সাভারে কলেজপড়ুয়া এক ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে গোপনে ধারণকৃত ধর্ষণভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে আয়াতুস সিয়াম (২৫) নামে এক কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ রোববার সকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আশিক ইকবাল। এর আগে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর (১৭) মা বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর শনিবার রাতে সাভার পৌরসভার বিনোদবাইদ মহল্লায় অভিযান চালিয়ে ওই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত সিয়াম সাভার পৌরসভার বিনোদবাইদ এলাকার হামিদুল হক সুমনের ছেলে।

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত আয়াতুস সিয়াম সাভার সরকারি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র এবং ভুক্তভোগী স্থানীয় একটি মহিলা কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।

গত ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাভার সরকারি কলেজের বার্ষিক পিঠা উৎসবে এসে আয়াতুস সিয়ামের সঙ্গে ওই ছাত্রীর পরিচয় হয়। পরবর্তীতে সিয়াম মোবাইল ফোনে নিয়মিত কথা বলেন ওই ছাত্রীর সঙ্গে। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্কের জেরে সিয়াম তার এক বন্ধুর বাসায় ওই ছাত্রীকে নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক করে এবং তা গোপনে মোবাইলে ধারণ করে রাখে। পরে ধারণকৃত ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে সিয়াম। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট সিয়াম তার বাসায় নিয়ে ওই ছাত্রীকে আবারও ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ওই কলেজ ছাত্রী ঘটনাটি সিয়ামের অভিভাবকদের জানালেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এরই মধ্যে সিয়াম ভুক্তভোগী ছাত্রীর সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে পরিবারের পরামর্শে অন্যত্র বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ অবস্থায় ভুক্তভোগী ছাত্রী পুনরায় সিয়ামের বাসায় বিয়ের দাবিতে কথা বলতে গেলে গোপনে ধারণ করা ধর্ষণভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে চুপ থাকার হুমকি দেয় সিয়াম।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর মা বাদী হয়ে শনিবার রাতে সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সিয়ামকে গ্রেপ্তার করে।

সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আশিক ইকবাল বলেন, গ্রেপ্তার আয়াতুস সিয়ামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং নির্যাতিত ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও গ্রেপ্তারকৃতের মোবাইল ও ল্যাপটপ জব্দ করে ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আয় ত স স য় ম ওই ছ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলের নতুন হামলায় ইরানের আইআরজিসির গোয়েন্দা প্রধান নিহত

ইরানের রাজধানী তেহরানে এবং আশপাশের এলাকায় অবস্থিত সামরিক স্থাপনাগুলোতে নতুন করে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

স্থানীয় সময় রবিবার (১৫ ‍জুন) বিকেলে চালানো এ হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) গোয়েন্দা প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ কাজেমি এবং তার ডেপুটি হাসান মোহাকিক নিহত হয়েছেন।

রবিবার রাতে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন ও সংবাদ সংস্থাগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।

আরো পড়ুন:

ইসরায়েলে ৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান, তেল আবিব ও হাইফাতে সরাসরি আঘাত

ইরানে আবারো হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরো জানিয়েছে, তেহরানে ইসরায়েলের নতুন হামলায় আইআরজিসির তৃতীয় ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তা মোহসেন বাঘেরিও নিহত হয়েছেন।

এর আগে, শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েলের প্রথম হামলায় সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, আইআরজিসির কমান্ডার হোসেইন সালামিসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং অন্তত ছয় জন পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিল ইরান। 

রবিবার ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুক্রবার ও শনিবার ইরানজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় ১২৮ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ৯০০ জন। হতাহতদের মধ্যে কমপক্ষে ৪০ জন নারী এবং বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ