কক্সবাজারে বিমানবাহিনীর নির্মাণাধীন ঘাঁটিতে হামলা ও সংঘর্ষের চলাকালে শিহাব কবির নাহিদ (৩০) নামে এক যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সাত দিন পর গত সোমবার (মার্চ) নিহতের বাবা নাসির উদ্দিন কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন।

মামলার বাদী নাসির উদ্দিন কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সমিতি পাড়ার বাসিন্দা। তিনি প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট কক্সবাজারের সাবেক সুপার।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে কক্সবাজার বিমানবন্দরের পশ্চিম পাশের সমিতি পাড়ায় বিমানবাহিনীর নির্মাণাধীন ঘাঁটিতে হামলা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

আরো পড়ুন:

নারায়ণ চন্দ্র ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা 

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার খালাসের রায় বহাল

এদিকে, ওই ঘটনায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে সমিতি পাড়ার দুইজনের নাম উল্লেখ করে এবং নাম না জানা ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়। মামলার বাদী বিমানবাহিনীর সার্জেন্ট জিয়াউল হক। 

এই মামলায় সমিতি পাড়ার রাহাত ইকবাল ওরফে ইকবাল বাহার এবং এজাবত উল্লাহকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

নাসির উদ্দিনের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার দিকে বিমানবাহিনীর সদস্যরা স্থানীয় যুবক জাহেদুল ইসলামকে ধরে নিয়ে যায়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে ছাড়িয়ে আনতে যায়। তখন সংঘর্ষ  শুরু হয়। এ সময় রাস্তার পরিস্থিতি দেখতে গেলে শিহাব গুলিবিদ্ধ হন।

বিমানবাহিনীর করা মামলার এজাহারে বলা হয়, হামলাকারীরা রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির ক্ষতি ও নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিমান ঘাঁটির স্পর্শকাতর স্থাপনায় হামলা চালায়। তারা দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল ব্যবহার করে অতর্কিত আক্রমণ করে। তারা বিমানবাহিনীর ছয়-সাতটি সিসিটিভি ক্যামেরা, দুটি মোটরসাইকেল, কয়েকটি সরকারি গাড়ি, একটি অফিস ভবন, নির্মাণাধীন দালান ভাঙচুর করে। নির্মাণ সামগ্রীও লুটপাট করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৬৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান বলেন, “মামলাগুলোর তদন্ত চলছে। শিহাব গুলিবিদ্ধ হয়ে নাকি ইটপাটকেলের আঘাতে মারা গেছেন, তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।”

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সারা দেশে সাত দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৮৮

ঢাকাসহ সারা দেশে বিগত সাত দিনে অভিযান চালিয়ে ২৮৮ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় তাঁদের আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, ককটেলসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনের ইউনিট এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রধারী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্তসহ ২৮৮ জনকে আটক করা হয়।

আইএসপিআর জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৪টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ১৫৬টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ২টি ককটেল, ৩টি ম্যাগাজিন, মাদকদ্রব্য, বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মালামাল ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাঁদের সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ