‘দেশের দুর্গম চরগুলোতে খাদ্য, স্বাস্থ্য, কৃষিতে নতুন নতুন সংকট তৈরি হয়েছে। চরের কৃষকরা উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। দুর্গম চরগুলোতে পশু ডাকাতি বৃদ্ধি পেয়েছে। কম মূল্যে খাদ্য সহায়তা চরবাসী পাচ্ছে না। চরাঞ্চলের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে সক্রিয়তা কম। চরে বিভিন্ন ধরনের বৈষম্য কেবলই বাড়ছে। এরকম প্রেক্ষিতে চরের মানুষের উন্নয়ন ও নিরাপত্তায় সরকারের বিশেষ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।’ 

বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্স (এনসিএ) আয়োজিত ‘চলমান প্রেক্ষিত, চর বৈষম্য এবং এনসিএ’-এর করণীয় শীর্ষক অনলাইন সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। 

সভায় বক্তব্য প্রদান করেন বারডেমের পরিচালক আবু তাহের খান, ইউএনডিপির সিনিয়র অ্যাডভাইজার মঞ্জুর রশীদ, কেয়ার বাংলাদেশের ইআরপিপি প্রোগ্রামের পরিচালক আমানুর রহমান, কনসান ওয়ার্ল্ড ওয়াইড-এর এডভোকেসি এডভাইজার নবিনুর রহমান, প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশনের ম্যানেজার (এডভোকেসি পার্টনারশীপ) মেহরাব উল গণি, ইসলামিক রিলিফের প্রোজেক্ট অফিসার খাদেমুল রশীদ, সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশের জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, এসকেএসের পরিচালক (এডভোকেসি) জোসেফ হালদার, কারিতাসের পরিচালক কামালউদ্দীন, যমুনা সমাজকল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মনজেদ আলী, ফরিদপুর জেলা চর অ্যালায়েন্সের সদস্য সচিব আনম ফজলুল হাদি সাব্বির, এসেডো’র নির্বাহী পরিচালক মো.

রবিউল আলম, আরডিআরএস বাংলাদেশের নজরুল গণি, এসডিএস, শরীয়তপুরের নির্বাহী পরিচালক রাবেয়া রহমান কল্পনা, সীপের ফান্ড রাইজিং অফিসার ফারজানা আজম, সিএসডিকে কুড়িগ্রামের নির্বাহী পরিচালক আবু হানিফ দশমিনা চর অ্যালঅয়েন্সের সভাপতি পি.এম. রায়হান বাদল।
 
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক শেখ রোকন, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ ইকবাল খান, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি- এরআরসি পার্টনারশীপ প্রোজেক্টের সিনিয়র ম্যানেজার মো. জসীমউদ্দীন কবীর, কুড়িগ্রাম চর অ্যালায়েন্সের সদস্য শওকত আলী, কেয়ারের খালেদুল আহসান, এনসিএ সদস্য ড. মাহবুব হাসান সহ অন্যান্যরা।  

সভায় বক্তারা আরও বলেন, দেশের এক বৃহৎ অংশ চর। চরগুলো বরাবরই দুর্যোগপ্রবণ। চরের মানুষেরা খুবই সংগ্রামী জীবনযাপন করে থাকে। চরের মানুষের টেকসই উন্নয়নের জন্য তাই একটি জাতীয় চর উন্নয়ন নীতিমালা জাতীয় চর বোর্ড এবং জাতীয় বাজেটে চরের মানুষের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে। 

অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সমন্বয়ের গবেষণা পরিচালক আব্দুল্লাহ নাদভী। সভা সঞ্চালনা করেন এনসিএর সদস্যসচিব জাহিদ রহমান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সদস য এনস এ রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

সারা দেশে সাত দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৮৮

ঢাকাসহ সারা দেশে বিগত সাত দিনে অভিযান চালিয়ে ২৮৮ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় তাঁদের আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, ককটেলসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনের ইউনিট এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রধারী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্তসহ ২৮৮ জনকে আটক করা হয়।

আইএসপিআর জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৪টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ১৫৬টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ২টি ককটেল, ৩টি ম্যাগাজিন, মাদকদ্রব্য, বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মালামাল ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাঁদের সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ