ঠিকাদারির বিল নিতে যাওয়া যুবলীগ নেতাকে পুলিশে দিলেন বিএনপি নেতা–কর্মীরা
Published: 2nd, March 2025 GMT
কুমিল্লার দেবীদ্বার পৌর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ সরকারকে (৪৫) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আজ রোববার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে যুবলীগের নেতা ওয়াহেদ দেবীদ্বার পৌরসভায় ঠিকাদারি কাজের বিল আনতে গেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে তাঁকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়।
যুবলীগের নেতা আবদুল ওয়াহেদ সরকার দেবীদ্বার পৌরসভার দেবীদ্বার গ্রামের পুরাতন বাজার এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির নেতা–কর্মীরা পুলিশের কাছে দাবি করেন, ওয়াহেদ গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে দেবীদ্বারে নিহত আবদুর রাজ্জাক ওরফে রুবেল হত্যা মামলার আসামি। তবে থানায় হস্তান্তরের পর পুলিশ যাচাই করে দেখে, যুবলীগের নেতা ওয়াহেদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।
আবদুর রাজ্জাক হত্যা মামলার বাদী এবং দেবীদ্বার পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো.
রাত সাড়ে আটটার দিকে দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির কিছু লোকজন ওয়াহেদ সরকারকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। যে হত্যা মামলার কথা বলা হচ্ছে, তিনি ওই মামলার আসামি নন। তবে ওয়াহেদ সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হওয়া সহিংসতার মামলার সন্দিগ্ধ আসামি। তাঁকে সহিংসতার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার কুমিল্লার আদালতে পাঠানো হবে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।