Samakal:
2025-04-30@20:50:09 GMT

ফের ফুটপাত বাণিজ্যে চসিক

Published: 3rd, March 2025 GMT

ফের ফুটপাত বাণিজ্যে চসিক

দখলমুক্ত ফুটপাত নাগরিকের অধিকার। আইন অনুযায়ী এই অধিকার রক্ষার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। অথচ চট্টগ্রামে ফুটপাত বাণিজ্যে লিপ্ত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। সৌন্দর্যবর্ধনের নামে দেওয়া ইজারায় ফুটপাত, নালা ও উদ্যানে অন্তত গড়ে উঠেছে তিন শতাধিক দোকান। এগুলো উচ্ছেদে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ফুটপাত, জলাশয় ও উন্মুক্ত স্থানে সৌন্দর্যবর্ধনের নামে আবারও টেন্ডার (দরপত্র) আহ্বান করা হয়েছে। এতে ৪ শতাধিক আবেদন পত্র জমা পড়েছে। আবেদনের অধিকাংশই বিএনপি ও দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের। সৌন্দর্যবর্ধনের নামে অতীতের মতো ফুটপাত, নালা, উদ্যানে দোকান নির্মাণ ও বিলবোর্ড ব্যবসার হিড়িক পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের দাবি, সৌন্দর্যবর্ধনে যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে শুধু কাজ দেওয়া হবে।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, চসিক এলাকায় বিভিন্ন সড়ক বিভাজক, ফুটপাত, ফুটওভার, ফ্লাইওভারের ওপর ও নিচের অংশ, পরিত্যক্ত খালি স্থান, উন্মুক্ত স্থান, জলাশয়ে সৌন্দর্যবর্ধন এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিভিন্ন সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে ওয়ার্ডভিত্তিক প্রস্তাব আহ্বান করা হয়।

দরপত্র বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সিটি করপোরেশনের আওতাধীন নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডকে ক্লিন, গ্রিন ও স্বাস্থ্যকর সিটির আওতায় আনতে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন মেয়র। দরপত্রে ৯টি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে– সৌন্দর্যবর্ধনের কাজে চসিক অর্থায়ন করবে না। সৌন্দর্যবর্ধনের বিনিময়ে বিজ্ঞাপনী ফলক স্থাপন করতে পারবে ইজারা পাওয়া প্রতিষ্ঠান। তা ছাড়া দৃষ্টিনন্দন, পরিবেশবান্ধব ও দেশের ঐতিহ্য-সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রস্তাবকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা গেছে, সিটি করপোরেশনের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে নগরের ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩২টি ওয়ার্ডে চার শতাধিক আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। চট্টগ্রাম নগরের সড়ক বিভাজকে (মিড আইল্যান্ড) সৌন্দর্যবর্ধন ও ফুটপাতে যাত্রীছাউনি নির্মাণে অনুমোদন চেয়েছে জে এম পাবলিসিটি। বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানটির মালিক চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তীর স্ত্রী নিহার সুলতানা। তাঁর বিরুদ্ধে এর আগেও চসিকে বিলবোর্ড বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।
টাইগার পাস এলাকার এক যুবদল নেতা বলেন, এর আগে দরপত্র কেনার অভিজ্ঞতা তাঁর নেই। তার পরও দুটি এলাকায় কাজ পাওয়ার জন্য তিনি আবেদন করেছেন। তাঁর জানা মতে, অধিকাংশ আবেদনই করেছেন বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতারা।

এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত মোট ৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে সৌন্দর্যবর্ধন ও আধুনিকায়নের জন্য নগরের ৪১টি এলাকা ইজারা দিয়েছিলেন সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। কাজ পাওয়াদের অধিকাংশ ছিলেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা, পরিবহন মালিক সমিতির নেতা ও সাংবাদিকের প্রতিষ্ঠান। এর পর ছয় মাস সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করা আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ আলম সুজনের সময় নগরের ১২টি জায়গা ইজারা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ছয়টিই পেয়েছিলেন প্রশাসকের ঘনিষ্ঠ দলীয় লোকজন ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। পরে মেয়র রেজাউল করিমের সময়ও ফুটপাত ইজারা দেওয়া হয়। তবে দরপত্র ছাড়াই এসব জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।
চসিকের সৌন্দর্যবর্ধন কাজ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে কেন দেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে মেয়র ডা.

শাহাদাত হোসেন বলেন, সিটি করপোরেশনের লোকবল নেই। রক্ষণাবেক্ষণের সামর্থ্যও নেই। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দিলে তারা রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারে। তবে দলীয় বিবেচনায় কেউ কাজ পাবে না বলে তিনি দাবি করেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, রাস্তা বা ফুটপাত বন্ধ করে কোনো কিছু অনুমোদন দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে কমিটি গঠন করা হবে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দরপত র র জন য নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

এলএনজি আমদানি: ব্যয় হবে ১৬২০ কোটি ৫ লাখ ২৮ হাজার টাকা

দেশের জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে গত কয়েক বছর ধরে স্পট মার্কেট থেকে আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে এলএনজি আমদানি করছে সরকার।

এরই অংশ হিসেবে পৃথক তিনটি কোটেশনের মাধ্যমে আগামী মে, জুন ও জুলাই মাসের জন্য এই তিন কার্গো এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। এতে মোট ব্যয় হবে এক হাজার ৬২০ কোটি ৫ লাখ ২৮ হাজার ৬৬৪ টাকা।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় প্রস্তাব তিনটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল

নতুন বছরের আগ মুহূর্তে কেরোসিন-ডিজেলের দাম কমল

সভা সূত্রে জানা গেছে, ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট হতে ১ কার্গো (২২-২৩ মে ২০২৫ সময়ে ২০তম) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদনের জন্য সভায় উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।

সূত্র জানায়, পেট্রোবাংলার মে মাসের জন্য ১ কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) স্বাক্ষরকারী চুক্তিবদ্ধ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের  কাছ থেকে দরপ্রস্তব আহ্বান করা হলে ৫টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দাখিলকৃত ৫টি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুর ভিত্তিক আরামকো ট্রেডিং সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে প্রতি এই এক কার্গো এলএনজি সংগ্রহ করবে। প্রতি এমএমবিটিইউ ১১.১৫ মার্কিন ডলার হিসেবে এক কার্গো সমান ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ক্রয়ে মোট ব্যয় হবে ৫৩৪ কোটি ৭৬ লাখ ১১ হাজার ৩৬০ টাকা।

সূত্র জানায়, একই প্রক্রিয়ায় জুন মাসের অন্য এক কার্গো এলএনজির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে এবং প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে দরপ্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স গানভর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড এই ১ কার্গো এলএনজি সরবরাহ করবে। প্রতি এমএমবিটিইউ ১১.২৭ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ক্রয়ে মোট ব্যয় হবে ৫৪০ কোটি ৫১ লাখ ৬৪ হাজার ১২৮ টাকা।

সভায় জুলাই মাসের জন্য ও এক কার্গো এলএনজি আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। পেট্রোবাংলা কর্তৃক ১ কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য এমএসপিএ স্বাক্ষরকারী চুক্তিবদ্ধ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের  কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে ৬টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দাখিলকৃত ৬টি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশের প্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড নির্বাচিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি এমবিটিইউ প্রতি এমবিবিইটএইউ ১১.৩৫৮৮ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ক্রয়ে মোট ব্যয় হবে  ৫৪৪ কোটি ৭৭ লাখ ৫৩ হাজার ১৭৬ টাকা।

ঢাকা/হাসনাত/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সর্বোচ্চ দরদাতা ইজারা পাননি, গাবতলী হাটে খাস আদায় করছেন ‘পছন্দের’ ব্যক্তিরা
  • এবার আগেভাগেই বই ছাপার কাজ শুরু হচ্ছে, ২০২৭ সাল থেকে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের চিন্তা
  • তিন প্রকল্প অনুমোদন, ব্যয় হবে ৩৯০ কোটি টাকা
  • বেজা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের দুই প্রস্তাব অন
  • অভিযোগের বিষয়ে এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটি’র বক্তব্য 
  • এলএনজি আমদানি: ব্যয় হবে ১৬২০ কোটি ৫ লাখ ২৮ হাজার টাকা
  • ‘নতুন শুরুর আশায়’ মাগুরা টেক্সটাইল মিলসের পুরোনা মেশিন বিক্রি
  • সোনাগাজীতে ইজারা চুক্তি না মেনে চলছে পশুর হাট