জমি বিক্রির ৩৮ বছর পর বিড়ম্বনায় শতবর্ষী রইচ, বিচারের আশায় ঘুরছেন
Published: 10th, March 2025 GMT
রইচ উদ্দিন ও সন্তেষ প্রামানিক ৬৬৩ নম্বর দাগে ২৭ শতক ফসলি জমি বিক্রি করেছিলেন। ক্রেতার বংশধররাও সেই দাগের জমি ভোগদখলে রেখেছিলেন। ৩৮ বছর পর সেই জমির খাজনা খারিজ করতে গিয়ে জানা যায়, দলিল করার সময় ভুলবশত দাগ নম্বর ৬৬৩ এর স্থলে ৬৭৭ লেখা হয়েছিল। ৬৭৭ নম্বর দাগের জমি রইচ উদ্দিনের বসতভিটা।
জমির দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন ক্রেতার বংশধররা দলিলে থাকা ওই ৬৭৭ নম্বর দাগের জমি দাবি করছেন। এ নিয়ে জমির মালিক রইচ উদ্দিন আদালতে মামলা করে ও দলিলে দাগ নম্বর সংশোধন করে ডিক্রিও পেয়েছেন। কিন্তু, ক্রেতাপক্ষ তা না মেনে উল্টো রইচ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এখন বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন শতবর্ষী রইচ উদ্দিন ও তার ছেলে আশরাফুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী রইচ উদ্দিন পাবনার চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের জবেরপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার ছেলে আশরাফুল ইসলাম রঙমিস্ত্রি। ক্রেতার বংশধররা হলেন একই গ্রামের বাসিন্দা আমির হোসেন, আব্দুল আলিম ও মনিরুল ইসলাম। তারা জমির ক্রেতা আফসার শেখের নাতি।
জমির দলিল ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, রইচ উদ্দিন ও সন্তেষ প্রামানিক ১২/০১/১৯৭৬ তারিখে উথুলী মৌজার ৬৬৩ নম্বর দাগের ২৭ শতক ফসলি জমি বিক্রি করেন একই গ্রামের আফসার শেখ ও আছিয়া বেগমের কাছে। জমি রেজিস্ট্রির সময় তৎকালীন দলিল লেখক ভুলবশত বিক্রি করা জমির দাগ নম্বর ৬৬৩ এর স্থলে ৬৭৭ উল্লেখ করেন। ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েই লেখাপাড়া না জানায় বিষয়টি তখন কেউই বুঝতে পারেননি। ৩৮ বছর ধরে ৬৬৩ নম্বর দাগের ফসলি জমি ভোগদখলের পর ২০১৪ সালে ওই জমি খাজনা খারিজ করতে গিয়ে আফসার শেখ জানতে পারেন, দলিলে ৬৬৩ নম্বর দাগের স্থলে দাগ নম্বর ৬৭৭ উল্লেখ আছে। ততদিনে বাড়ির জমির দামও বেড়েছে কয়েক গুণ।
তখন চাটমোহর এসি ল্যান্ডের কাছে মিসকেস করেন আফসার শেখ। সেখানে তিনি দাবি করেন, তারা জমি কিনেছেন ৬৭৭ নম্বর দাগে। দলিলে সেটা উল্লেখ আছে। তাই, ওই দাগ নম্বরের কেনা জমি তাদের নামে নামজারি করে দেওয়া হোক। ওই মিসকেসের নোটিশ পেয়ে রইচ উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল মিসকেসের বাদীদের বলেন, “দলিলে দাগ নম্বর ভুল হয়েছে, তোমরা দলিল সংশোধন করে নাও। আমি করে দিচ্ছি। তোমরা চাইলেও ৬৭৭ নম্বর দাগে ২৭ শতক জমি পাবে না। কারণ, এই দাগে জমি মোট ৪১ শতক। তার মধ্যে রইচ উদ্দিনের জমি সোয়া ১৩ শতক। বাকি জমি অন্য ওয়ারিশদের।” রইচ উদ্দিনের নামের জমি খাজনা খারিজ করা ৩০/১১/২০০৮ তারিখে। যার হিসাব নম্বর ৭৯৯। নামজারি কেস নম্বর ১৪৯০/০৮-০৯।
রইচ উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, “তারা (ক্রেতাপক্ষ) সে প্রস্তাব না মানায় মিসকেসের নোটিশ নিয়ে চাটমোহর পৌর ভূমি অফিসের তৎকালীন নায়েব কাশেম আলীর কাছে যাই। তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি আমার কাগজপত্র না দেখে, আমার কোনো কথা না শুনে তাদের পক্ষে কথা বলেন এবং আমার বাবা রইচ উদ্দিনের নামজারি বাতিল করেন।”
এরপর রইচ উদ্দিন ও সন্তেষ প্রামানিক ০২/০১/২০১৪ তারিখে পাবনার আদালতে দলিল সংশোধনের মামলা করেন। সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে ২৮/১১/২০১৯ তারিখে মামলায় দোতরফা সূত্রে ডিক্রি পান তারা। সেই ডিক্রিতে আদালত আদেশ দেন, বিক্রিত তফসিল বর্ণিত ১২/০১/১৯৭৬ তারিখে ১৬৪৬ নম্বর দলিলে ভুল দাগ নম্বর ৬৭৭ কর্তন করে তদস্থলে ৬৬৩ নম্বর দাগ সংশোধন করা হলো। অত্র আদেশের অনুলিপি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্টার বরাবর প্রেরণ করা হলো।
তারপর ২১/১০/২০২৪ তারিখে সংশোধিত দলিল ও কাগজপত্র নিয়ে এসি-ল্যান্ড অফিসে গিয়ে মিসকেস করেন রইচ উদ্দিন ও তার ছেলে আশরাফুল ইসলাম। বিবাদী করেন আফসার শেখের নাতি আমির হোসেন, আব্দুল আলিম ও মনিরুল ইসলামকে। মিসকেস করার পর চাটমোহর পৌর ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোস্তফা শামীম সরেজমিন তদন্ত করে এসি-ল্যান্ডের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন ২৪/০২/২০২৫ তারিখে। সেই প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, উভয় পক্ষের শুনানি ও দলিল যাচাই করে ৪৯৯৬/২০১৬-১৭ নম্বর নামজারিবলে খোলা হিসাব নম্বর ১৩৭৮ থেকে নালিশি আরএস ৮৬৪ দাগে (যার এসএ দাগ নম্বর ৬৭৭) ০ দশমিক ২৭ একর জমি কর্তন করে মূল খতিয়ানভুক্ত করা যেতে পারে।
রইচ উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম বলেন, “গত ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে চাটমোহর এসি-ল্যান্ড অফিসে উভয় পক্ষের শুনানি হয়। কিন্তু, এসি-ল্যান্ড সাহেব আমাদের কোনো কাগজপত্র না দেখে বলেন, বিবাদী পক্ষ আদালতে আপিল করেছেন। আমার কিছু করার নেই।’ তিনি মিসকেস বাতিল করে দেন।
তিনি বলেন, “বিবাদী আমির গং আমাদের দলিল সংশোধনের ডিক্রির বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করেছে। তারা দলিলে ৬৬৩ নম্বর দাগ না দিয়ে ৬৭৭ নম্বর দাগ দাবি করেছে। ইতোপূর্বে ২০১৭ সালে মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদে তিনবার শালিসে বসার জন্য নোটিশ পাঠানো হলেও আমির হোসেন গং হাজির হয়নি এবং নোটিশেও স্বাক্ষর করেনি।”
তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান সরদার মো.
আশরাফুল ইসলাম আরো বলেন, “আদালত থেকে ডিক্রি পাওয়ার ইনফরশেন স্লিপ ও ইউপি চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র এসি-ল্যান্ড স্যারকে দিলেও তিনি গ্রহণ করেননি। তারা আমার কাগজপত্র না দেখে আদালতের আদেশ না মেনে আদালত অবমাননা করেছেন বলে মনে করি। আমি ন্যায়বিচার চাই। আমাদের পক্ষে তথ্য-প্রমাণ, দলিল-কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও কেন দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে আমাদের? আমার বাবার একশত বছরের বেশি। তিনিও খুব ভেঙে পড়েছেন। শুধু চোখের পানি ফেলছেন। বিবাদী আমির গং এলাকায় প্রভাবশালী, টাকাওয়ালা মানুষ। তারা চ্যালেঞ্জ করেছে, যেকোনো মূল্যে ৬৭৭ দাগের জমি নেবে।”
রইচ উদ্দিন বলেন, “আমি তো ৬৭৭ দাগে জমি বিক্রি করি নাই। বিক্রি করছি ৬৬৩ দাগে। সেখানেই তারা ৩৮ বছর ধরে ভোগদখল করে আইসে। এহন আমার বাড়ির জমির দাগ দাবি করতিছে। ওই সময় সবাই মুর্খ মানুষ ছিলেম। কেউ লেহাপড়া জানতেম না। মুহুরি ভুল কইরে দলিলে ৬৭৭ নম্বর দাগ তুইলে দিছে। সিডা আবার আমরা আদালত থেকে সংশোধানও করে লিছি। তাহলি কেন তারা মানতিছে না। এতকিছুর পরও কি ন্যায়বিচার পাবো লায়?’
ক্রেতাপক্ষের আমির হোসেন বলেন, “তারা জাল দলিল করে নিয়ে জমি খারিজ করেছে। তারা সব দাগেই জমি কেনাবেচা করেছে। ২০১৪ সালে আমার দাদা আফসার শেখ যখন আমাদের নামে জমি লিখে দেন, তখন জমি খারিজ করতে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারি। তাদের ওয়ারিশান জমি নয়, কেনা সম্পত্তি। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের জন্য শালিসে বসার জন্য তাদের বলা হলেও তারা বসেনি। আমরা ডিক্রির বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করেছি। এখন আইনের মাধ্যমে যেটা হয়, হবে। এখন এ নিয়ে বেশি কথা বলে লাভ নাই।”
এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদি হাসান শাকিল বলেন, “বাদী বা বিবাদী পক্ষ কেউ যদি আমার রায়ে সন্তুষ্ট না হন, তাহলে তারা আমার রায়ের কপি পাওয়ার পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) কাছে আপিল করতে পারবেন। তখন যদি এডিসি স্যার প্রয়োজনে আমার কাছে নথি তলব করেন, তখন আমার রায়ের সকল নথি তার কাছে সরবরাহ করব।”
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরো বলেন, “কোনো মামলার বিরুদ্ধে যদি আপিল হয়, তাহলে মূল মামলা চলমান থাকে। যদি তাদের (রইচ উদ্দিন গং) মামলার ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল করে বিবাদী পক্ষ (আমির গং), তাহলে ওই মামলা এখন চলমান বুঝতে হবে। তাই, সেটার রায় না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে। কে ভুল, কে সঠিক, তা নির্ধারণ করবেন আদালত।”
ঢাকা/শাহীন/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আশর ফ ল ইসল ম ক গজপত র ন আম র হ স ন আফস র শ খ খ র জ কর র দল ল আম দ র আম র ক র জন য উল ল খ
এছাড়াও পড়ুন:
৪৪ নং সনমান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন
একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতবর্ষ পূর্তি মানে শুধু সময়ের হিসাব নয়,এটি প্রজন্মের পর প্রজন্মকে আলোকিত করার এক দীর্ঘ ইতিহাস। সেই ইতিহাসের গৌরবময় একশ বছর পূর্ণ করল ৪৪ নং সনমান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এ উপলক্ষে বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জনাব রোকসানা বেগমের নেতৃত্বে, সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হলো বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উৎসব।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বের করা হয় একটি বর্ণাঢ্য র্যালি। ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে শতাধিক শিক্ষার্থী সারিবদ্ধভাবে অংশ নেয়। বিদ্যালয়ের আশপাশের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে র্যালিটি পুনরায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে ভেসে ওঠা শিক্ষা, শৃঙ্খলা ও ভবিষ্যৎ গড়ার প্রত্যয়দীপ্ত স্লোগান পুরো এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে দেয় উৎসবের আবহ। র্যালি শেষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ফজিলা ইয়াসমিন। তিনি বিদ্যালয়ের শুরুর দিনের স্মৃতি স্মরণ করে বলেন, “এই বিদ্যালয় শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়—এটি এই এলাকার স্বপ্নের ঠিকানা। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে অসংখ্য শিক্ষার্থী সমাজের নানা ক্ষেত্রে আলোকবর্তিকা হয়ে উঠেছে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক রোকসানা বেগম, আজমিনা খাতুন, নুরজাহান আক্তার রত্না, শায়লা শারমিন, গোলাম হোসেন ও মফিজুল ইসলাম সহ স্কুল অ্যাডহক কমিটির সদস্য সাইমুম ইসলাম,প্রাক্তন শিক্ষার্থী ইয়াসমিন আক্তার ও খাদিমুন্নাহার।এছাড়াও বিপুলসংখ্যক অভিভাবক অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
পরে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গান, নৃত্য ও আবৃত্তিতে ফুটে ওঠে শিক্ষা, দেশপ্রেম, শৈশব ও আগামীর স্বপ্ন। শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা উপভোগ করেন অতিথি, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা। অভিভাবকদের মুখে দেখা যায় গর্বের ঝিলিক।
বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রোকসানা বেগম বলেন, ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয় একশ বছরের দীর্ঘ পথচলা অতিক্রম করেছে। এই পথচলা আমাদের জন্য যেমন গর্বের, তেমনি দায়িত্বেরও। প্রজন্মের পর প্রজন্মকে আলোকিত করার যে দায়িত্ব আমরা বহন করে আসছি, তা আরও নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
শিক্ষার্থীদের মেধা, মনন ও মূল্যবোধ গঠনে আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি মানবিক শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। শতবর্ষের এই শিক্ষা ঐতিহ্য আগামী প্রজন্মের জন্য আলোর বাতিঘর হয়ে থাকবে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, শতবর্ষ ধরে সনমান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এ অঞ্চলে প্রাথমিক শিক্ষার ভিত গড়ে তুলেছে। ভবিষ্যতেও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে আধুনিক পাঠদান, সহশিক্ষা কার্যক্রম, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চা আরও জোরদার করা হবে।
অভিভাবকরা আলোচনায় বলেন, এই বিদ্যালয় থেকেই শিক্ষা নিয়ে এলাকার বহু শিক্ষার্থী আজ ডাক্তার, প্রকৌশলী, শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা ও সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মিলিত অংশগ্রহণে শতবর্ষ পূর্তির এই উৎসব পরিণত হয় এক স্মরণীয় মিলনমেলায়। দীর্ঘ পথচলার গর্ব হৃদয়ে ধারণ করে নতুন শতকে আরও এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে শেষ হয় ৪৪ নং সনমান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন।