পল্টনে মিছিলের ঘটনায় নিষিদ্ধ হিযবুত তাহ্রীরের ২২ জন গ্রেপ্তার, হচ্ছে মামলা
Published: 8th, March 2025 GMT
পল্টনে আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে মিছিলের ঘটনায় নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের মোট ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী আজ শনিবার এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত হিযবুত তাহ্রীরের মোট ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থেই পল্টনে তাঁদের মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। নিষিদ্ধ এই সংগঠনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গতকাল জুমার নামাজ শেষ হওয়ার পরেই পল্টনে হিযবুত তাহ্রীরের ব্যানার নিয়ে একটি মিছিল বের হয়। পুলিশের বাধা অতিক্রম করে মিছিলটি পল্টন মোড় পার হয়ে বিজয়নগর মোড়ের দিকে যায়। এ সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আরও পড়ুনপল্টনে নিষিদ্ধঘোষিত হিযবুত তাহ্রীরের মিছিল ছত্রভঙ্গ, পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড০৭ মার্চ ২০২৫এদিক আজ দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান প্রথম আলাকে বলেন, হিযবুত তাহ্রীর নিষিদ্ধ সংগঠন। গতকাল দুপুরে জুমার নামাজের পর এ সংগঠনের নেতা–কর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে পল্টন এলাকায় মিছিল বের করে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে হিযবুত তাহ্রীরের বেশ কিছু সদস্যকে আটক করে। এ ঘটনায় পল্টন থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে। মামলার বাদী হচ্ছেন পল্টন থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স গঠন
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
আরো পড়ুন:
নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের
কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের
শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।”
শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।
মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।
তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি। ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।
ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ