নসরুল হামিদের সুপারিশে কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ, পরে জানা গেল স্কুলের অস্তিত্ব নেই
Published: 15th, March 2025 GMT
ঢাকা জেলা পরিষদের উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় কেরানীগঞ্জ উপজেলার শুভাঢ্যা ইউনিয়নে স্কুল নির্মাণের একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয় ২০২২ সালের ২২ জুন। প্রকল্পের সব ধাপের কাজ শেষ করে ঠিকাদার অর্থছাড়ের চেক নিতে গেলে সন্দেহ হয় একজন কর্মকর্তার। পরে তদন্তে উঠে আসে এ স্কুলের কোনো অস্তিত্ব নেই।
অভিনব এ ঘটনা ঘটেছে শুভাঢ্যা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কৈবর্তপাড়া এলাকায়। ছাত্র–জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সুপারিশে ‘কৈবর্তপাড়া স্কুল’ নামের ওই বিদ্যালয় নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ করেছিল ঢাকা জেলা পরিষদ। নসরুল কেরানীগঞ্জ থেকে দলটির সংসদ সদস্য ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চলতি মার্চে কয়েকবার নসরুল হামিদের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। ইতিমধ্যে কৈবর্তপাড়ায় গিয়ে মার্চের ২ তারিখে এ প্রতিবেদক এলাকাবাসীর কাছে তাঁর অবস্থান সম্পর্ক জানতে চান। তাঁরা কেউ সেটি জানাতে পারেননি। গত ৫ আগস্টের পর নসরুলকে এলাকায় দেখা যায়নি বলে জানান তাঁরা।
সরেজমিনে কৈবর্তপাড়ারাজধানীর সদরঘাট হয়ে বুড়িগঙ্গা পার হলেই শুভাঢ্যা ইউনিয়ন। এরপর রিকশা নিয়ে পূর্ব দিকে এগোলে কালিগঞ্জ বাজার। এটির ডান পাশে একটা গলির মুখ থেকেই শুরু কৈবর্তপাড়া। সংকীর্ণ গলি ধরে কিছুদূর গেলে রাস্তার বাঁ পাশে একটা মাঠ। এর দক্ষিণে এক ইটের একটি দেয়াল আর পূর্বে একটি টিনশেড ঘর। মাঠটি এলাকাবাসীর কাছে স্কুলমাঠ নামে পরিচিত।
মাঠের পাশে আবদুর রউফ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার সঙ্গে কথা হয়। প্রায় ২৫ বছর এ এলাকায় আছেন তিনি। মাঠের পাশে তাঁর একটি ওষুধের দোকান।
আবদুর রউফ বলেন, এলাকার সবাই জানে এখানে একটি স্কুল হওয়ার কথা ছিল কয়েক বছর আগে। আওয়ামী লীগের আমলে ঘটা করে একদিন দেখা গেল, শুভাঢ্যার চেয়ারম্যান ইকবাল ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মিজান একটি দেয়াল নির্মাণের কাজ তদারক করছেন। ওইটুকু পর্যন্তই। এরপর আর কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি।
একই স্থানে বিএনপির আমলে একবার স্কুল করার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বছর কয়েক আগে আমরা মাঠে আওয়ামী লীগ নেতাদের আসা-যাওয়া দেখতাম। এলাকার লোকমুখে স্কুলের টাকা ভাগ–বাঁটোয়ারা করে নেওয়ার কথা শুনেছি কয়েকবার। এসব নিয়ে তখন তো কথা বলা যেত না। —জামাল উদ্দিন, কৈবর্তপাড়ার বাসিন্দাএ প্রসঙ্গে আবদুর রউফ বলেন, এই জায়গায় ২০০২ সালে একটি কেজি স্কুল (কিন্ডারগার্টেন) করার জন্য একটা টিনশেড স্থাপনা করা হয়েছিল। কিছু ছাত্র-ছাত্রীও ভর্তি হয়েছিল। এরপর আর এগোয়নি উদ্যোগটা। আওয়ামী লীগ আমলে নতুন স্কুল করার নাম দিয়ে ওই স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়।
কৈবর্তপাড়ার আরেক বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব জামাল উদ্দিন বলেন, ‘বছর কয়েক আগে আমরা মাঠে আওয়ামী লীগ নেতাদের আসা–যাওয়া দেখতাম। এলাকার লোকমুখে স্কুলের টাকা ভাগ–বাঁটোয়ারা করে নেওয়ার কথা শুনেছি কয়েকবার। এসব নিয়ে তখন তো কথা বলা যেত না।’
এই এলাকায় মোট চারটি মাদ্রাসা ও একটি বেসরকারি স্কুল দেখেছেন প্রথম আলোর এই প্রতিবেদক।
দুই দফায় বরাদ্দ ১ কোটি ১০ লাখ টাকাঢাকা জেলা পরিষদ ২০২২–২৩ অর্থবছরে স্কুলটির জন্য বরাদ্দ দেয় ৭০ লাখ টাকা। পরের অর্থবছর অবশিষ্ট কাজ শেষ করতে আরও ৪০ লাখ মোট ১ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়।
এ–সংক্রান্ত নথি অনুযায়ী, স্কুল নির্মাণের কাজ পেয়েছে মেসার্স আওয়াল ট্রেডার্স। প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে ঢাকার ধামরাইয়ের বান্নাল এলাকার।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক মোহাম্মদ আওয়াল প্রথম আলোকে বলেন, ‘এক বছর আগে স্কুল নির্মাণের কার্যাদেশ পাই। পরে স্থানীয় একজন আমার লাইসেন্সের অধীনে নির্মাণের কাজটি নেয়। সেখানে একটা বাউন্ডারি, না কী একটা করেছে। আমি কোনো খবর নিইনি।’
চলতি মার্চে কয়েকবার নসরুল হামিদের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। ইতিমধ্যে কৈবর্তপাড়ায় গিয়ে মার্চের ২ তারিখে এ প্রতিবেদক এলাকাবাসীর কাছে তাঁর অবস্থান সম্পর্কে জানতে চান। তাঁরা কেউ সেটি জানাতে পারেননি। ৫ আগস্টের পর নসরুলকে এলাকায় দেখা যায়নি বলে জানান তাঁরা।কাজ না করলে বিল নিতে ঢাকা জেলা পরিষদে কেন গেছেন—জানতে চাইলে আওয়াল তা অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি ঝামেলায় আছি। এক বছর ধরে এই এলাকায় যাই না। বিলও নিতে যাইনি।’
স্কুলটির বিষয়ে তদন্ত করেন কেরানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিনাত ফৌজিয়া। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, কৈবর্তপাড়ায় সরকারি কোনো বৈধ স্কুল নেই।
রিনাত ফৌজিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ বছরের ২৯ জানুয়ারি আমি তদন্তে যাই। গিয়ে স্কুলের কোনো অস্তিত্ব পাইনি। কৈবর্তপাড়া স্কুল করার জন্য ঢাকা জেলা পরিষদ থেকে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। অর্থছাড়ের সময় সন্দেহ হলে জেলা পরিষদ থেকে আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। মূলত সরকারি টাকা আত্মসাতের জন্য প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল।’
আরও পড়ুনআওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এলএনজি ব্যবসায় চক্র, নেপথ্যে নসরুল হামিদ০৮ নভেম্বর ২০২৪প্রকল্প পরিদর্শন না করেই প্রাক্কলনের অভিযোগঢাকা জেলা পরিষদের কোনো প্রকল্প গ্রহণ করার আগে প্রকল্পের স্থান প্রকৌশলীদের পরিদর্শনের বিধান রয়েছে।
কিন্তু ওই প্রকল্পের স্থান পরিদর্শন না করে প্রকল্প প্রাক্কলন করায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা জেলা পরিষদের সাবেক সহকারী প্রকৌশলী আবদুস ছামাদ পত্তনদার, সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী মো.
আবদুস ছামাদ এখন গাজীপুরের শ্রীপুরের উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রকল্প পরিদর্শন করার দায়িত্ব ছিল উপসহকারী প্রকৌশলী খলিলুর রহমানের। এটা আমার দায়িত্ব ছিল না। আমি নোটিশের জবাব দেব।’
বর্তমানে ভোলার দৌলতখানে উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ফজলুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের ডিও লেটারের ভিত্তিতে নেওয়া প্রকল্প। আমি যথাযথ নিয়ম মেনে প্রকল্পের সাইট পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিয়েছি। আমি জানি না, কেন তারা আমাকে নোটিশ দিয়েছে।’
প্রকৌশলী খলিলুর রহমানের বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুনবনানীতে নসরুল হামিদের কার্যালয় ‘প্রিয়প্রাঙ্গণে’ অভিযান, এক কোটি টাকা জব্দ২১ আগস্ট ২০২৪ঢাকা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, কৈবর্তপাড়া স্কুল নির্মাণ প্রকল্পটি প্রশাসনিক অনুমোদন, ই-টেন্ডারে ঠিকাদার নির্বাচন, কার্যাদেশ প্রদান ও সর্বশেষ প্রকল্প বাস্তবায়নের পর অর্থছাড়ের সময় বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হলে তদন্তের জন্য বলি। জানতে পারি, কৈবর্তপাড়া নামে কোনো স্কুলের অস্তিত্ব নেই। এ ঘটনায় দায়ী কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
প্রসঙ্গত, ঢাকা জেলা পরিষদের ষষ্ঠ সভার কার্যবিবরণীতে ১৩টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর সবই নেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সুপারিশ এবং অভিপ্রায়ে। ১৩টির মধ্যে ৯টি নেওয়া হয়েছিল সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের অভিপ্রায়ে। এখানে স্বার্থের দ্বন্দ্ব তৈরি হয় এমন প্রকল্পও আছে, যেমন ঢাকা-১৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কামাল মজুমদারের সুপারিশে হাজী আলী হোসেন উচ্চবিদ্যালয়ের ভবন সম্প্রসারণে নেওয়া প্রকল্পে ভবনটির নামকরণ হয়েছে তাঁর নিজের নামে।
জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহার, অনৈতিকতা ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব—সব মিলিয়ে এটি একটি বহুমাত্রিক দুর্নীতির ঘটনা। যে কর্মকর্তা এ টাকা হস্তান্তর আটকে দিয়েছেন, তিনি সাধুবাদ পাওয়ার মতো কাজ করেছেন।’
কর্মকর্তা যে অর্থছাড় আটকে দিতে পেরেছেন, এটা রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফল বলে মনে করেন ইফতেখারুজ্জামান।
মন্ত্রীর ওই ধরনের সুপারিশ করার এখতিয়ার নেই বলে জানান ইফতেখারুজ্জামান। বলেন, ‘মন্ত্রী বহুমাত্রিক দুর্নীতির যে সিন্ডিকেট, সেটিকে সহায়তা করেছেন। মূল দায়টা মন্ত্রীর। ডিও লেটার ইস্যু করে এ ধরনের দুর্নীতি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটাকে (এমন দুর্নীতিকে) মূলত স্বাভাবিক ঘটনায় রূপান্তর করা হয়েছিল। তারই প্রকৃষ্ট দৃষ্টান্ত এটি।’
যাঁরা ওই ঘটনায় জড়িত, তাঁদের সবাইকে চিহ্নিত করে যথাযথ উপায়ে জবাবদিহি নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।
আরও পড়ুনসাবেক ৪১ মন্ত্রী–এমপির বিরুদ্ধে তদন্ত করছে দুদক১৯ আগস্ট ২০২৪উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইফত খ র জ জ ম ন নসর ল হ ম দ র প রকল প র স প রথম আল ক কর মকর ত র নসর ল হয় ছ ল ন ত কর র জন য বর দ দ এল ক র মন ত র এল ক য় সদস য আওয় ম সরক র উপজ ল তদন ত আগস ট
এছাড়াও পড়ুন:
পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করল পাকিস্তান-সৌদি আরব
পাকিস্তানের ওপর কেউ হামলা চালালে সৌদি আরব তাদেরকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে। আবার সৌদি আরবের ওপর কেউ আগ্রাসন চালালে পাকিস্তানও সৌদি আরবকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে। ঠিক এমনই একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সৌদি আরব ও পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তান।
জিও নিউজের খবর অনুসারে, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সৌদি আরব সফরের সময় এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে শাহবাজের বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে এ চুক্তির কথা জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
এক সপ্তাহে সৌদি আরবে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার
২০ বছর কোমায় থাকার পর মারা গেলেন সৌদির ‘ঘুমন্ত যুবরাজ’
চুক্তি স্বাক্ষরের পর উভয় দেশ একটি যৌথ বিবৃতিতে জানায় যে, ভ্রাতৃত্ব, ইসলামিক সংহতি ও অভিন্ন কৌশলগত স্বার্থের ভিত্তিতে এবং প্রায় আট দশকের দীর্ঘ অংশীদারত্বের ওপর দাঁড়িয়ে দুই পক্ষ কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
ক্রাউন প্রিন্সের আমন্ত্রণেই শরিফ সৌদি আরব সফরে গেছেন বলেও তাদের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, সৌদি আরবের সঙ্গে হওয়া এই প্রতিরক্ষা চুক্তির ফলে এখন ‘এক দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসনকে উভয়ের বিরুদ্ধে আগ্রাসন’ বিবেচনা করা হবে।
বিশেষজ্ঞরা এই চুক্তিকে 'ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন অগ্রগতি' বলে অভিহিত করেছেন। তাদের মতে, এটি পাকিস্তান ও সৌদি আরবের সম্পর্ককে আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতিতে উন্নীত করেছে। তারা বলছেন যে, এই পদক্ষেপ কেবল পাকিস্তান-সৌদি সম্পর্ককে দৃঢ় করছে না, বরং দক্ষিণ এশিয়া এবং মুসলিম বিশ্বের জন্যও এর গুরুত্ব রয়েছে। এটি পাকিস্তানকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষার সবচেয়ে সক্ষম মুসলিম শক্তি হিসেবে তুলে ধরেছে।
বিশ্লেষকরা আরও বলছেন যে, সাম্প্রতিক আঞ্চলিক অস্থিরতা, ইসরায়েলের হামলা, দোহা সম্মেলন এবং আরব বিশ্বে সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এই চুক্তির তাৎপর্য অনেক বেশি। এটি প্রমাণ করে যে, বর্ধিত হুমকির সময়ে সৌদি আরব পাকিস্তানকে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে বিশ্বাস করছে।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়, চুক্তি স্বাক্ষরের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে আলিঙ্গন করতে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির, যাকে দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে দেখা হয়।
ঢাকা/ফিরোজ