কচুরিপানা ও আবর্জনায় দীর্ঘদিন ধরে খালটির পানি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। এর পানি দিয়ে পাঁচ গ্রামের মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ ও ১০টি মসজিদের মুসল্লিদের অজু করা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পৌর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এ সমস্যার অবসান হয়েছে।
গোপালগঞ্জে চার বছর ধরে একটি খাল ছিল কচুরিপানা ও আবর্জনায় ভর্তি। পাঁচ গ্রামের মানুষ এ খালের পানি ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছিল। খালের আশপাশে রয়েছে অন্তত ১০টি মসজিদ। মসজিদের মুসল্লিরা খালের পানি দিয়ে অজু করতেন। কচুরিপানা ও আবর্জনায় সেটিও প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এ দুর্ভোগ থেকে রক্ষায় টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ দুই কিলোমিটার দীর্ঘ গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালের কচুরিপানা ও আবর্জনা পরিষ্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করে। গত রোববার এ খালের  কচুরিপানা ও আবর্জনা অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে। গত ১ মার্চ খাল পরিষ্কারের এ কাজ শুরু করে পৌর কর্তৃপক্ষ।     
কচুরিপানা ও আবর্জনা পরিষ্কারের পর খালটি প্রাণ ফিরে পেয়েছে। খালে এখন স্বচ্ছ পানি প্রবাহিত হচ্ছে। 
গিমাডাঙ্গা গ্রামের বিশ্বাস সিরাজুল আলম (৬৫) বলেন, গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালটির সঙ্গে বাঘিয়ার নদীর সংযোগ রয়েছে। নদী থেকে কচুরিপানা ও আবর্জনা খালে ঢুকে জমাট বেঁধে ছিল। এতে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে খালের পানি। এতে পাটগাতী, টুঙ্গিপাড়া, পাঁচকাহনিয়া, গিমাডাঙ্গা ও কাজীপাড়া গ্রামের হাজার হাজার মানুষ পানির কষ্টে দুর্ভোগে পড়েন। টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার প্রশাসক মঈনুল হক দুর্ভোগের কথা জানতে পারেন। তিনি খাল পরিষ্কারের উদ্যোগ নেন। 
গিমাডাঙ্গা গ্রামের ৭০ বছর বয়সী লিটু শেখ ও টুঙ্গিপাড়া গ্রামের ছালু কাজী বলেন, খালের পাশে ১০টি মসজিদ রয়েছে। কচুরিপানা ও আবর্জনায় খালের পানি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। খালপারের মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিরা খালের পানি দিয়ে অজু করতে পারতেন না। বিষয়টি তারা পৌর প্রশাসককে মৌখিকভাবে জানান। তিনি প্রথম রোজার মধ্যে খাল পরিষ্কারের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি দুই দিন কাজ করিয়ে খাল পরিষ্কার করে দিয়েছেন। এখন খালে স্বচ্ছ পানির প্রবাহ শুরু হয়েছে। এখন থেকে অজু করতে সমস্যা হবে না। এ জন্য পৌর কর্তৃপক্ষকে তারা ধন্যবাদ জানান।
কাজীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হিমেল কাজী বলেন, খালের দুই পাশ সুন্দরভাবে বাঁধাই করা। কচুরিপানা ও ময়লা আবর্জনার কারণে খালের পানি কেউই ব্যবহার করতে পারত না। খালটির সৌন্দর্যও নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আবর্জনা অপসারণ করায় খালটি প্রাণ ফিরে পেয়েছে। খালপারের বাসিন্দারা গোসল ও অজুর পাশাপাশি গৃহস্থালি কাজে খালের পানি ব্যবহার করতে পারছেন।
টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার প্রশাসক মঈনুল হক বলেন, গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালটি চার বছর ধরে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খালটি নিয়ে দুর্ভোগের কথা স্থানীয় মুসল্লিদের মাধ্যমে জানতে পারি। এরপর দুই দিনব্যাপী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করা হয়। কচুরিপানা ও আবর্জনা অপসারিত হয়েছে। এখন খালটির পানি জনগণ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করছেন। জনসেবায় পৌর প্রশাসনের কল্যাণকর কাজ চলবে বলে জানান তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আবর জন খ ল পর ষ ক র পর ষ ক র র মসজ দ

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১.৯৪ শতাংশ

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৭ থেকে ৩১ জুলাই) পর্যন্ত সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে। আলোচ্য এ সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১.৯৪ শতাংশ।

শনিবার (২ আগস্ট) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১০.৩১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৫১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০.২০ পয়েন্ট বা ১.৯৪ শতাংশ।

এর আগের সপ্তাহের (২৪ থেকে ২৮ জুলাই) শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৭১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৩১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০.৬০ পয়েন্ট বা ৬.১৮ শতাংশ।

খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে- জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৬.১০ পয়েন্টে, ব্যাংক খাতে ৭.১৯ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ৯.৮৯ পয়েন্ট, টেক্সটাইল খাতে ১০.৭০ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১১.০৮ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১১.৩৫ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ১২.৬০ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৭৭ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১৪.১০ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৪.৯৪ পয়েন্টে, আইটি খাতে ১৬.৩১ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ১৬.৬৫ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৭.৯৬ পয়েন্ট, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ১৮.৪৩ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২১.৮১ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে ২১.৯৩ পয়েন্টে, পাট খাতে ২৬.১৯ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ২৬.৭৭ পয়েন্টে,   এবং সিরামিক খাতে ৫৭.৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ