আবারো ফেডারেল কর্মীদের কাজের হিসাব চাইলেন মাস্ক
Published: 2nd, March 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন দেশটির ফেডারেল সরকারের কর্মীদের কাছে তাদের কাজের হিসাব চেয়ে আবারো ই-মেইল পাঠিয়েছে। গতবারের মতো এই মেইলেও এক সপ্তাহের কাজ ও অর্জনের সারসংক্ষেপ জানিয়ে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন সরকারের মানবসম্পদ বিভাগ, মার্কিন কর্মী ব্যবস্থাপনা অফিসের (ওপিএম) পক্ষ থেকে বিভিন্ন সংস্থায় পাঠানো এসব ই-মেইলে কর্মীদের গত সপ্তাহে তাদের অর্জন করা পাঁচটি কাজের তালিকা দিতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করতে পারেন ট্রাম্প
ট্রাম্পের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা
জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউজ থেকে বের হয়ে যেতে বলা হয়েছিল
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ফেডারেল সরকারের ব্যয় কমানো এবং কর্মী ছাঁটাইয়ের জন্য ইলন মাস্কের নেতৃত্বে নতুন দপ্তর ‘ডিওজিই’ চালু করেন ট্রাম্প।
মাস্কের এই দপ্তর বিগত সপ্তাহগুলোতে আইআরএস, এফএএ, পেন্টাগনসহ আরো কিছু সংস্থার হাজার হাজার কর্মী ছাঁচাই করেছে।
শনিবার (১ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ ইলন মাস্ক লিখেছেন, “এই মেইলের জবাব দেওয়া নির্বাহী বিভাগে কর্মরত সবার জন্য বাধ্যতামূলক। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তো সেটা আগেই স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন। মেইল প্রাপ্ত কেউ যদি কোনো গোপনীয় বা সংবেদনশীল কাজে যুক্ত থাকে, তাহলে অন্তত সেটি জানিয়ে হলেও মেইলের জবাব দিতে হবে।”
গত সপ্তাহেও মাস্ক একই ধরনের কৌশল অবলম্বন করেছিলেন। সেবার ইমেইলের জবাব দিতে ব্যর্থ হলে চাকরিচ্যুতির হুমকি দিয়েছিলেন। তবে পররাষ্ট্র ও বিচার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের চেইন অব কমান্ড ভেঙে কোনও পদক্ষেপ নিতে নিষেধ করেন।
এরপর, ওই মেইলের জবাব দেওয়া সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাধীন বলে জানায় ওপিএম।
তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থন পেয়ে কর্মীদের মেইলের মাধ্যমে চাপে রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মাস্ক। কর্মীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এটা প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন তিনি। এবারের দফার মেইলে চাকরি চ্যুতির হুমকি নেই। তবে প্রতি সপ্তাহের শুরুতে একই ধরনের জবাব তারা আশা করছেন বলে মেইলে জানানো হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, এবারের দফার ই-মেইল অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগ, জাতীয় সমুদ্র ও পরিবেশ প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মীদের পাঠানো হয়েছে।
ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা, শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাসহ একাধিক সমালোচক বলেছেন, এই ব্যাপক কর্মী ছাঁটাই কর্মসূচি চালিয়ে গেলে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কাজ চালিয়ে নেওয়ায় কঠিন হয়ে পড়বে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ম দ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি