অ্যান্ড্রয়েড ১৬ অপারেটিং সিস্টেম কবে আসবে জানাল গুগল
Published: 7th, March 2025 GMT
গুগল সাধারণত আগস্ট মাসে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের নতুন সংস্করণ উন্মুক্ত করে থাকে। তবে এবার নির্ধারিত সময়ের আগেই অ্যান্ড্রয়েড ১৬ অপারেটিং সিস্টেম উন্মুক্ত করবে প্রতিষ্ঠানটি। স্পেনের বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে (এমডব্লিউসি) এক সাক্ষাৎকারে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড ইকোসিস্টেম বিভাগের প্রেসিডেন্ট সমীর সমর জানিয়েছেন, আগামী জুনেই অ্যান্ড্রয়েড ১৬ উন্মুক্ত করা হতে পারে।
সমীর সমরের তথ্যমতে, অ্যান্ড্রয়েড ১৬ অপারেটিং সিস্টেম নির্ধারিত সময়ের আগেই উন্মুক্তের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সফটওয়্যার উন্নয়নের গতি বাড়াতে নতুন এক পদ্ধতিতে কাজ করছে গুগল, যা সময় বাঁচানোর পাশাপাশি সফটওয়্যারকে আরও স্থিতিশীল করবে।
নতুন এ উন্নয়ন কৌশলটির নাম ট্রাঙ্ক স্টেবল ডেভেলপমেন্ট। এতে সফটওয়্যার প্রকৌশলীরা একসঙ্গে একই কোড শাখায় ছোট ছোট পরিবর্তন যুক্ত করেন। ফলে সফটওয়্যার একীভূতকরণ ও সমন্বয়ের কাজ সহজ হয় এবং চূড়ান্ত সংস্করণ দ্রুত প্রস্তুত করা যায়। প্রচলিত পদ্ধতিতে আলাদা আলাদা ফিচার উন্নয়নের পর তা একসঙ্গে সংযোজন করতে হয়, যা তুলনামূলকভাবে বেশি সময় নেয়।
গুগল ইতিমধ্যে অ্যান্ড্রয়েড ১৬ অপারেটিং সিস্টেমের দ্বিতীয় ডেভেলপার বেটা সংস্করণ প্রকাশ করেছে। যদিও চূড়ান্ত সংস্করণ আসতে এখনো কয়েক মাস বাকি, তবে সমীর সমরের তথ্যমতে, সবকিছু ঠিক থাকলে নির্ধারিত সময়ের আগেই অপারেটিং সিস্টেমটি উন্মুক্ত করা হবে। অ্যান্ড্রয়েড ১৬-কে অ্যান্ড্রয়েড ওপেন সোর্স প্রকল্পেও (এওএসপি) স্থানান্তর করা হতে পারে। এতে ডেভেলপাররা তাঁদের যন্ত্রের উপযোগী কাস্টম সংস্করণ তৈরি করতে পারবেন।
সূত্র: গ্যাজেটস৩৬০
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।
এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।
বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা