Samakal:
2025-05-01@03:29:59 GMT

বান্দরবানে শান্তির সুবাতাস

Published: 15th, March 2025 GMT

বান্দরবানে শান্তির সুবাতাস

৫ আগস্ট সরকার পতনের পর গত সাত মাসে বান্দরবানে বড় কোন অঘটন ঘটেনি, আইনশৃঙ্খলাও রয়েছে নিয়ন্ত্রেণ। তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে বেশ কয়েকটি গায়েবি মামলা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রায় ৬০০ নেতাকর্মী ঘরছাড়া।
৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সময় বান্দরবানেও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভেঙ্গে ফেলে বিক্ষুদ্ধ জনতা। এর আগে জেলা আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অমল দাশের বাসভবন। তিনি সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন। বীর বাহাদুরের বাসভবনেও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জেলা বিএনপি ও জামায়াতের শীর্ষ নেতা জানান, মন্ত্রীর বাসায় হামলার পেছনে শীর্ষস্থানীয় নেতারা জড়িত ছিলেন না। কয়েক ধাপ নিচের সারির নেতাদের ইন্ধনে পাশের সাতকানিয়া ও কেরানিহাট থেকে লোক এনে হামলা চালানো হয়েছে। কথিত আছে, দুই দফা মন্ত্রী থাকাকালীন বীর বাহাদুর স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ ও অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেন। এ কারণে মন্ত্রীর বাসায় হামলায় তাদের কোন ইন্ধন ছিলগত সেপ্টেম্বরে পার্বত্য খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হলেও বান্দরবানে তেমনটি ঘটেনি। আওয়ামী লীগের ১৫ বছরেও বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে দলটির বড় কোন সংঘর্ষ হয়নি। বলা যায় এক ধরনের সম্প্রীতির পরিবেশ ছিল জেলাজুড়ে। 
জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা বলেন, ‘বান্দরবানে সবসময় সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে। তবে আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতার কারণে রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের পুলিশ দিয়ে ধরপাকড় করা হয়েছে। নির্যাতন চালানো হয়েছে। অনেকে রাত ঘরে ঘুমাতে পারেননি। বিভিন্ন গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে।’
৬০০ জনের নামে করা মামলায় আসামি করা হয়েছে জেলা আ’লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, সাধারণ সম্পাদক ও পরিষদ সদস্য লক্ষিপদ দাশ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও পরিষদ সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর অজিত দাশ, প্রচার সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রীর পিএস সাদেক হোসেনকে। এই মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় দাশ আদালতে আত্বসমর্পণ করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠান। তবে তারা ১০-১৫ দিন পর জামিন পান।  তবে আত্মসমর্পণ করা জেলা আ’লীগের প্রচার সম্পাদক সাদেক হোসেন এখনো কারাগারে রযেছেন। 
জেলা জামায়াতের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আইনজীবী মো.

আবুল কালাম বলেন, ‘জামায়াত ইসলামী পরিচ্ছন্ন রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন কায়েমের জন্য অন্যায়ের পথ ধরে ক্ষমতায় যেতে চায় না।’
জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, ‘আইন তার নিজস্ব প্রক্রিয়ায় চলে, কারো ইশারায় নয়। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না, সেটা যে দলেরই লোক হোক না কেন।’
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ন দরব ন ব ন দরব ন মন ত র আওয় ম ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

কাশ্মীরে হামলার জবাব দিতে সশস্ত্র বাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন মোদি

কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জবাব দিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কখন, কোথায়, কীভাবে হামলা চালানো হবে তা ঠিক করতে সশস্ত্র বাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজ বাসভবনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান-সহ তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। সেখানেই মোদি স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন যে, যখন খুশি, যেখানে খুশি পেহেলগামে হামলার বদলা নিতে পারে ভারতীয় সেনা, বিমান ও নৌ-বাহিনী। কীভাবে হামলা চালানো হবে, কীভাবে পরিকল্পনা করা হবে- সে সব সিদ্ধান্তও স্বাধীনভাবেই নেবে এই তিন বাহিনী। 

যেমনভাবে মনে হবে, সেরকমভাবেই অভিযান চালানোর জন্য তাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে তিন বাহিনীর ওপরই পূর্ণ আস্থা রেখেছেন তিনি।

ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং এবং নৌ বাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশকুমার ত্রিপাঠীর সামনেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিক্রিয়া কী হবে, কীভাবে সেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে, লক্ষ্যবস্তু কী হবে এবং কখন ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নির্ধারণ করার পূর্ণ স্বাধীনতা আছে।

বৈঠক চলে মোট ৯০ মিনিট। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গত সপ্তাহেই পাকিস্তানকে ‘কঠোর জবাব’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। একই সুর ছিল প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কণ্ঠেও।

সেই আবহেই ভারতে একের পর এক জরুরি বৈঠক চলছে। যার ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের ওই বৈঠক হয়।

এর ঠিক এক সপ্তাহ আগের মঙ্গলবারেই জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে বৈসরন উপত্যকায় সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। তাদের অধিকাংশই পর্যটক ছিলেন।

পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিট্যান্স ফ্রন্ট’ এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারপর থেকেই কূটনৈতিক দিক থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত।

বন্ধ করা হয়েছে সিন্ধু পানিচুক্তি। নেওয়া হয়েছে আরও একাধিক পদক্ষেপ। জঙ্গি-নিধন অভিযানও চালাচ্ছে ভারত। পেহেলগামে হামলায় যে জঙ্গিরা জড়িত আছে বলে ধারনা করা হচ্ছে, তাদেরকে এখনও ধরা না গেলেও সন্ত্রাসবাদী নিধন অভিযান চলছে। খুঁজে-খুঁজে বের করা হচ্ছে জঙ্গিদের। খবর এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কাশ্মীরে হামলার জবাব দিতে সশস্ত্র বাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন মোদি