যমজ বোনের ডেন্টালে ভর্তির সুযোগে আনন্দ, প্রথমবারের মতো আলাদা হওয়ার কষ্ট
Published: 3rd, March 2025 GMT
টাঙ্গাইলের সখীপুরে যমজ বোন ডেন্টাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। গতকাল রোববার ডেন্টাল কলেজে বিডিএসে ভর্তি পরীক্ষার (২০২৪-২৫) ফলাফলে যমজ বোন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
এই দুই বোন হলেন সামিয়া জাহান ওরফে আফসানা ও সাদিয়া জাহান ওরফে শাহানা। সামিয়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটে এবং সাদিয়া রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
এর আগে সখীপুরে আরেক শিক্ষক দম্পতির যমজ মেয়ে যারিন তাসনিম বুয়েটে এবং যাহরা তাসনিম মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান।
আরও পড়ুনএক বোনের বুয়েটে আরেকজনের মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ, প্রথমবার আলাদা হচ্ছেন তাঁরা০১ মার্চ ২০২৫সামিয়া ও সাদিয়ার পরিবার সূত্রে জানা যায়, সখীপুর পৌর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাহারতা এলাকার বাসিন্দা আল আমিন মিয়া ও আফিয়া আক্তার দম্পতির যমজ মেয়ে সামিয়া ও সাদিয়া। এর আগে দুই বোন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন।
যমজ বোনদের বাবা আল আমিন আজ সোমবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ওরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হয়ে ডেন্টাল কলেজে ভর্তি হবে। তাঁর দুই মেয়ে টাঙ্গাইলের কুমুদিনী সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ–৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। এর আগে এসএসসি ও জেএসসিতে তাঁরা জিপিএ–৫ পেয়েছিলেন।
সামিয়া জাহান ও সাদিয়া জাহান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা একসঙ্গে মায়ের পেটে ছিলেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। এক বিছানায় ঘুমিয়েছেন। একই টেবিলে, একই বিদ্যালয়ে ও একই কলেজে পাশাপাশি বসে পড়াশোনা করেছেন। এখন স্বপ্নপূরণে ও ভবিষ্যৎ জীবন গড়তে দুজনকে দেশের দুই প্রান্তে চলে যেতে হবে। একজন আরেকজনকে ছেড়ে থাকবেন, ভাবতেই তাঁদের কষ্ট হচ্ছে।
বাবা আল আমিন মিয়া উপজেলার বড়চওনা-কুতুবপুর কলেজের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং জামায়াতে ইসলামীর সখীপুর উপজেলা শাখার আমির। মা আফিয়া আক্তার স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
সখীপুর পাইলট উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল কাইউম বলেন, ‘ওরা আমাদের বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ–৫ পেয়েছিল। ওরা আমাদের বিদ্যালয়ের গর্ব। এবার ওই দুই বোন ডেন্টাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে শুনে খুব খুশি হয়েছি।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ড ন ট ল কল জ
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে টিলা কাটার অভিযোগে বিএনপি নেতা, ইউপি সদস্যসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা
সিলেট সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর গ্রামে টিলা কাটার অভিযোগে বিএনপি নেতা, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট মহানগরের বিমানবন্দর থানায় মামলাটি করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মামুনুর রশিদ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বদরুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। তদন্ত শেষে পরিবেশ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা এ বিষয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করবেন।
মামলার আসামিরা হলেন সিলেট সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর গ্রামের আবদুর রাজ্জাক খান (৩৫), পূর্ব পাঠানটুলা এলাকার আজিজ খান সজীব (৩৪), জাহাঙ্গীরনগরের মো. হাফিজুর রহমান (৪১), গিয়াস মিয়া (৪৫), মানিক মিয়া (৪৩) ও জুয়েল মিয়া (৩৫)। মামলায় আরও চার থেকে পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে আবদুর রাজ্জাক খান সিলেট সদর উপজেলা বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক। আজিজ খান সজীব সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং হাফিজুর রহমান টুকেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল ব্রাহ্মণছড়া চা-বাগান মৌজার ৫৬ নম্বর খতিয়ানের ৩২ নম্বর দাগের একটি টিলা কাটার প্রমাণ পায়। টিলাটি আবদুর রাজ্জাক খানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বলে উল্লেখ করা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে আনুমানিক ৭৫ ফুট দৈর্ঘ্য, ৩৩ ফুট প্রস্থ ও ২৩ ফুট উচ্চতার টিলা কেটেছেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের না পাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। টিলা কাটার বিষয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। আসামিরা রাতের বেলায় টিলা কেটে মাটি সরিয়ে আশপাশের প্লট ভরাট করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করলে মামলার প্রধান আসামি হিসেবে থাকা আবদুর রাজ্জাক টিলা কাটার বিষয়টি অস্বীকার করে প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, তিনি তো ননই, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কেউ টিলা কাটায় জড়িত নন। টিলার জায়গা কিংবা দখল—কোনোটাই তাঁর নয়। সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।