পা ভাঁজ করে বসার কিছুক্ষণ পরেই অবশ হয়ে আসে কেন
Published: 5th, March 2025 GMT
প্রশ্ন: আমি একজন ছেলে, বয়স ১৮ বছর। বিএমআই ১৩। আমি খাটে বসে পড়ালেখা করি। গত ২ মাস ধরে ৫-১০ মিনিট পা ভাঁজ করে বসলে আমার হাঁটু থেকে দুই পা পুরো অবশ হয়ে যায়, তখন পা সোজা করতে ও হাঁটতে অনেক কষ্ট হয়। এ সময়ে হাঁটুতে অনেক ব্যথা হয়। সমস্যাটি আবার ১০-১৫ মিনিট পরে সেরে যায়। এটার কারণ কী? প্রতিকার মিলবে কীভাবে?
ছিদরাতুল মুন্তাহার
পরামর্শ: এক বা একাধিক কারণে সমস্যাটি হতে পারে। এ অবস্থায় শুধু এই কয়েকটি তথ্যের ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসা শুরু করা ঠিক হবে না। আগে সঠিক কারণ জেনে নিতে হবে। শরীরে রক্তস্বল্পতা তৈরি হলে পা অবশ হয়ে যাওয়ার মতো অনুভূতি দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট রক্ত পরীক্ষা করানোর মাধ্যমে জেনে নিতে হবে শরীরে রক্তস্বল্পতা আছে কি না। আবার স্নায়বিক কোনো জটিলতার কারণেও এমনটি হতে পারে। এ ছাড়া হাড়ের সংযোগস্থলে সৃষ্ট কোনো জটিলতা থেকেও বর্ণিত লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে। আপনি উল্লেখ করেছেন সমস্যাটি দুই মাস পার হতে চলেছে। সমস্যাটি অবহেলা করলে আপনার জটিলতা আরও বেড়ে যেতে পারে। যত দ্রুত সম্ভব একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা–নিরীক্ষাগুলো করিয়ে নিন। সমস্যার সঠিক কারণ শনাক্ত হলে সুচিকিৎসা নিশ্চিত হবে। খাদ্য গ্রহণের সময় বেশি বেশি ক্যালসিয়ামযুক্ত এবং ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ খাবার খাবেন। সুচিকিৎসা গ্রহণ করলে ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে আশা করি আপনি দ্রুত সেরে উঠবেন।
আরও পড়ুনরোজা রেখে পেট খারাপ হলে কী করবেন২৬ মার্চ ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সমস য ট
এছাড়াও পড়ুন:
পেহেলগামে হামলার পর প্রতিশোধের আশঙ্কায় দিন কাটছে ভারতীয় মুসলিমদের
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সম্প্রতি সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার পর মুসলিমদের ব্যাপকভাবে ধরপাকড় ও তাঁদের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে। মানবাধিকারকর্মীদের আশঙ্কা, উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা পেহেলগামের হামলাকে ব্যবহার করে দেশের বৃহত্তম সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ওপর দমন–পীড়ন আরও বৃদ্ধি করছে।
কাশ্মীরের পেহেলগাম শহরের কাছে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছিলেন, যাঁদের মধ্যে একজন বাদে বাকি প্রায় সবাই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। পর্যটক হিসেবে তাঁরা ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে পেহেলগামে গিয়েছিলেন। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে, যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ জোরালোভাবে নাকচ করে দিয়েছে।
পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার জবাবে ভারত সামরিকভাবে পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করে তাদের ঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হবে। পাকিস্তান সরকারের একজন মন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁরা বিশ্বাস করেন ভারত শিগগিরই সামরিক হামলা চালাতে পারে।
এই মুহূর্তে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার মূলত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে। যেমন আন্তসীমান্ত নদীগুলোর পানিপ্রবাহ বন্ধের হুমকি দিচ্ছে। একই সঙ্গে বিজেপি সরকার ও উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মুসলিমদের হয়রানি করছে। তারা এটিকে ‘অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান’ বলে দাবি করছে।
মোদির বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোতে কর্তৃপক্ষ এই সুযোগে ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ এবং ‘রোহিঙ্গাদের’ বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। রোহিঙ্গারা মূলত মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছেন। ‘পাকিস্তানি’ বা ‘বাংলাদেশি’ তকমা অনেক সময়েই হিন্দুত্ববাদীরা ভারতের অভ্যন্তরীণ মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে থাকে।
উত্তর প্রদেশ ও কর্ণাটক—এই দুই রাজ্যে মুসলিমদের হত্যার খবর পাওয়া গেছে। গণমাধ্যমের খবরে সেগুলোকে বিদ্বেষমূলক অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী কাশ্মীরে ইতিমধ্যেই শত শত মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে যাঁদের সন্দেহ করা হচ্ছে, তাঁদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এক সরকারি কর্মকর্তার মতে, প্রায় দুই হাজার মানুষকে আটক করা হয়েছে, যা অনেকটা সমষ্টিগত শাস্তির মতো।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি