ডুয়েল সার্টিফায়েড ট্রেন্ডসেটার ডিভাইস
Published: 11th, March 2025 GMT
বাংলাদেশে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের প্রচারণায় নতুন স্মার্টফোন ‘এ ফাইভ প্রো’ মডেল উন্মোচন করেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপো। নির্মাতারা জানান, নতুন মডেলটি বাংলাদেশের প্রথম স্মার্টফোন, যা আন্তর্জাতিকভাবে সার্টিফিকেশনের সঙ্গে বুয়েটের ‘টপ-রেটেড ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স এবং ড্রপ টেস্ট’ পরীক্ষায় মানোত্তীর্ণ হয়েছে।
মডেলে রয়েছে আইপি-৬৯, আইপি-৬৮ এবং আইপি-৬৬ রেটিংস, যা পানি ও ধুলা থেকে ডিভাইসকে সুরক্ষা দেয়। ফাইবার গ্লাস লেদার ডিজাইন যে কোনো প্রতিকূল পরিবেশ, যেমন– পানি, উচ্চচাপ ও ধুলাবালি থেকে স্মার্টফোনকে নিরাপত্তা দেয়। বিশেষ ফিচারে থাকছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এআই ফিচার, যা ছবির গুণগত মান বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়। এআই ‘আনব্লার’ অস্পষ্ট ছবিকে সুস্পষ্ট করে।
নতুন মডেল প্রসঙ্গে অপো বাংলাদেশ অথরাইজ এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, সব ধরনের গ্রাহকের কাছে অলরাউন্ড ‘এ-ফাইভ প্রো’ পৌঁছে দেব। মডেলটি একই সঙ্গে স্থায়িত্ব ও প্রিমিয়াম ফিচার দেবে। ডিভাইসটি মানোন্নত প্রযুক্তি ও টেকসই গুণের বিচারে ইন্ডাস্ট্রিতে পারফরম্যান্সের নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে। মডেলে রয়েছে ৪৮ মাসের ফ্লুয়েন্সি প্রটেকশন সার্টিফিকেশন, যা চার বছর পরও স্মুথ পারফরম্যান্সের নিশ্চয়তা দেয়। হাজার নিটের আলট্রা-ব্রাইট ডিসপ্লে সরাসরি সূর্যের আলোতে পরিষ্কার ভিজ্যুয়াল দেবে।
বিনোদনে থাকবে ডুয়েল স্টেরিও স্পিকার ও আলট্রা ভলিউম মোড ৩০০ শতাংশের বেশি প্রাণবন্ত অডিও-ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা দেবে।
ব্যাটারি ৫ হাজার ৮০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার। ৪৫ ওয়াট সুপারভোগ স্মার্ট চার্জিং সুবিধা। মাত্র ৭৬ মিনিটে ফোনটি পুরোপুরি চার্জ হয়; যার মাধ্যমে ৩৬ ঘণ্টা কল টাইম, ১৭ ঘণ্টা ইউটিউব প্লেব্যাক ও ২৮ ঘণ্টা অডিও প্লেব্যাক সুবিধা পাওয়া যায়।
র্যাম ৮ জিবি ও ১২৮ জিবি স্টোরেজ। রঙের বৈচিত্র্যে রয়েছে অলিভ গ্রিন ও মোকা ব্রাউন।
প্রি-অর্ডারে পোর্টেবল মিনি স্পিকারের সঙ্গে পাবেন সুপার শিল্ড কার্ড। থাকছে দুই বছরের বিক্রয়োত্তর পরিষেবা। লিকুইড ও দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিবিষয়ক এক বছরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে নির্মাতারা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন আসরে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা, খেলা কবে-কোথায়
অভাগাদের বছরে ‘কুফা’ কাটানোর তালিকায় সর্বশেষ নাম দক্ষিণ আফ্রিকা। লর্ডসে গতকাল অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টেস্টের রাজদণ্ড হাতে পেয়েছে টেম্বা বাভুমার দল। প্রোটিয়াদের শ্রেষ্ঠত্বের মধ্য দিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসর শেষ হয়েছে।
তবে এর রেশ থাকতেই চলে এসেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ আসর বা চক্র। ২০২৫-২৭ চক্রের শুরুটা হচ্ছে বাংলাদেশকে দিয়েই। আগামী ১৭ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্ট খেলতে নামছে নাজমুল হোসেন দল। ২৫ জুন কলম্বোয় শুরু দুই দলের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে এটিই প্রথম সিরিজ।
ক্রিকেটের অভিজাত এই সংস্করণে বাংলাদেশ প্রায় ২৫ বছর পার দিলেও রেকর্ড ভালো নয়। তবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আসার পর থেকে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ক্রমশ উন্নতির দিকে।
প্রথম চক্রে (২০১৯-২১) কোনো ম্যাচই জিততে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দ্বিতীয় চক্রে (২০২১-২৩) মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ঐতিহাসিক জয় বাদ দিলে বলার মতো কিছু নেই। প্রথম দুই চক্র শেষ করতে হয়েছে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে।
তবে তৃতীয় চক্রে (২০২৩-২৫) বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বেশ আশাব্যঞ্জক। ১২ টেস্ট খেলে জিতেছে চারটিতে। এর মধ্যে গত বছর পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে ধবলধোলাইয়ের সুখস্মৃতিও আছে। পয়েন্ট তালিকায় অবস্থান ছিল সাত নম্বরে; পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপরে। তিন চক্র মিলিয়ে বাংলাদেশ খেলেছে ৩১ টেস্ট। জিতেছে পাঁচটি, ড্র করে দুটি আর হেরেছে ২৪টি।
এবার কী হবে? শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার আগে মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে আশার বাণীই শুনিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল। তিনি বলেছেন, ‘গত চক্রে আমরা চারটা ম্যাচ জিতেছি। আমাদের একটু উন্নতি হয়েছে। লক্ষ্য থাকবে এই চক্রে কীভাবে আরও একটা-দুইটা ম্যাচ বেশি জিততে পারি।’ সেটা কতটুকু সম্ভব, সময়ই বলে দেবে।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আগের তিন চক্রের মতো এবারও অংশ নিচ্ছে ৯ দল। প্রত্যেক দল খেলবে ছয়টি করে সিরিজ—তিনটি নিজেদের মাঠে, তিনটি প্রতিপক্ষের মাঠে। পয়েন্ট সিস্টেমেও কোনো পরিবর্তন আসেনি (জিতলে ১২, ড্র করলে ৪, টাই করলে ৬ পয়েন্ট)।
তবে এবার ম্যাচের সংখ্যা গত দুবারের চেয়ে একটি বেড়েছে। ফাইনালসহ মোট ম্যাচ হবে ৭১টি, সিরিজ ২৭টি। প্রত্যেক সিরিজেই সর্বনিম্ন দুই ও সর্বোচ্চ পাঁচটি ম্যাচ হবে।
চতুর্থ চক্রের ফাইনালও লর্ডসে আয়োজনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই ম্যাচ হবে ২০২৭ সালের জুনে। ফাইনালের আগে শেষ সিরিজ হবে সেই বছরের মার্চে; পাকিস্তানে দুটি টেস্ট খেলতে যাবে নিউজিল্যান্ড।
এবার সবচেয়ে বেশি ২২ ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। সবচেয়ে কম ১২টি করে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা, যাদের সিরিজ দিয়েই শুরু হচ্ছে এবারের চক্র। ২০২৫ সালে বাংলাদেশ দলের টেস্ট সিরিজ এই একটিই। নাজমুল-মুশফিক-তাইজুলদের বাকি পাঁচ সিরিজই ২০২৬ ও ২০২৭ সালে। সব সিরিজেই দুটি করে ম্যাচ।
২০২৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ মার্চে, ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে। সেই বছরের আগস্টে দল যাবে অস্ট্রেলিয়ায়। ২০০৩ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সেটিই হবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের প্রথম টেস্ট সিরিজ।
এই চক্রে বাংলাদেশের ঘরের মাঠে দ্বিতীয় সিরিজ খেলবে ২০২৬ সালের অক্টোবরে; খেলতে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরের মাসে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। বাংলাদেশের শেষ সিরিজ দেশের মাটিতেই; ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে আসবে ইংল্যান্ড। ২০১৬ সালের পর এটিই হবে ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিরিজ।
অনুপ্রেরণা জোগানোর মতো খবর হলো ২০২৫-২৭ চক্রে বাংলাদেশ যে ছয় দলের বিপক্ষে খেলবে, এর চারটির বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে তারা হারেনি। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ ড্র করেছে আর পাকিস্তানকে করেছে ধবলধোলাই (দুই ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয়)। সিরিজ হেরেছে শ্রীলঙ্কা আর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে।