বন্দরে এক  কিশোরীকে অচেতন করে  নগ্ন ভিডিও  ধারণের অভিযোগে পালক  পিতাকে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।  গ্রেপ্তারকৃত পালক পিতা শামীম (৪০) সুদূর সুনামগঞ্জ জেলার সদর থানার  ফেনবিল গ্রামের মফিজ মিয়ার ছেলে।

 শনিবার ( ৮ মার্চ) রাতে বন্দর থানার  নবীগঞ্জ অলিম্পিয়াস্থ ভাড়াটিয়া বাসা থেকে তাকে আটক করো পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় কিশোরীর মা জিয়াসমিন বাদী হয়ে পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইন তৎসহ ১০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ১৪(৩)২৫। পুলিশ ধৃতকে রোববার (৯ মার্চ) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।


মামলা ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে  জানাগেছে,   বিগত ১৩ বছর যাবত কিশোরীকে দত্তক এনে  লালন পালন করে আসছে  জিয়াসনিন ও শামীম দম্পতি।  জিয়াসমিন তার কিশোরী কন্যা ও স্বামী শামীমকে নিয়ে  বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকায় জহির মিয়ার বাড়িতে  ভাড়ায় বসবাস করে আসছেন।


গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে  ভাড়া বাসায় কিশোরী  নিজ রুমে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায়  পড়নের কাপড় খুলে পালক পিতা শামীম তার   ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারন করে। পরবর্তীতে গত  ৩ মার্চ   সকালে কিশোরীকে ধারণকৃত ভিডিও দেখিয়ে যৌন হয়রানি চেষ্টা করে পালক পিতা শামীম। এ ঘটনাটি শনিবার সন্ধ্যায়  স্থানীয়ভাবে জনাজানি হলে পরে স্থানীয় লোকজন  শামিমকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, কিশোরী কন্যাকে অচেতন করে নগ্ন ভিডিও ধারণ করার অপরাধে পালক পিতার বিরুদ্ধে  পর্ণগ্রাফি আইনে মামলা নেয়া হয়েছে । রোববার সকালে আটক পালক পিতা শামীমকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ দর থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মাইক্রোসফটের বদলে গুগলের সার্ভার ব্যবহার করবে চ্যাটজিপিটি, কেন

চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের অন্যতম বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মাইক্রোসফট। আর তাই চ্যাটজিপিটি চালুর পর থেকেই মাইক্রোসফটের সার্ভার ব্যবহার করে আসছে ওপেনএআই। তবে এবার মাইক্রোসফটের ওপর নির্ভরতা কিছুটা কমাতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির দৌড়ে গুগল ও ওপেনএআই দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও চ্যাটজিপিটির কার্যক্রম পরিচালনায় গুগলের ক্লাউড অবকাঠামো ও সার্ভার ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে ওপেনএআই।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চ্যাটজিপিটির মতো জেনারেটিভ এআই মডেল পরিচালনার জন্য গত মাসে গুগলের সঙ্গে চুক্তি করেছে ওপেনএআই। চুক্তির আওতায় গুগল তাদের ডেটা সেন্টার ও ক্লাউড সেবায় ‘অতিরিক্ত কম্পিউটিং সক্ষমতা’ দেবে ওপেনএআইকে। যদিও দুই প্রতিষ্ঠান এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি ভবিষ্যতের এআই উন্নয়ন ও নির্ভরযোগ্য সেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

চ্যাটজিপিটি মূলত মাইক্রোসফটের অ্যাজুর ক্লাউড অবকাঠামোর ওপর নির্ভর করে পরিচালনা করা হয়। তাই ওপেনএআই এত দিন অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সার্ভার ব্যবহার করতে পারেনি। গত জানুয়ারি মাসে এই একচেটিয়া চুক্তির সীমাবদ্ধতা শেষ হওয়ার পর ওপেনএআই নতুন অংশীদার খুঁজতে শুরু করে। তবে চ্যাটজিপিটি পুরোপুরি গুগলের সার্ভার ব্যবহার করবে, না মাইক্রোসফট ও গুগলের সার্ভার যৌথভাবে ব্যবহার করবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।

সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে চ্যাটজিপিটি বড় ধরনের প্রযুক্তিগত বিভ্রাটের মুখে পড়েছে। আর তাই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট অবকাঠামোর ওপর পুরোপুরি নির্ভর না করে একাধিক ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করলে চ্যাটজিপিটির কার্যক্রম চালু রাখা অনেক সহজ হবে। এতে যেকোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা সিস্টেম সমস্যার ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগও মিলবে।

সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ

সম্পর্কিত নিবন্ধ