বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানসহ নয় জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

বুধবার (৫ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলামের আদালত তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। 

অন্যরা হলেন— সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো.

তাজুল ইসলাম, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলাইমান সেলিম, সাংবাদিক দম্পতি ফারজানা রূপা ও শাকিল আহমেদ এবং যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হোসেন। 

তাদের মধ্যে আনিসুল হক, শাজাহান খান, আতিকুল ইসলামকে যাত্রাবাড়ী থানার একটি করে হত্যা মামলায়, ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদকে দুই হত্যা মামলায়, সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামকে খিলগাঁও থানার হত্যাচেষ্টা ও পল্টন থানার হত্যা মামলায়, কামাল আহমেদ মজুমদারকে মিরপুর থানার হত্যা মামলায় এবং সাবেক এমপি সোলাইমান সেলিমকে লালবাগ থানার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

যাত্রাবাড়ী থানার পৃথক দুই হত্যা মামলা ও এক হত্যাচেষ্টা মামলায় সংশ্লিষ্ট থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

ঢাকা/মামুন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল আহম দ ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

খেলাপি ঋণ আরও বেড়ে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা

লুকানো খেলাপি ঋণের আসল চিত্র সামনে আসায় আরও বেড়েছে খেলাপি ঋণ। মার্চে খেলাপি ঋণ আরও বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। মোট ঋণের যা ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। তিন মাস আগে গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছিল তিন লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকায়। মোট ঋণের যা ছিল ২০ দশমিক ২০ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সাম্প্রতিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, খেলাপি ঋণের কোনো তথ্য আমরা লুকিয়ে রাখবো না। সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পর এটা আদায় জোরদারের মাধ্যমে কমানো হবে। নতুন করে বিতরণ করা ঋণ যেন খেলাপি না হয় সে জন্য বিভিন্ন আইনি কঠোরতা আনার কথা জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে কয়েকটি গ্রুপ ঋণের নামে বিপুল অর্থ বের করে নিয়েছে। যাদের বেশিরভাগই এখন পলাতক। কেউ কেউ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। গত ৫ আগস্টের আগে ঋণ পরিশোধ না করেও বিভিন্ন উপায়ে নিয়মিত দেখানোর সুযোগ ছিল। তবে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর এখন সেই সুযোগ বন্ধ হওয়ায় এখন তারা খেলাপি। এরই মধ্যে এস আলম, বেক্সিমকোসহ শীর্ষ ঋণগ্রহীতাদের অনেকেই খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ পর্যন্ত বিতরণ করা মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর শেষে যা ছিল ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ