নয়েজ ক্যান্সেলিং হেডফোন ব্যবহার করলে কেবল সেই শব্দই শোনা যায়, যা আপনি এর মাধ্যমে শুনতে চান। ‘নয়েজ’, অর্থাৎ চারপাশের শব্দ তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। আরামসে নিজের চাহিদামাফিক অডিও শুনতে এই হেডফোনের জুড়ি নেই। কিন্তু ক্রমাগত এই সুবিধা গ্রহণ করলে স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই আশঙ্কার ব্যাপারটাই সহজভাবে ব্যাখ্যা করলেন স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেডের মেডিসিন বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা.

তাসনোভা মাহিন

কী ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা

একজন মানুষ দিনের পর দিন যদি লম্বা সময় ধরে নয়েজ ক্যান্সেলিং হেডফোন ব্যবহার করেন, তাহলে তিনি যখন হেডফোন ছাড়া পৃথিবীর বহু রকম শব্দের মধ্যে থাকেন, তখন মুশকিলে পড়তে পারেন। নানা শব্দের ভিড়ে নিজের প্রয়োজনের শব্দটি আলাদাভাবে বোঝার স্বাভাবিক ক্ষমতা ব্যাহত হতে পারে। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় অডিটরি প্রসেসিং ডিজঅর্ডার (এপিডি)। উঠতি বয়সে ক্রমাগত এ ধরনের হেডফোন ব্যবহার করলে এই সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বলে ধারণা করছেন তাঁরা। বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ, জেন–জির সদস্যদের মধ্যে এপিডি হতে দেখা যাচ্ছে। এর কারণ হিসেবে উঠতি বয়স থেকেই নয়েজ ক্যান্সেলিং হেডফোন প্রযুক্তি ক্রমাগত ব্যবহার করার অভ্যাস দায়ী হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে যাঁদের মধ্যে নয়েজ ক্যান্সেলিং হেডফোন ব্যবহারের প্রবণতা কম বা একেবারেই নেই, তাঁদের স্নায়ুতন্ত্র এমনভাবে প্রস্তুত থাকে, যাতে উচ্চশব্দের মধ্যেও অপ্রয়োজনীয় শব্দ ফিল্টার করে ফেলতে পারেন।

আরও পড়ুনকানের ময়লা কি পরিষ্কার করা ভালো?১১ ডিসেম্বর ২০২৩জীবনধারা যেভাবে ব্যাহত হতে পারে কথোপকথন বা গান শুনতে প্রায়ই আমরা হেডফোন

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নয় জ ক য ন স ল ব যবহ র কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘মাস্তান’কে ছাড়া রিয়ালের অ্যানফিল্ড–অভিযান এবং সালাহর রেকর্ডের হাতছানি

অ্যানফিল্ডে যাওয়ার ঠিক আগে হঠাৎ দুঃসংবাদ পেল রিয়াল মাদ্রিদ। লিভারপুলের বিপক্ষে আজ রাতে খেলতে পারবেন না ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনো। দলের মেডিকেল বিভাগ জানিয়েছে, আর্জেন্টাইন এই মিডফিল্ডার ভুগছেন ‘স্পোর্টস হার্নিয়া’-তে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা লিখেছে, মাস্তানতুয়োনো কবে ফিরতে পারবেন, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে আজকের ম্যাচে তাঁর না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত।

গতকাল অনুশীলনেও ছিলেন না মাস্তানতুয়োনো। সাধারণত প্রতিপক্ষের মাঠে গিয়ে ম্যাচের আগের দিন অনুশীলন করে রিয়াল। কিন্তু এবার কোচ জাবি আলোনসো একটু ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছেন। অ্যানফিল্ডে সাংবাদিকদের সামনে কৌশল প্রকাশ না করে তিনি শেষ অনুশীলন সেরেছেন ক্লাবের নিজস্ব মাঠ ভালদেবাসে। মার্কার বিশ্লেষণ, প্রতিপক্ষ যেন শেষ মুহূর্তে কিছু বুঝে না ফেলে, সে জন্যই আলোনসোর এ সিদ্ধান্ত।
রিয়ালের বর্তমান ফর্ম অবশ্য কোনোভাবেই লুকানো যাচ্ছে না। লা লিগায় গত পরশু রাতে ভ্যালেন্সিয়াকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। এ মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৪ ম্যাচে এটি তাদের ১৩তম জয়। একমাত্র হারের স্বাদ লিগে। ১২৬ বছরের ইতিহাসে রিয়ালের এর চেয়ে ভালো সূচনা হয়েছে মাত্র দুবার, সর্বশেষ ১৯৬১-৬২ মৌসুমে।

লিভারপুলের অনুশীলনে ভার্জিল ফন ডাইক ও মোহাম্মদ সালাহ

সম্পর্কিত নিবন্ধ