মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে অগ্নিকাণ্ডের কারণ খুঁজে দেখা হচ্ছে
Published: 10th, March 2025 GMT
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আগুন লাগার কারণ খুঁজে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এই জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী। তিনি জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডে জাদুঘরের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।
সারওয়ার আলী প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল ৯ টায় জাদুঘরের নিচতলায় জেনারেটর কক্ষে আগুন লাগে। তখন পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও নিরাপত্তা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। খবর দেওয়া হলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তিনি জানান, আগুনে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে জাদুঘরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে আগুনের সূত্রপাতের কারণ খুঁজে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের কর্মকর্তারা জানান, ভবনের নিচতলায় জেনারেটর ভবনে বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে।
এদিকে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের মোহাম্মদপুর স্টেশন থেকে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ৯টা ৪৬ মিনিট নাগাদ আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলা সম্ভব হয়। জাদুঘরের চারতলা ভবনের নিচতলায় জেনারেটর কক্ষে আগুন লেগেছিল।
ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, আগুন জেনারেটর কক্ষ থেকে অন্য কোথাও ছড়ায়নি। আগুন লাগার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ দ ঘর র
এছাড়াও পড়ুন:
জরুরি পরিস্থিতিতে প্রাথমিক চিকিৎসা
প্রতিনিয়ত জরুরি পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় আমাদের। অনেক সময় ভ্রান্ত ধারণায় পড়ে এ পরিস্থিতিতে আরও বড় ধরনের ভুল করে ফেলি আমরা। সে ক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতিতে কী করবেন আর কী করবেন না, তা জেনে রাখা ভালো।
যেমন–
পুড়ে গেলে : গরম তেল পড়ে হোক বা আগুনে পুড়ে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে পোড়া স্থানে পেস্টের আস্তরণ দিই। অনেকে ডিম ভেঙে দেন, কেউ বা লাগান চুন। এগুলো ক্ষতিকর। পুড়ে গেলে ঠান্ডা পানির ধারা রাখতে পারেন ১০ মিনিট; অন্য কোনো কিছু নয়।
ব্যথা পেলে : হাড় ভাঙলে নড়াচড়া না করে ভাঙা স্থানের দু’পাশে কাঠ দিয়ে বেঁধে হাসপাতালে আনতে হবে।
রক্ত ধুয়ে ফেলা নয় : রক্তপাত হতে থাকলে পরিষ্কার কাপড় বা গজ-ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে দিন। বেশি কেটে গেলে বা রক্তপাত ১০ মিনিটের মধ্যে বন্ধ না হলে হাসপাতালে নিতে ভুলবেন না।
নাক দিয়ে রক্ত পড়লে : আক্রান্ত ব্যক্তিকে সামনের দিকে সামান্য ঝুঁকে বসাতে হবে। বাঁ হাতের বুড়ো আঙুল ও অনামিকা দিয়ে নাসারন্ধ্র টানা ১০ মিনিট বন্ধ রাখতে হবে। এ সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হবে। বরফ নাকের ওপরে দেওয়া যেতে পারে। যদি একটানা ১০ মিনিট নাসারন্ধ্র চেপে ধরে রাখার পরও রক্ত বন্ধ না হয়, দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
সাপে কাটলে : সাপে কাটার স্থানের কিছু ওপরে আমরা শক্ত বাঁধন দিই। এতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে হাত-পা পচে যেতে পারে। বাঁধন দিতে হবে, তবে রশি দিয়ে নয়; গামছা, কাপড় দিয়ে ঢিলে করে বাঁধলেই চলবে।
বিষপানে নয় গোবরপানি : বিষ পান করলে অনেকে গোবরমিশ্রিত পানি পান করিয়ে বমি করার চেষ্টা করেন। এটি ভ্রান্ত ধারণা। যদি বিষপান করা ব্যক্তি অচেতন বা অবচেতন থাকে, তাহলে বমি ফুসফুসে চলে যেতে পারে; যা গুরুতর। বিষপানের এক ঘণ্টার মধ্যে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি, নিনস