কে জানে এই আফসোসটা নিয়েই ওয়ানডেকে বিদায় বলতে হয় কিনা তাঁর! ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে একদিনের ক্রিকেট খেলছেন কেইন উইলিয়ামসন।

এই সময়ে তিনটি আইসিসির ফাইনালে অংশ নিয়েছেন তিনি। যেখানে সর্বোচ্চ ইনিংস মোটে ৩০ রানের; ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন এই কিউই ব্যাটার। আজ দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালেও ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী উইলিয়ামসন। ১১ রান করতেই কুলদীপের ঘূর্ণিতে হয়েছেন আউট।

এবারের পর ২০২৭ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এরপর  ২০২৯ সালে হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দশম আসর। তত দিনে উইলিয়ামসনের বয়স হবে ৩৯ এর কাছাকাছি। সেই বয়সে তাঁকে আর ৫০ ওভারের এই টুর্নামেন্টে দেখা না যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ফাইনালে ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে উইলিয়ামসন বেরোনোর আর সুযোগ পান কিনা সন্দেহ।

২০১০ সালে ডাম্বুলায় এই ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল উইলিয়ামসনের। এরপর এই ফরম্যাটে প্রথম আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেন ২০১৫ সালে। মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হওয়া সেই ফাইনালে বাজেভাবে হেরে যায় কিউইরা। আর তিনে ব্যাট হাতে নেমে ৩৩ বলে মাত্র ১২ রান করেন উইলিয়ামসন।

সেই যে শুরু। এরপর ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে থাকা এই অভিজ্ঞ ব্যাটার ফাইনালে করেন ৩০ রান। অথচ ফাইনালের আগ পর্যন্ত তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৫৪৮ রান। টুর্নামেন্টসেরার পুরস্কারও উঠে উইলিয়ামসনের হাতে।

এবারও একই অবস্থা। পাকিস্তান ও দুবাইয়ে হওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে এসে পুরোপুরি ব্যর্থ উইলিয়ামসন। কিন্তু আগের ম্যাচে সেমিফাইনালে ভিন্ন এক উইলিয়ামসনকে দেখা যায়। লাহোরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৫তম সেঞ্চুরি। তার আগের ম্যাচে দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৮১ রানের ঝলমলে ইনিংস।

আইসিসির টুর্নামেন্টের এই তিন ফাইনালে সর্বোচ্চ ৩০ রান করা উইলিয়ামসন দেশের হয়ে আরেকটি ওয়ানডে ফাইনাল খেলেও আলো ছড়াতে পারেননি। রেকর্ড বলছে, এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে করেছিলেন ৩৪ রান।

আইসিসির ওয়ানডে টুর্নামেন্টের তুলনায় টি-টোয়েন্টি ও টেস্টের ফাইনালে অবশ্য উজ্জ্বল উইলিয়ামসন। এখন পর্যন্ত দুই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের একটিতে অপরাজিত ৫২ আরেকটিতে ৪৯ রান করেছেন তিনি। আর ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাঁর ব্যাট থেকে নিউজিল্যান্ড পায় ৮৫ রান।

ফাইনালের চেয়ে সেমিফাইনাল এবং কোয়ার্টার ফাইনালে উইলিয়ামসনের ব্যাটিং গড়ও ভালো। এখন পর্যন্ত ওয়ানডের চার ফাইনালে (তিনটি আইসিসির টুর্নামেন্ট) ২১.

৭৫ গড়ে করেছেন ৮৭ রান। যেখানে ৫ সেমিফাইনালে ৫৩. ২০ গড়ে করেন ২৬৬ রান। আর দুই কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা উইলিয়ামসনের রান ৭১. ০০ গড়ে ৭১।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উইল য় মসন র ট র ফ ইন ল আইস স র র ন কর

এছাড়াও পড়ুন:

টাকার জন্য দেশে ছেড়েছি, এখন টাকা খরচের সময় নেই: পিয়া বিপাশা

লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।

পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’

বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’

পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়।  আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’ 

পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।

২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিক্ষার্থীর গবেষণাপত্রের অংশ অনুমতি না নিয়ে প্রকাশের অভিযোগ, শিক্ষক বলছেন ‘ভিত্তিহীন’
  • বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
  • শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
  • মিরাজ বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ
  • সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে
  • পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার
  • ঢাকায় চালান পৌঁছে প্রতি মাসে পান ৬ লাখ টাকা
  • ১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
  • নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ, চার সহপাঠী আটক
  • টাকার জন্য দেশে ছেড়েছি, এখন টাকা খরচের সময় নেই: পিয়া বিপাশা