বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে প্রকাশিত নিয়োগে বিজ্ঞপ্তির আবেদন শেষ হবে ১৮ মার্চ। আবেদন শেষে বিভিন্ন জেলার প্রার্থীদের শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাই, শারীরিক সহনশীলতা পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা এবং মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা আলাদাভাবে নেওয়া হবে।

আগামী ৬, ৭ ও ৮ এপ্রিল মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, রাঙামাটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঝিনাইদহ, নড়াইল, সিরাজগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, সুনামগঞ্জ, জামালপুর, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি ও খুলনা জেলার প্রার্থীদের শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাই ও শারীরিক সহনশীলতা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই জেলার প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে ২৮ এপ্রিল এবং মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে ৭ মে।

আরও পড়ুনচিকিৎসকদের জন্য বিশেষ বিসিএস কি ৪৮তম২ ঘণ্টা আগে

সাতক্ষীরা, নওগাঁ, জয়পুরহাট, পঞ্চগড়, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, ঢাকা, রাজবাড়ী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চুয়াডাঙ্গা, বগুড়া, দিনাজপুর, সিলেট, ঝালকাঠি ও পটুয়াখালী জেলার প্রার্থীদের শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাই ও শারীরিক সহনশীলতা পরীক্ষা ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এই জেলার প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে ৫ মে এবং মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে ১৫ মে।

নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, কক্সবাজার, মেহেরপুর, নাটোর, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, শেরপুর, ভোলা, বরগুনা, ময়মনসিংহ গাজীপুর, শরীয়তপুর, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ ও বান্দরবান জেলার প্রার্থীদের শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাই ও শারীরিক সহনশীলতা পরীক্ষা ১৬, ১৭ ও ১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এই জেলার প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে ১৩ মে এবং মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে ২২ মে।

আরও পড়ুন৪৭তম বিসিএস পরীক্ষা: বিষয়ভিত্তিক মডেল টেস্ট-১ ১২ মার্চ ২০২৫

নোয়াখালী, বাগেরহাট, যশোর, রাজশাহী, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, মৌলভীবাজার, নরসিংদী, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কুষ্টিয়া, মাগুরা, পাবনা, রংপুর, পিরোজপুর ও বরিশাল জেলার প্রার্থীদের শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাই ও শারীরিক সহনশীলতা পরীক্ষা ১৯, ২০ ও ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এই জেলার প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে ২০ মে এবং মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে ২৯ মে।

আবেদনকারী প্রার্থীদের এসব তারিখ অনুসরণ করে নির্ধারিত সময়ে নিজ নিজ জেলার পুলিশ লাইনস মাঠে উপস্থিত থাকতে হবে।

আরও পড়ুনখাদ্য অধিদপ্তরে বিশাল নিয়োগ, ১৩ থেকে ১৯তম গ্রেডে পদ ১৭৯১১১ মার্চ ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে ‘সহযাত্রী’

আজকাল বৈবাহিক সম্পর্ক মানেই যেন তাড়াতাড়ি শুরু, দ্রুত শেষ! ঠিক এই সময়ে নির্মাতা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত নাটক ‘সহযাত্রী’ দেখাচ্ছে ভিন্ন দৃষ্টান্ত। নাটকটি বলছে—দাম্পত্য জীবন মানে দায়িত্ব, বোঝাপড়া আর সহনশীলতা। বিচ্ছেদের নয়, বরং সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার অনুপ্রেরণাই এর মূল বার্তা। 

দর্শকরা বলছেন, “সহযাত্রী’ শুধুই একটি গল্প নয়, বরং স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক, বোঝাপড়া এবং সহনশীলতার শিক্ষা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। ডিভোর্স নয়, বরং কীভাবে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যায়— সেই পথ বাতলাচ্ছে এই নাটক।” 

আরো পড়ুন:

ফারুকীর রহস্যঘেরা ওয়েব সিরিজ ‘৮৪০’ ওটিটিতে

‘আমার শরীর দেখিয়ে কিছু প্রমাণ করার দরকার নেই’

গল্পে দেখা যায়, নিজের পছন্দে জয়-অবনী (ফারহান আহমেদ জোভান ও নাজনীন নিহা) বিয়ে করেন। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে তারা ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেন। ঠিক তখনই গল্পে আসে ভিন্ন মোড়— তাদের মামা জানান, বিয়েতে কারো নিমন্ত্রণ করা হয়নি, তাই ডিভোর্স হবে জমকালো আয়োজনে! সেই আয়োজনেই শুরু হয় সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার নতুন যাত্রা। 

চ্যানেল আইতে প্রচারের পর শনিবার দুপুরে সিনেমাওয়ালার ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায় নাটকটি। মাত্র দুই দিনেই এটি দুই মিলিয়নের বেশি দর্শক দেখেছেন। প্রায় পাঁচ হাজার দর্শক ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন ভিডিওতে। চাঁদনী সুলতানা নামে একজন লেখেন, “সহযাত্রী’ দেখার পর মনে হলো, ডিভোর্স কোনো সমাধান নয়। একটু বোঝাপড়া, ভালোবাসা আর ধৈর্য সম্পর্ককে সারাজীবন টিকিয়ে রাখতে পারে।” 

উপমা পাল লিখেছেন, “নাটকটা দেখে চোখে জল এসে গেছে। কত সহজে আমরা সম্পর্ক ভেঙে ফেলি, অথচ সামান্য ধৈর্য রাখলেই সম্পর্ক বাঁচানো যায়। এমন গল্প আরো চাই।” তানভীর আহমেদ মন্তব্য করেছেন, “বর্তমানে যে হারে ডিভোর্স বাড়ছে, সেখানে এই নাটক অনেকের সম্পর্ক নতুনভাবে শুরু করার সাহস জোগাবে।” 

সোনিয়া খন্দকার লিখেছেন, “সম্পর্ক বাঁচানোই আসল কাজ। ‘সহযাত্রী’ যেন আমাদের ঘরের আয়না হয়ে উঠেছে। এই সময়ে এমন শিক্ষণীয় নাটক নির্মাণের জন্য নির্মাতাকে স্যালুট।” 

নাটকের মূল গল্পকার মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ, চিত্রনাট্য লিখেছেন জোবায়েদ আহসান। অভিনয়ে ছিলেন জোভান, নিহা ছাড়াও এজাজুল ইসলাম, সুষমা সরকার, তানজিম অনিক, জেবিন, তাবাসুম ছোঁয়াসহ অনেকে।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে ‘সহযাত্রী’