সরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সের প্রথম দফায় মাইগ্রেশন এবং অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে আরও ১৭৩ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। তাঁদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ভর্তিপ্রক্রিয়া চলবে ১২ মার্চ পর্যন্ত।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলের ভিত্তিতে প্রচলিত বিধিমোতাবেক মেডিকেল কলেজে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের কলেজ পরিবর্তনের পূরণকৃত অনলাইন মাইগ্রেশন ফরমের প্রাপ্ত তথ্যানুসারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রথম দফায় মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। অপেক্ষমাণ তালিকা হতে স্বয়ংক্রিয় মাইগ্রেশন শেষে সরকারি মেডিকেল কলেজে শূন্য আসনে ১৭৩ জন শিক্ষার্থীকে প্রাথমিকভাবে ভর্তির জন্য মনোনীত করা হলো। এ ক্ষেত্রে মেধা, পছন্দক্রম ও আসন শূন্যতার ভিত্তিতে বিভিন্ন কলেজ নির্ধারণ করা হয়েছে।

মাইগ্রেশনে সুযোগপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ভর্তিকৃত কলেজের অধ্যক্ষের দপ্তরে যোগাযোগ করে ৬ থেকে ১২ মার্চের মধ্যে অবশ্যই মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া অর্থাৎ বর্তমান ভর্তিকৃত কলেজ হতে বদলি-মাইগ্রেশনকৃত কলেজে ভর্তির সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন। এ সময়ের মধ্যে মাইগ্রেশনপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কেউ ভর্তি হতে ব্যর্থ হলে উভয় কলেজ হতে তাঁর ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে যাবে।

অপেক্ষমাণ তালিকা হতে যেসব শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের নির্বাচিত মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের দপ্তরে ১২ মার্চের মধ্যে যোগাযোগ করে ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ কর্তৃক গঠিত স্থানীয় ভর্তি কমিটি ও মেডিকেল বোর্ড যথাক্রমে ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের মূল সনদপত্রসমূহ যাচাই করবেন এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করবেন। ভর্তির ক্ষেত্রে অত্র অধিদপ্তরের প্রকাশিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তির অন্য শর্তাবলি অপরিবর্তিত থাকবে।

নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় যে যে কাগজপত্র প্রয়োজন—

*২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র

*এইচএসসি সমমান পরীক্ষার মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড

*এসএসসি সমমান ও এইচএসসি সমমান পরীক্ষার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট/নম্বরপত্র

*এসএসসি সমমান ও এইচএসসি সমমান পরীক্ষার পাসের মূল সনদপত্র ও প্রশংসাপত্র

আরও পড়ুনবিদায় বেলায় বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য সুখবর জানিয়ে গেলেন উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ০৫ মার্চ ২০২৫

*স্থানীয় সিটি করপোরেশনের মেয়র/পৌরসভার চেয়ারম্যান/ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কমিশনার প্রদত্ত মূল নাগরিক সনদপত্র

*চার কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত রঙিন ছবি

*পার্বত্য জেলার উপজাতীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে চিফ এবং জেলা প্রশাসকের সনদ ও অ-উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সার্কেল চিফ বা জেলা প্রশাসক প্রদত্ত মূল সনদপত্র। অন্য জেলার উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে গোত্রপ্রধান ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক পদ।

মাইগ্রেশন ও অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট হতে জানা যাবে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের এসএমএসের মাধ্যমে এ–সংক্রান্ত তথ্য জানানো হবে।

আরও পড়ুন৪৮ জেলায় ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, এইচএসসি পাস ১৮-৩৫ বয়সীর সুযোগ, ভাতা দৈনিক ২০০০৬ মার্চ ২০২৫আরও পড়ুনথাইল্যান্ডে বৃত্তি, আইইএলটিএস বা টোয়েফল ছাড়াই আবেদন ০৬ মার্চ ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ড ক ল কল জ সনদপত র পর ক ষ র র জন য সরক র সমম ন

এছাড়াও পড়ুন:

অর্থনীতির আকারে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ দশম

এশিয়ার মধ্যে দশম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ এখন বাংলাদেশ। ২০২৪ সালের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকারের ভিত্তিতে এশিয়ায় বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে ৯টি দেশ। এশিয়ায় শীর্ষস্থানে আছে চীন। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। এশিয়ায় জিডিপির আকারে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে চীন, ভারত, কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তাইপে, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইন।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ‘বেসিক স্ট্যাটিসটিকস ২০২৫’ বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। সম্প্রতি এশিয়ার দেশগুলোর এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে এডিবি। এতে মোট ৪৬টি দেশের জিডিপির আকারের হিসাব রয়েছে। অবশ্য এ তালিকায় জাপান নেই। জাপানের তথ্য বিবেচনায় নিলে এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান দাঁড়ায় ১১তম।
এডিবির পরিসংখ্যান অনুসারে, সাময়িক হিসাবে ২০২৪ সালে বাংলাদেশের জিডিপির আকার ৪৫০ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ৪৫ হাজার ৫০ কোটি ডলার। জিডিপির আকারের ভিত্তিতে এশিয়ায় সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ চীন। চীনের জিডিপির আকার প্রায় ১৮,৯৫৭ বিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটির জিডিপির আকার ৩,৯১১ বিলিয়ন ডলার। তৃতীয় স্থানে আছে কোরিয়া। গত বছর কোরিয়ার জিডিপি ছিল ১,৮৬৯ বিলিয়ন ডলারের।
চতুর্থ স্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়ার জিডিপি ১,৩৯৬ বিলিয়ন ডলারের। পঞ্চম স্থানে থাকা তাইপের জিডিপি প্রায় ৭৯৬ বিলিয়ন ডলারের। ৫৪৭ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি জিডিপির আকার নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে সিঙ্গাপুর। এ ছাড়া বাংলাদেশের ওপরে থাকা অন্য দেশগুলোর জিডিপির আকার থাইল্যান্ড ৫৪০ বিলিয়ন ডলার, ভিয়েতনাম ৪৭৬ বিলিয়ন ডলার ও ফিলিপাইনের ৪৬১ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যমতে, গত বছর সাময়িক হিসাবে জাপানের জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪,০১০ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাব বিবেচনায় নিলে জিডিপির আকারের ভিত্তিতে এশিয়ায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাপান। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা ৫ বছরে, অস্ট্রেলিয়ার বিনোদন বাজার বাড়ছে
  • এইচএসসি পরীক্ষার দুই মাস বাকি, পরীক্ষার্থীদের করণীয় ১০ পরামর্শ
  • জ্বালানি তেলের দাম কমল লিটারে ১ টাকা
  • আইন সংশোধন করে কি ঠেকানো যাবে ইন্টারনেট বন্ধ
  • ম্যারিকোর ১ হাজার ৯৫০ শতাংশ চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণা
  • অর্থনীতির আকারে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ দশম
  • আলিম পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড বিতরণ ৫ দিন
  • জয়পুরহাটে পুকুর নিয়ে প্রভাবশালীদের সঙ্গে গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের দ্বন্দ্ব
  • রুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা: তৃতীয় ধাপে ১৬৬৯ থেকে ২৩০০ মেধাক্রমের শিক্ষার্থীদের ডাক
  • সিনিয়র স্টাফ নার্সের মৌখিক পরীক্ষার সংশোধিত সূচি প্রকাশ