দেশের ক্রিকেট ‘মেরুদণ্ডের’ আরও এক হাড়ে কি ক্ষয়
Published: 3rd, March 2025 GMT
বেশ আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজন। বড় মঞ্চ, হাজির ১২ দলের অধিনায়কও। ট্রফি উন্মোচনের এত আয়োজনের ভিড়েও একজন হুট করে বলে উঠলেন, ‘আগের সেই অবস্থা কি আছে!’ মানুষ স্বভাবগতভাবেই অতীতে ডুবে থাকতে পছন্দ করেন। কিন্তু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে কথাটা তো সত্যিই!
ক্রিকেটীয় কাঠামোতে টেস্ট খেলুড়ে বাকি দেশগুলোতে উল্টো হতে পারে, তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে ঐতিহ্যগতভাবে এই লিস্ট ‘এ’ টুর্নামেন্টটি নিয়ে মাতামাতি অনেক বেশি। তামিম ইকবাল যেমন এটিকে বলছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের ‘মেরুদণ্ড’। এই মেরুদণ্ডের অনেকগুলো হাড়ের একটি হওয়ার কথা ‘দর্শক’, যেকোনো খেলাতেই যা জরুরি—তা অতীত হয়ে গেছে বেশ আগেই। পুরোনো কাগজের লেখা আর ছবিগুলোই এখন প্রিমিয়ার লিগের দর্শক খুঁজে পাওয়ার একমাত্র অবলম্বন। আবাহনী–মোহামেডান ম্যাচে শ পাঁচেক বা বড়জোর হাজারখানেক দর্শকই এখন সংখ্যার দিক থেকে অনেক।
তবুও যে দেশের ক্রিকেটের ‘মেরুদণ্ড’ এত দিন সোজা ছিল; তার একটা কারণ ছিল খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক, বেশির ভাগ ক্রিকেটার প্রিমিয়ার লিগের দিকে তাকিয়ে থাকতেন বছরের খরচটা তুলে নেওয়ার জন্য। অথচ এবার নাকি গত আসরের তুলনায় কারও অর্ধেক, কারও পারিশ্রমিক তার চেয়েও বেশি কমে গেছে।
এসব যে আড়ালে–আবডালের বিষয় হয়ে আছে, তা–ও নয়। একেবারে ট্রফি উন্মোচন মঞ্চে দাঁড়িয়েই পারিশ্রমিক নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। পরে তাঁর সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন আরও কয়েকজন।
ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে আড্ডায় ক্রিকেটাররা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট