ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে নারীসহ জনসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ধর্ষকের প্রতীকী ফাঁসি ও দ্রোহের কবিতা পাঠ অনুষ্ঠিত হয়েছে৷

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করে সেখানে প্রতিকী ফাঁসি দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মারকে।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নাজিফা আনজুম মিম বলেন, “ধর্ষকের কঠিন বিচার অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে। আমাদের ইন্টারিম সরকার ধর্ষকের বিচারে ১৮০ দিনের টালবাহানা করছে, ততদিনে বাংলাদেশে আরও হাজার হাজার ইস্যু চলে আসবে এবং এটি ধামাচাপা পড়ে যাবে।”

আরো পড়ুন:

অবরোধ-মানববন্ধনসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী কর্মসূচি অব্যহত

রাবিতে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের কুরআন উপহার কর্মসূচি

তিনি বলেন, “আমরা তনুকে ভুলে গেছি, তেমনি এই ১৮০ দিনে আমরা আছিয়াকেও ভুলে যাব। তাই যত দ্রুত সম্ভব, ধর্ষকদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসনের কাছে আমাদের একটাই দাবি, আমরা যেন সন্ধ্যার পরে ক্যাম্পাস ও হলপাড়ায় স্বাচ্ছন্দ্যে এবং নিরাপদে চলাচল করতে পারি। সেই পদক্ষেপ যেন দ্রুত নেওয়া হয় এবং এটি যেন শুধু হল বন্ধের সময়সীমার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক কামরুল ইসলাম সজিব বলেন, “ধর্ষকের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজকের এই প্রতীকী ফাঁসি ও দ্রোহের কবিতা পাঠ আয়োজন। আমরা এই ফাঁসির মঞ্চ থেকে সরকারকে একটা মেসেজ দিতে চাই, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ধর্ষকের যে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, তারা যেন সেটা দ্রুত বাস্তবায়ন করে একটা নজির সৃষ্টি করে। ধর্ষণের তদন্তের জন্য যে ডিএনএ স্যাম্পলিং মেশিন দরকার, সেটা ঢাকা ছাড়াও যেন প্রত্যেক বিভাগে দেওয়া হয়।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, “আজকের এই  মঞ্চকে আমরা  বাংলাদেশের সব ধর্ষকের ফাঁসির মঞ্চ হিসেবে রিপ্রেজেন্ট করতে চাচ্ছি। এখানে একটা দলকে এলিট শ্রেণি দেখে তাদের বিচারকার্য স্থগিত করা, র‌্যাব আলেপের বিচারকার্য এই ফাঁসির মঞ্চে সম্পন্ন করতে হবে। তেমনি আছিয়ার ধর্ষকের বিচারকার্য এ মঞ্চেই সম্পন্ন করতে হবে। পররাষ্ট্র ক্যাডারের বাবার বিচারও এই মঞ্চেই করতে হবে।”

তিনি বলেন, “বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের ছেলে সায়েম সোবহান আনভীরসহ তনু হত্যায় জড়িত সেনাবাহিনী কর্মকর্তার ও বিচার করতে হবে। এ ফাঁসির মঞ্চ কোন ধনী গরীব ভেদাভেদ করবে না। আমরা যেমন আসিয়ার ধর্ষকের জন্য সরব হচ্ছি, তেমনি যেন রোজাদার মহিলাকে ধর্ষণ করা আলেপের বিচারের জন্যও সরব হই।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু

বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”

চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”

চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”

১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”

১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ