আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরও একটি মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে বিরাট কোহলি। আজ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের ৩০০তম ওয়ানডে খেলতে নামবেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে ভারতের সপ্তম ক্রিকেটার হিসেবে এই অর্জন স্পর্শ করবেন কোহলি।
ওয়ানডে ক্রিকেটে ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড শচীন টেন্ডুলকারের, যার নামের পাশে রয়েছে ৪৬৩ ম্যাচ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মহেন্দ্র সিং ধোনি খেলেছেন ৩৪৭টি ওয়ানডে, রাহুল দ্রাবিড় ৩৪০টি, মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন ৩৩৪টি, সৌরভ গাঙ্গুলী ৩০৮টি এবং যুবরাজ সিং ৩০১টি ম্যাচ খেলেছেন।
কোহলির বিশেষ এই ম্যাচটি দেখতে গ্যালারিতে উপস্থিত থাকবেন তার স্ত্রী, বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা এবং তার ভাই বিকাশ কোহলি।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ইতোমধ্যেই জায়গা করে নিয়েছে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। আজকের ম্যাচের জয়ী দল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উঠবে। তবে ম্যাচের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ কোহলির এই মাইলফলক ছোঁয়া। পাকিস্তানের বিপক্ষে আগের ম্যাচেই অপরাজিত সেঞ্চুরি করেছিলেন কোহলি, যেখানে তিনি ওয়ানডেতে ১৪ হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেন। সবচেয়ে কম ইনিংসে এই কৃতিত্ব অর্জন করে শচীন টেন্ডুলকারের রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি।
ভারতের বর্তমান দলে কোহলির পর ওয়ানডেতে ৩০০ ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি অধিনায়ক রোহিত শর্মার। তিনি এখন পর্যন্ত ২৭০টি ওয়ানডে খেলেছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র ট ক হল সবচ য়
এছাড়াও পড়ুন:
হাজার কোটি টাকা নিট মুনাফার মাইলফলকে সিটি ব্যাংক
২০২৪ সালে এক অনন্য মাইলফলক স্থাপন করেছে দেশীয় মালিকানাধীন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিটি ব্যাংক। গত বছর ব্যাংকটি সমন্বিতভাবে ১,০১৪ কোটি টাকা নিট মুনাফা করেছে যা এখন পর্যন্ত ব্যাংকের ৪২ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। সিটি ব্যাংক এককভাবে ১,০৮৫ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন করলেও সহযোগী দুটি প্রতিষ্ঠানের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বাজারমূল্য হ্রাস পাওয়ায় প্রভিশন ব্যয় হওয়ার কারণে ব্যাংকের সমন্বিত নিট মুনাফা ১,০১৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। সিটি ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২৩ সালে ব্যাংকটির সমন্বিত নিট মুনাফা ছিল ৬৩৮ কোটি টাকা। সে তুলনায় ২০২৪ সালে সমন্বিত মুনাফা বেড়েছে ৩৭৬ কোটি টাকা বা ৫৯ শতাংশ- যা সিটি ব্যাংকের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় ২০২৪ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করে ব্যাংকটি। সেই সঙ্গে ঘোষণা করা হয় ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ, যার মধ্যে ১২.৫ শতাংশ নগদ এবং ১২.৫ শতাংশ বোনাস। গত বছরও একই হারে লভ্যাংশ দিয়েছিল সিটি ব্যাংক। শেয়ারধারীদের অনুমোদনের পর এই লভ্যাংশ বার্ষিক সাধারণ সভায় বিতরণ করা হবে। ঘোষিত নগদ লভ্যাংশে ব্যয় হবে প্রায় ১৭০ কোটি টাকারও বেশি। পাশাপাশি বোনাস হিসেবে প্রতি ১০০ শেয়ারের বিপরীতে ১২.৫টি নতুন শেয়ার দেওয়া হবে।
রেকর্ড মুনাফার প্রভাব পড়েছে ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয়েও। ২০২৩ সালের ৪.৭৪ টাকার তুলনায় ২০২৪ সালে ইপিএস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৫৩ টাকায়, অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি ৫৮.৯ শতাংশ। একইভাবে শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য বেড়ে হয়েছে ৩৪.৩৯ টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ৫.৩৮ টাকা বা ২০.৪১ শতাংশ বেশি।
রেকর্ড মুনাফার কারণ জানতে চাইলে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘মানুষ আমাদের ওপর আস্থা রেখে আমানত রেখেছে। আয়-ব্যয়ের অনুপাত ৬০ শতাংশ থেকে কমে ৪২ শতাংশে নেমে এসেছে। ফলে মুনাফায় বড় উল্লম্ফন ঘটেছে। আমরা কর্মীদের বেতন বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করেছি, যা কর্মীদের উৎসাহিত করেছে। আমাদের পরিচালনা পর্ষদ সৎ ও মেধাবী। ব্যাংকে ঈর্ষণীয় পর্যায়ের সুশাসন বিদ্যমান। এসবই রেকর্ড মুনাফার পেছনের মূল কারণ।’
২০২৪ সালে ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ৩১ শতাংশ বা ১২,১৭৭ কোটি টাকা, যেখানে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ শতাংশ বা ৪,৮৩১ কোটি টাকা। এই উদ্বৃত্ত তহবিলের বড় একটি অংশ সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা হয়েছে, যা আগের বিনিয়োগ থেকে ৬,১৫০ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২,৪৮৮ কোটি টাকায়।