দক্ষিণ কোরীয় গায়ক হিসাং মারা গেছেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় সিউলের বাসা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হিসাংয়ের বয়স হয়েছিল ৪৩ বছর। খবর বার্তা সংস্থা ইয়োনহ্যাপের
আরঅ্যান্ডবি সংগীতের গায়ক হিসেবে পরিচিতি পাওয়া হিসাংয়ের মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি। হিসাংয়ের এজেন্সি টাজয় এন্টারটেইনমেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘হিসাং আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। পরে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।’
তবে তাঁর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, নাকি খুন কিংবা আত্মহত্যা—তা খোলাসা করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, এখনো খুনের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তাঁরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে জরুরি নম্বরে ফোন করেন হিসাংয়ের মা। তাঁকে উদ্ধারের পর জানা যায়, তিনি আগেই মারা গেছেন।
ইয়োনহ্যাপ লিখেছে, একই বিল্ডিংয়ের আলাদা অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন হিসাংয়ের মা। রোববার ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল হিসাংয়ের। তবে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন ম্যানেজার। পরে তাঁর মাকে জানান। মা হিসাংয়ের অ্যাপার্টমেন্টে এসে দেখেন, অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন এই গায়ক।
২০০২ সালে লাইক আ মুভি অ্যালবাম দিয়ে অভিষেক ঘটে তাঁর। ‘ইনসোমনিয়া’, ‘হার্টশো স্টোরি’ গানের জন্য পরিচিতি পেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনচলে গেলেন জনপ্রিয় গায়িকা-অভিনেত্রী মারিয়ান ফেইথফুল৩১ জানুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জব্দ করা জাটকা এতিমখানায় বিতরণ, সেই মাছ লুট করলেন আড়তদারেরা
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় জব্দ করা ৭০ কেজি জাটকা দুটি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছিল। তবে সেই মাছ লুট করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন আড়তদারের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার আমিরাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে মৎস্য কার্যালয়ের উদ্যোগে পরিচালিত জাটকা রক্ষার অভিযানে আমিরাবাদ ও দশানী বাজার থেকে ৭০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস। পরে আমিরাবাদ এলাকায় জব্দ করা জাটকা উপজেলার হাজীপুর ও ফরাজীকান্দি মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। স্থানীয় কিছু দুস্থ মানুষকেও কিছু জাটকা দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই জাটকা নিয়ে ওই দুই মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কমিটির লোকজন সন্ধ্যায় আমিরাবাদের বেড়িবাঁধ এলাকায় পৌঁছান। তখন আমিরাবাদ বাজারের মাছের আড়তদার আবুল প্রধান, আরিফ গাজী, সেরু প্রধানিয়া, দেলু বেপারীসহ আরও কয়েকজন তাঁদের পথরোধ করেন এবং জাটকাগুলো লুট করে নিয়ে যান।
হাজীপুর মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও ফরাজীকান্দি মাদ্রাসার শিক্ষক মো. আল আমিন অভিযোগ করেন, মাছের ওই আড়তদারেরা তাঁদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে জাটকা লুট করে নিয়ে যান। বাধা দিয়েও কাজ হয়নি। বিষয়টি মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়েছেন।
এ অভিযোগের বিষয়ে আবুল প্রধান, আরিফ গাজী ও সেরু প্রধানিয়ার মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। তবে দেলু ব্যাপারী মুঠোফোনে বলেন, জাটকা লুট করা তাঁদের উচিত হয়নি। ওই জাটকা আজ (বৃহস্পতিবার) তাঁরা ফেরত দেবেন। এটি তাঁদের বড় ভুল হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। জাটকা উদ্ধারে ব্যবস্থাপনা নেওয়া হচ্ছে।
ইউএনও মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর জাটকা উদ্ধারে তিনি থানার ওসি ও মৎস্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টির তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতিমদের জাটকা লুট হওয়ার বিষয়টি খুব দুঃখজনক।