সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে। এ বছরের নারী বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে বাংলাদেশকে এখন খেলতে হবে বাছাইপর্ব। এই টুর্নামেন্টের জন্য গতকাল স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

১৫ সদস্যের এই দলের নেতৃত্বে যথারীতি উইকেটরক্ষক–ব্যাটার নিগার সুলতানা। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দল থেকে বাদ পড়েছেন মুর্শিদা খাতুন, সুলতানা খাতুন ও তাজ নেহার। তাঁদের জায়গায় দলে এসেছেন ইশমা তানজিম, জান্নাতুল ফেরদৌস ও রিতু মনি। সর্বশেষ নারী প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের চ্যাম্পিয়ন শেল্‌টেক ক্রিকেট একাডেমির হয়ে খেলেছেন ইশমা ও জান্নাতুল।

৭ ম্যাচে ৩৩৬ রান করেছেন ইশমা, জান্নাতুল নিয়েছেন লিগের সর্বোচ্চ ২১ উইকেট। ৮ ম্যাচে ১৮ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে ১৬৩ রান করেন গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের হয়ে খেলা রিতু।

পাকিস্তানের লাহোরে ৫-১৯ এপ্রিল হবে নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব। এ জন্য আগামী ৩ এপ্রিল দেশ ছাড়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও থাইল্যান্ডের মেয়েদের সঙ্গে লড়তে হবে নিগার সুলতানাদের। এর মধ্যে দুই ফাইনালিস্ট দল জায়গা পাবে বিশ্বকাপে।

বাংলাদেশ দল:

নিগার সুলতানা (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার (সহ-অধিনায়ক), ইশমা তানজিম, দিলারা আক্তার, শারমিন আক্তার, সোবহানা মোস্তারি, স্বর্ণা আক্তার, জান্নাতুল ফেরদৌস, রাবেয়া আক্তার, ফাহিমা খাতুন, ফারিহা আক্তার, ফারজানা হক, সানজিদা আক্তার, মারুফা আক্তার ও রিতু মনি।

আরও পড়ুনআন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেন মাহমুদউল্লাহ১ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ