প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহকের নামে ঋণ মঞ্জুর করে  টাকা আত্মাসাতের অভিযোগে ঝালকাঠির একটি ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।  

রবিবার (৯ মার্চ) সকালে ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতে মামলাটি করেন ভুক্তভোগী গ্রাহক মো. হোসেন মল্লিক ওরফে হোচেন মল্লিক। আদালত মামলাটি তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

 

আরো পড়ুন:

মাগুরায় শিশু ‘ধর্ষণ’: প্রধান আসামি ৭ দিন, বাকিরা ৫ দিনের রিমান্ডে

মাগুরায় শিশু ‘ধর্ষণ’
নিরাপত্তার শঙ্কায় আসামিদের নেওয়া যায়নি আদালতে, হয়নি রিমান্ড শুনানি

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা শান্ত মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আসামি হলেন- শরীফ মো.

হেমায়েত উদ্দিন (৬৩)। তিনি অগ্রণী ব্যাংকের ঝালকাঠির নলছিটি শাখার সাবেক (ঋণ সংক্রান্ত) কর্মকর্তা।

 

মামলার বাদী হোচেন মল্লিক নলছিটি উপজেলার রাজনগর এলাকার বাসিন্দা।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, আসামি শরীফ মো. হেমায়েত উদ্দিন অগ্রণী ব্যাংকের নলছিটি শাখায় কর্মরত থাকাকালীন ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর অসৎ উদ্দেশ্যে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বাদীর স্বাক্ষর জাল করে সৃজিত কাগজপত্রের মাধ্যমে বাদীর নামে ৩০ হাজার টাকা কৃষি ঋণ মঞ্জুর করে সম্পূর্ণ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। ২০২৩ সালের ১৫ অক্টোবর ঋণ খেলাপী হিসেবে বাদীকে ব্যাংক থেকে ঋণ আদায়ের তাগাদাপত্র দেওয়া হয়।

চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি অগ্রণী ব্যাংকের নলছিটি শাখা কার্যালয়ে শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে লিখিত অঙ্গীকারনামার মাধ্যমে ঋণ হিসাব নম্বর ০২০০০১১১৩৬৮৬৩-এর সম্পূর্ণ ঋণ গত ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আসামি পরিশোধের অঙ্গীকার করেন। ওই সময়ের মধ্যে আসামি ঋণের টাকা পরিশোধ না করায় বাদী আদালতে মামলা করেন।

ঢাকা/অলোক/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নলছ ট

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।  

প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।  কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।

মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।

নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ