কক্সবাজারে হামলা সংঘর্ষ: নিহত যুবকের বাবার মামলা
Published: 5th, March 2025 GMT
কক্সবাজারে বিমানবাহিনীর নির্মাণাধীন ঘাঁটিতে হামলা ও সংঘর্ষের চলাকালে শিহাব কবির নাহিদ (৩০) নামে এক যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সাত দিন পর গত সোমবার (মার্চ) নিহতের বাবা নাসির উদ্দিন কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন।
মামলার বাদী নাসির উদ্দিন কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সমিতি পাড়ার বাসিন্দা। তিনি প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট কক্সবাজারের সাবেক সুপার।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে কক্সবাজার বিমানবন্দরের পশ্চিম পাশের সমিতি পাড়ায় বিমানবাহিনীর নির্মাণাধীন ঘাঁটিতে হামলা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
আরো পড়ুন:
নারায়ণ চন্দ্র ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার খালাসের রায় বহাল
এদিকে, ওই ঘটনায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে সমিতি পাড়ার দুইজনের নাম উল্লেখ করে এবং নাম না জানা ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়। মামলার বাদী বিমানবাহিনীর সার্জেন্ট জিয়াউল হক।
এই মামলায় সমিতি পাড়ার রাহাত ইকবাল ওরফে ইকবাল বাহার এবং এজাবত উল্লাহকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
নাসির উদ্দিনের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার দিকে বিমানবাহিনীর সদস্যরা স্থানীয় যুবক জাহেদুল ইসলামকে ধরে নিয়ে যায়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে ছাড়িয়ে আনতে যায়। তখন সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় রাস্তার পরিস্থিতি দেখতে গেলে শিহাব গুলিবিদ্ধ হন।
বিমানবাহিনীর করা মামলার এজাহারে বলা হয়, হামলাকারীরা রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির ক্ষতি ও নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিমান ঘাঁটির স্পর্শকাতর স্থাপনায় হামলা চালায়। তারা দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল ব্যবহার করে অতর্কিত আক্রমণ করে। তারা বিমানবাহিনীর ছয়-সাতটি সিসিটিভি ক্যামেরা, দুটি মোটরসাইকেল, কয়েকটি সরকারি গাড়ি, একটি অফিস ভবন, নির্মাণাধীন দালান ভাঙচুর করে। নির্মাণ সামগ্রীও লুটপাট করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৬৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান বলেন, “মামলাগুলোর তদন্ত চলছে। শিহাব গুলিবিদ্ধ হয়ে নাকি ইটপাটকেলের আঘাতে মারা গেছেন, তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।”
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।
সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।
জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।
তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।
এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ রিকোভারীবৃন্দ।