পল্টনে আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে মিছিলের ঘটনায় নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহ্‌রীরের মোট ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী আজ শনিবার এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত হিযবুত তাহ্‌রীরের মোট ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থেই পল্টনে তাঁদের মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। নিষিদ্ধ এই সংগঠনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

গতকাল জুমার নামাজ শেষ হওয়ার পরেই পল্টনে হিযবুত তাহ্‌রীরের ব্যানার নিয়ে একটি মিছিল বের হয়। পুলিশের বাধা অতিক্রম করে মিছিলটি পল্টন মোড় পার হয়ে বিজয়নগর মোড়ের দিকে যায়। এ সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

আরও পড়ুনপল্টনে নিষিদ্ধঘোষিত হিযবুত তাহ্‌রীরের মিছিল ছত্রভঙ্গ, পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড০৭ মার্চ ২০২৫

এদিক আজ দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান প্রথম আলাকে বলেন, হিযবুত তাহ্‌রীর নিষিদ্ধ সংগঠন। গতকাল দুপুরে জুমার নামাজের পর এ সংগঠনের নেতা–কর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে পল্টন এলাকায় মিছিল বের করে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে হিযবুত তাহ্‌রীরের বেশ কিছু সদস্যকে আটক করে। এ ঘটনায় পল্টন থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে। মামলার বাদী হচ্ছেন পল্টন থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’

এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’

এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ