করা হয়েছে, তা দেশের জনগণ ও বিশ্ববিবেককে স্তম্ভিত, ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত করেছে।’
অন্যদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ দেওয়া ও আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ৩০ জুলাই বিবৃতি দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। অন্যদিকে বাংলাদেশ সরকারকে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
গণ–অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলো সম্পর্কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদের (বর্তমানে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক) চলতি জুলাই মাসের ৬ তারিখ রাতে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ২৯ জুলাই (২০২৪ সাল) সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় শোক এবং কালো ব্যাজ ধারণের ঘোষণা দেওয়ার পর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীনের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। নাছির উদ্দীন তাঁকে রাষ্ট্রীয় কালো ব্যাজের বিপরীতে লাল ব্যাজ ধারণের প্রস্তাব দেন। পরে মো. আবু সাদিক কায়েমকে (ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা) ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছিলেন আবদুল কাদের। সাদিকও সম্মতি দেন। নাছির উদ্দীন ও আবু সাদিকের সঙ্গে বারবার আলোচনা করেই মুখে–চোখে লাল কাপড় বেঁধে ছবি তোলা ও তা অনলাইনে প্রচার করার কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়েছিল।