নয়েজ ক্যান্সেলিং হেডফোন আমাদের কতটা ক্ষতি করছে
Published: 11th, March 2025 GMT
নয়েজ ক্যান্সেলিং হেডফোন ব্যবহার করলে কেবল সেই শব্দই শোনা যায়, যা আপনি এর মাধ্যমে শুনতে চান। ‘নয়েজ’, অর্থাৎ চারপাশের শব্দ তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। আরামসে নিজের চাহিদামাফিক অডিও শুনতে এই হেডফোনের জুড়ি নেই। কিন্তু ক্রমাগত এই সুবিধা গ্রহণ করলে স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই আশঙ্কার ব্যাপারটাই সহজভাবে ব্যাখ্যা করলেন স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেডের মেডিসিন বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা.
তাসনোভা মাহিন।
একজন মানুষ দিনের পর দিন যদি লম্বা সময় ধরে নয়েজ ক্যান্সেলিং হেডফোন ব্যবহার করেন, তাহলে তিনি যখন হেডফোন ছাড়া পৃথিবীর বহু রকম শব্দের মধ্যে থাকেন, তখন মুশকিলে পড়তে পারেন। নানা শব্দের ভিড়ে নিজের প্রয়োজনের শব্দটি আলাদাভাবে বোঝার স্বাভাবিক ক্ষমতা ব্যাহত হতে পারে। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় অডিটরি প্রসেসিং ডিজঅর্ডার (এপিডি)। উঠতি বয়সে ক্রমাগত এ ধরনের হেডফোন ব্যবহার করলে এই সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বলে ধারণা করছেন তাঁরা। বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ, জেন–জির সদস্যদের মধ্যে এপিডি হতে দেখা যাচ্ছে। এর কারণ হিসেবে উঠতি বয়স থেকেই নয়েজ ক্যান্সেলিং হেডফোন প্রযুক্তি ক্রমাগত ব্যবহার করার অভ্যাস দায়ী হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে যাঁদের মধ্যে নয়েজ ক্যান্সেলিং হেডফোন ব্যবহারের প্রবণতা কম বা একেবারেই নেই, তাঁদের স্নায়ুতন্ত্র এমনভাবে প্রস্তুত থাকে, যাতে উচ্চশব্দের মধ্যেও অপ্রয়োজনীয় শব্দ ফিল্টার করে ফেলতে পারেন।
আরও পড়ুনকানের ময়লা কি পরিষ্কার করা ভালো?১১ ডিসেম্বর ২০২৩জীবনধারা যেভাবে ব্যাহত হতে পারে কথোপকথন বা গান শুনতে প্রায়ই আমরা হেডফোনউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নয় জ ক য ন স ল ব যবহ র কর
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের বেতন বাড়াল বিসিবি
জাতীয় দলের নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আজ মিরপুরে বিসিবি পরিচালকদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এত দিন ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা মেয়েরা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মাসিক বেতন পেতেন। তাঁদের বেতন ৪০ হাজার টাকা বাড়ানো হচ্ছে। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটাররা পেতেন ১ লাখ টাকা করে বেতন। তাঁরা এখন থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বেতন পাবেন।
‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন ৭০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৫ হাজার টাকা করা হয়েছে আর ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ৬০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ হাজার টাকা।
এ ছাড়া জাতীয় দলের অধিনায়কদের জন্য ৩০ হাজার ও সহ-অধিনায়কদের জন্য ২০ হাজার টাকা অতিরিক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া নারী ক্রিকেটারদের নতুন চুক্তিতে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আছেন তিন ক্রিকেটার—নিগার সুলতানা, নাহিদা আক্তার ও শারমিন আক্তার। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে আছেন ফারাজনা হক, রিতু মনি, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, রাবেয়া খান ও সোবহানা মোস্তারি। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে আছেন স্বর্ণা আক্তার।
‘ডি’ ক্যাটাগরিতে আছেন সুমাইয়া আক্তারর, ফারিহা ইসলাম, রুবাইয়া হায়দার, সানজিদা আক্তার, নিশিতা আক্তার। এই চুক্তির বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের কেউ জাতীয় দলে এলে মাসে ৬০ হাজার টাকা বেতন পাবেন।