নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের বাংলাদেশ দলে কারা আছেন
Published: 12th, March 2025 GMT
সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে। এ বছরের নারী বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে বাংলাদেশকে এখন খেলতে হবে বাছাইপর্ব। এই টুর্নামেন্টের জন্য গতকাল স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
১৫ সদস্যের এই দলের নেতৃত্বে যথারীতি উইকেটরক্ষক–ব্যাটার নিগার সুলতানা। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দল থেকে বাদ পড়েছেন মুর্শিদা খাতুন, সুলতানা খাতুন ও তাজ নেহার। তাঁদের জায়গায় দলে এসেছেন ইশমা তানজিম, জান্নাতুল ফেরদৌস ও রিতু মনি। সর্বশেষ নারী প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের চ্যাম্পিয়ন শেল্টেক ক্রিকেট একাডেমির হয়ে খেলেছেন ইশমা ও জান্নাতুল।
৭ ম্যাচে ৩৩৬ রান করেছেন ইশমা, জান্নাতুল নিয়েছেন লিগের সর্বোচ্চ ২১ উইকেট। ৮ ম্যাচে ১৮ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে ১৬৩ রান করেন গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের হয়ে খেলা রিতু।
পাকিস্তানের লাহোরে ৫-১৯ এপ্রিল হবে নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব। এ জন্য আগামী ৩ এপ্রিল দেশ ছাড়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও থাইল্যান্ডের মেয়েদের সঙ্গে লড়তে হবে নিগার সুলতানাদের। এর মধ্যে দুই ফাইনালিস্ট দল জায়গা পাবে বিশ্বকাপে।
বাংলাদেশ দল:নিগার সুলতানা (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার (সহ-অধিনায়ক), ইশমা তানজিম, দিলারা আক্তার, শারমিন আক্তার, সোবহানা মোস্তারি, স্বর্ণা আক্তার, জান্নাতুল ফেরদৌস, রাবেয়া আক্তার, ফাহিমা খাতুন, ফারিহা আক্তার, ফারজানা হক, সানজিদা আক্তার, মারুফা আক্তার ও রিতু মনি।
আরও পড়ুনআন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেন মাহমুদউল্লাহ১ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জরুরি পরিস্থিতিতে প্রাথমিক চিকিৎসা
প্রতিনিয়ত জরুরি পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় আমাদের। অনেক সময় ভ্রান্ত ধারণায় পড়ে এ পরিস্থিতিতে আরও বড় ধরনের ভুল করে ফেলি আমরা। সে ক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতিতে কী করবেন আর কী করবেন না, তা জেনে রাখা ভালো।
যেমন–
পুড়ে গেলে : গরম তেল পড়ে হোক বা আগুনে পুড়ে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে পোড়া স্থানে পেস্টের আস্তরণ দিই। অনেকে ডিম ভেঙে দেন, কেউ বা লাগান চুন। এগুলো ক্ষতিকর। পুড়ে গেলে ঠান্ডা পানির ধারা রাখতে পারেন ১০ মিনিট; অন্য কোনো কিছু নয়।
ব্যথা পেলে : হাড় ভাঙলে নড়াচড়া না করে ভাঙা স্থানের দু’পাশে কাঠ দিয়ে বেঁধে হাসপাতালে আনতে হবে।
রক্ত ধুয়ে ফেলা নয় : রক্তপাত হতে থাকলে পরিষ্কার কাপড় বা গজ-ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে দিন। বেশি কেটে গেলে বা রক্তপাত ১০ মিনিটের মধ্যে বন্ধ না হলে হাসপাতালে নিতে ভুলবেন না।
নাক দিয়ে রক্ত পড়লে : আক্রান্ত ব্যক্তিকে সামনের দিকে সামান্য ঝুঁকে বসাতে হবে। বাঁ হাতের বুড়ো আঙুল ও অনামিকা দিয়ে নাসারন্ধ্র টানা ১০ মিনিট বন্ধ রাখতে হবে। এ সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হবে। বরফ নাকের ওপরে দেওয়া যেতে পারে। যদি একটানা ১০ মিনিট নাসারন্ধ্র চেপে ধরে রাখার পরও রক্ত বন্ধ না হয়, দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
সাপে কাটলে : সাপে কাটার স্থানের কিছু ওপরে আমরা শক্ত বাঁধন দিই। এতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে হাত-পা পচে যেতে পারে। বাঁধন দিতে হবে, তবে রশি দিয়ে নয়; গামছা, কাপড় দিয়ে ঢিলে করে বাঁধলেই চলবে।
বিষপানে নয় গোবরপানি : বিষ পান করলে অনেকে গোবরমিশ্রিত পানি পান করিয়ে বমি করার চেষ্টা করেন। এটি ভ্রান্ত ধারণা। যদি বিষপান করা ব্যক্তি অচেতন বা অবচেতন থাকে, তাহলে বমি ফুসফুসে চলে যেতে পারে; যা গুরুতর। বিষপানের এক ঘণ্টার মধ্যে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি, নিনস