চরের মানুষের উন্নয়ন ও নিরাপত্তায় সরকারের বিশেষ মনোযোগ প্রয়োজন
Published: 14th, March 2025 GMT
‘দেশের দুর্গম চরগুলোতে খাদ্য, স্বাস্থ্য, কৃষিতে নতুন নতুন সংকট তৈরি হয়েছে। চরের কৃষকরা উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। দুর্গম চরগুলোতে পশু ডাকাতি বৃদ্ধি পেয়েছে। কম মূল্যে খাদ্য সহায়তা চরবাসী পাচ্ছে না। চরাঞ্চলের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে সক্রিয়তা কম। চরে বিভিন্ন ধরনের বৈষম্য কেবলই বাড়ছে। এরকম প্রেক্ষিতে চরের মানুষের উন্নয়ন ও নিরাপত্তায় সরকারের বিশেষ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।’
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্স (এনসিএ) আয়োজিত ‘চলমান প্রেক্ষিত, চর বৈষম্য এবং এনসিএ’-এর করণীয় শীর্ষক অনলাইন সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
সভায় বক্তব্য প্রদান করেন বারডেমের পরিচালক আবু তাহের খান, ইউএনডিপির সিনিয়র অ্যাডভাইজার মঞ্জুর রশীদ, কেয়ার বাংলাদেশের ইআরপিপি প্রোগ্রামের পরিচালক আমানুর রহমান, কনসান ওয়ার্ল্ড ওয়াইড-এর এডভোকেসি এডভাইজার নবিনুর রহমান, প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশনের ম্যানেজার (এডভোকেসি পার্টনারশীপ) মেহরাব উল গণি, ইসলামিক রিলিফের প্রোজেক্ট অফিসার খাদেমুল রশীদ, সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশের জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, এসকেএসের পরিচালক (এডভোকেসি) জোসেফ হালদার, কারিতাসের পরিচালক কামালউদ্দীন, যমুনা সমাজকল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মনজেদ আলী, ফরিদপুর জেলা চর অ্যালায়েন্সের সদস্য সচিব আনম ফজলুল হাদি সাব্বির, এসেডো’র নির্বাহী পরিচালক মো.
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক শেখ রোকন, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ ইকবাল খান, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি- এরআরসি পার্টনারশীপ প্রোজেক্টের সিনিয়র ম্যানেজার মো. জসীমউদ্দীন কবীর, কুড়িগ্রাম চর অ্যালায়েন্সের সদস্য শওকত আলী, কেয়ারের খালেদুল আহসান, এনসিএ সদস্য ড. মাহবুব হাসান সহ অন্যান্যরা।
সভায় বক্তারা আরও বলেন, দেশের এক বৃহৎ অংশ চর। চরগুলো বরাবরই দুর্যোগপ্রবণ। চরের মানুষেরা খুবই সংগ্রামী জীবনযাপন করে থাকে। চরের মানুষের টেকসই উন্নয়নের জন্য তাই একটি জাতীয় চর উন্নয়ন নীতিমালা জাতীয় চর বোর্ড এবং জাতীয় বাজেটে চরের মানুষের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সমন্বয়ের গবেষণা পরিচালক আব্দুল্লাহ নাদভী। সভা সঞ্চালনা করেন এনসিএর সদস্যসচিব জাহিদ রহমান।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট